কোরআন-সুন্নাহবিরোধী কোনো আইন হবে না : শেখ হাসিনা

স্টাফ রিপোর্টার: মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ ও ধর্মপ্রাণ মানুষের কথা বিবেচনায় কোরআন ও সুন্নাহ বিরোধী কোনো আইন পাস করবেন না বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা। পাশাপাশি নারীনীতি বাস্তবায়ন করারও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি। এছাড়া ঘরে ঘরে বিদ্যুত পৌঁছে দিতে বিতর্কিত রামপাল বিদ্যুতকেন্দ্র, রূপপুর পরমাণু বিদ্যুতকেন্দ্র করার অঙ্গীকার করলেন তিনি। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দশম জাতীয় নির্বাচন উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে তিনি এ প্রতিশ্রুতি দেন। ভাষণটি বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি) ও বাংলাদেশ বেতার সরাসরি সম্প্রচার করে। বিগত ৫ বছরে মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি, ১০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুত উত্পাদন, বিনামূল্য ছাত্র-ছাত্রীদের হাতে বই তুলে দেয়া ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে দাবি করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কোনো কোনো ক্ষেত্রে জনগণের কাছে দেয়া ওয়াদার চাইতেও বেশি কাজ হয়েছে। ভোটারদের উদ্দেশে তিনি বলেন, তার সরকার মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি, দারিদ্র্যের হার কমানো, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন বাড়ানো, ১০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুত উত্পাদন, বিনামূল্য ছাত্র-ছাত্রীদের হাতে বই, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা এবং অবাধ-তথ্যপ্রবাহ নিশ্চিত করার নীতি অব্যাহত রাখা, দেশজুড়ে দ্রুতগতির ইন্টারনেট সেবা এবং থ্রিজি চালু করা হয়েছে। তিনি বলেন, আগামী ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলার কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
সাংবিধানিকভাবেই ৫ জানুয়ারির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন স্বাধীন ও নিরপেক্ষ কমিশনের অধীনেই হবে, অনির্বাচিত কারোর অধীনে নয়। মহাসচিব পর্যায়ে বৈঠক হয়েছে, আমরা আশা করেছিলাম বিরোধীদল নির্বাচনে আসবেন। কিন্তু তারা আসেননি। বিরোধীদল বিএনপিকে নির্বাচনে আনতে চেষ্টা করেছি। বার বার নির্বাচনে আসার অনুরোধ করেছি। টেলিফোন করেছি। কিন্তু তারা সমঝোতার পথ পরিহার করে সহিংসতার পথ বেছে নিয়েছে। আসন্ন দশম জাতীয় নির্বাচনে ভোটগ্রহণের তিনদিন আগে দেশবাসীকে হাজারো প্রতিশ্রুতি পড়ে শোনান আওয়ামী লীগ সভানেত্রী।

শেখ হাসিনা বলেন, খালেদা জিয়া নির্বাচনে না এসে সাধারণ মানুষকে হত্যা করছে। আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মী ও সংখ্যালঘুদের বাড়ি-ঘরে হামলা করেছে। একটি নির্বাচিত সরকার হিসেবে সাংবিধানিক ধারা সমুন্নত রাখতে আগামী ৫ জানুয়ারি নির্বাচন হবে। নির্বাচনী অঙ্গীকার অনুযায়ী, ১০ জন যুদ্ধাপরাধীর বিচারের রায় হয়েছে। এ রায় কার্যকর করাও হচ্ছে। আগামীতে ক্ষমতায় গিয়ে বাকিদের রায় কার্যকর করা হবে। প্রধানমন্ত্রী দাবি করেন, গত নির্বাচনে রূপকল্প ২০২১ ঘোষণা করেছিলাম। সততা ও দক্ষতার সাথে তা পালন করেছি। আগামী ৫ বছরের মধ্যে দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলা হবে। ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করা হবে। আর ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে পরিণত করা হবে।