খাদ্য অধিদপ্তরের তিন শ্রেণিতে ৯০৬ পদে এক মাসের মধ্যে নিয়োগ শেষ করার নির্দেশ

স্টাফ রিপোর্টার: খাদ্য অধিদপ্তরের তিনটি শ্রেণীতে ৯০৬টি পদের নিয়োগ প্রক্রিয়া এক মাসের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আদালত বলেছেন, ৮০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা ও ২০ নম্বরের মৌখিক পরীক্ষার ভিত্তিতে রায়ের অনুলিপি পাওয়ার এক মাসের মধ্যে এ নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে। গত বছরের ৫ মের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ৭০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা ও ৩০ নম্বরের মৌখিক পরীক্ষার নিয়ম এ নিয়োগ প্রক্রিয়ায় প্রযোজ্য হবে না।

বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি একেএম জহিরুল হকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ ওই নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে করা রিট আবেদন এমন পর্যবেক্ষণসহ নিষ্পত্তি করে গত বৃহস্পতিবার রায় দেন। আদালত সূত্র জানায়, খাদ্য অধিদপ্তর ২০১০ সালের ২১ সেপ্টেম্বর ৩২৮ জন খাদ্য পরিদর্শক, ১৭৫ জন উপখাদ্য পরিদর্শক এবং ৪০৩ জন সহকারী খাদ্য পরিদর্শক পদে নিয়োগের জন্য দরখাস্ত আহ্বান করে বিজ্ঞপ্তি দেয়। ২০১১ সালের ২৩ ডিসেম্বর খাদ্য পরিদর্শক ও উপখাদ্য পরিদর্শক পদের এবং ২০১২ সালের ২৫ মে সহকারী খাদ্য পরিদর্শক পদের লিখিত পরীক্ষা হয়। বিজ্ঞপ্তিতে ৮০ শতাংশ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা ও ২০ শতাংশ নম্বরের মৌখিক পরীক্ষার নিয়ম ছিলো। কিন্তু ২০১৩ সালের ৫ মে ওই নিয়ম পরিবর্তন করে লিখিত পরীক্ষায় ৭০ শতাংশ এবং মৌখিক পরীক্ষায় ৩০ শতাংশ নম্বর দেওয়ার নিয়ম করা হয়।

গত বছরের ৪ সেপ্টেম্বর এ বিষয়ে প্রতিবেদন ছাপা হয়। এটা যুক্ত করে খাদ্য অধিদপ্তরের ওই তিন পদে নিয়োগের প্রক্রিয়ার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী জেডআই খান পান্না রিট আবেদন করেন। রিট আবেদনে বলা হয়, এ নিয়োগের ক্ষেত্রে উদ্দেশ্যমূলকভাবে নিয়মকানুনের ব্যত্যয় ঘটানো হচ্ছে। নিয়োগ প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হওয়ার কথা ছিলো বিভাগীয় শহরগুলোতে। কিন্তু তা বাতিল করে ঢাকায় প্রতিদিন কয়েক শ প্রার্থীর মৌখিক পরীক্ষা নেয়া হয়। মৌখিক পরীক্ষায় পূর্বনির্ধারিত নম্বর ছিলো ২০। শেষ মুহূর্তে তা পরিবর্তন করে ৩০ করা হয়। এ সবই উদ্দেশ্যমূলকভাবে করা হয়েছে বলে ধারণা করার যথেষ্ট কারণ রয়েছে।

প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ৩ অক্টোবর আদালত রুল দেন। রুলে ওই তিনটি শ্রেণীতে নিয়োগের চলমান প্রক্রিয়া কেন বাতিল করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়। রুলের ওপর চূড়ান্ত শুনানি শেষে গত বৃহস্পতিবার আদালত পর্যবেক্ষণসহ তা নিষ্পত্তি করেন।