কোটচাঁদপুর-জীবননগর সড়কের বারোমাসিয়া ব্রিজের নিকট বেরিকেড দিয়ে ডাকাতি ডাকাতদলের ৪ সদস্যকে হাতে নাতে ধরে পুলিশে দিয়েছে জনতা

কোটচাঁদপুর প্রতিনিধি: কোটচাঁদপুরে সড়কে ব্যারিকেড সৃষ্টি করে ডাকাতিকালে এলাবাসীর হাতে আন্তঃজেলা ডাকাতদলের ৪ সদস্য ধরা পড়েছে। গ্রামবাসী ধৃত ৪ ডাকাতকে গণধোলাই দিয়ে থানা পুলিশে সোপর্দ করেছে। গতপরশু রাতে এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, সোমবার রাত ১২টার দিকে ৬ সদস্যের আন্তঃজেলা ডাকাতদল কোটচাঁদপুর-জীবননগর সড়কের বারোমাসিয়া ব্রিজের অদূরে ব্যারিকেট সৃষ্টি করে ডাকাতি শুরু করে। এ সময় ডাকাতরা অস্ত্রের মুখে মহেশপুর থেকে আসা মাছ বোঝাই একটি আলমসাধু দাঁড় করিয়ে চালক ও তিন মাছব্যবসায়ীর কাছ থেকে নগদ অর্থসহ মোবাইলসেট ছিনিয়ে নেয় এবং তাদের রাস্তার পার্শ্ববর্তী গাছে বেঁধে রাখে। মাছ বোঝাই আলমসাধুটি নিয়ে দু ডাকাত চলে যায়। পরে আরো দুটি কাঁচা তরিতরকারী বোঝাই আলমসাধু আটকে তাদের কাছ থেকে মোবাইলসেট ও টাকা কেড়ে নিয়ে তাদেরকে বাঁধতে গেলে আলমসাধুচালক দুজন কৌশলে দৌঁড়ে কাছাকাছি ফায়ার সার্ভিস অফিসে আশ্রয় নেন এবং বিষয়টি ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের জানান। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আশপাশের লোকজনদের খবর দিয়ে রাত আড়াইটার দিকে একত্রে ওই চার ডাকাতের মধ্য থেকে তিনজনকে ধরে ফেলে এবং এক ডাকাত পালিয়ে যায়। এলাকাবাসী ধৃত ডাকাতদের গণধোলাই দিয়ে রাতেই পুলিশে সোপর্দ করে। পরে ডাকাতদের বেঁধে রাখা আলমসাধুচালক ও তিন মাছব্যবসায়ীকে পুলিশ হাত-মুখ বাঁধা অবস্থায় মাঠের মধ্যে থেকে উদ্ধার করে। এরা হচ্ছে-আলমসাধু চালক জহির, মাছ ব্যবসায়ী ভবানন্দ, স্বরজিৎ ও রিপন। আটককৃত ডাকাতরা হচ্ছে- কোটচাঁদপুর শহরের বাসস্ট্যান্ডপাড়ার সজিব আহমেদের ছেলে মাসুম (২২), রুদ্রপুর গ্রামের মৃত আব্দুল মজিদের ছেলে রিপন (২৪), মহেশপুর উপজেলার জলিলপুর গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে আক্তারুজ্জামানের আক্তার (৩০)। বর্তমানে আক্তার কোটচাঁদপুর শহরের দুধসরা গ্রামে ভাড়া বাড়িতে বসবাস করে। এদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী ভোররাতে পুলিশ মহেশপুর উপজেলার বজরাপুর গ্রাম থেকে তৈয়ব আলীর ছেলে হানিফকে (২১) গ্রেফতার করে। সেইসাথে পূর্বে ডাকাতি হওয়া লাল রঙের ফ্রিডোম-১০০ সিসি মোটরসাইকেল আক্তারের দুধসরা ভাড়াবাসা থেকে পুলিশ উদ্ধার করে। ডাকাতরা সাংবাদিকদের জানায়- যশোহরের রাশেদুল ও মহেশপুর উপজেলার কাকিলাদাড়ি গ্রামের বাবলু মাছভর্তি আলমসাধুটি নিয়ে চলে যায়। এসআই যুবায়েদ খান জানান, জীবননগর উপজেলার হাসাদাহ গ্রামের ফজলু, বদ্দিনাথপুর গ্রামের ঠাণ্ডু, মহেশপুর উপজেলার বজরাপুর গ্রামের মনির মেম্বার, কালিগঞ্জ উপজেলার লাওতলা গ্রামের বাবু এইসব ডাকাতদের আশ্রয়-প্রশ্রয়দাতা। ডাকাতির পর লুণ্ঠিত জিনিসপত্র এরাই বিক্রি করে দেয় বলে ডাকাতরা পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে। এছাড়া তারা কোটচাঁদপুরের বারোমাসিয়া, সাবদালপুর সড়ক, কালিগঞ্জ-জীবননগর সড়কের পাতিবিলা, কাটাখালী, কোটচাঁদপুর-চৌগাছা সড়কের জাবড়ে ক্ষেতসহ বিভিন্ন রাস্তায় দীর্ঘদিন ধরে ডাকাতি করে আসছে।