কোটচাঁদপুরে গণ পিটুনীতে পুলিশের র্সোস নিহত

কোটচাঁদপুর প্রতিনিধি: কেউ বলেছে, গরু চোর, কেউ বলেছে পুলিশের সোর্চ। যে যাই বলুক ব্যচারী বেকায়দা পড়ে গণপিটুনিতে প্রাণ হারিয়েছে। সে ঝিনাইদহ কোর্টচাঁদপুরের বড়বাউনদহ গ্রামের মৃত আকুব্বার বিশ্বাসের ছেলে ফারুক হোসেন।
ঝিনাইদহ কোটচাঁদপুর পৌর এলাকার বড়বাউনদহ গ্রামে গতকাল বৃহস্পতিবার ভোরে ফারুক হোসেন নামে এক যুবক গণপিটুনীতে নিহত হয়েছে। নিহত যুবক এক সময় পুলিশের র্সোসের কাজ করতো। সোর্সের কাজ করতে গিয়ে সে এলাকাবাসীর একটি অংশের রোষানলে পড়ে। সেই শত্রুতা থেকে তাকে চোর অপবাদ দিয়ে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হতে পারে বলে অনেকে ধারনা করছে। তবে পুলিশের ভাষ্য, গ্রামেরই এক বাড়িতে চুরি করতে গিয়ে ধরা পড়ে গণপিটুনীর শিকার হয়। পুলিশ জানায়, বড়বাউনদহ গ্রামের মৃত আকুব্বার বিশ্বাসের ছেলে ফারুক হোসেন (৩৮) বুধবার দিবাগত রাতে একই গ্রামের আমিরুল ইসলামের ঘরে চুরি করার উদ্দেশে ঢুকে। এ সময় গৃহকর্তা টেরপেয়ে ফারুক হোসেনকে জাপটে ধরে সে চিৎকার শুরু করে। গৃহকর্তার চিৎকার শুনে গ্রামবাসী ঘটনাস্থলে এসে ফারুকের ওপর চড়াও হয়ে গণপিটুনী দিতে থাকে। বৃহস্পতিবার ভোরে সংবাদ পেয়ে পুলিশ ফারুককে মুর্মূষু অবস্থায় উদ্ধার করে কোটচাঁদপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। জরুরী বিভাগের দায়িত্বরত ডাক্তার জনান, পুলিশ ফারুককে হাসপাতালে আনার কিছু সময় পরই সে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। কোটচাঁদপুর থানার অফিসার ইনর্চাজ বিপ্লব কুমার সাহা জানান, কোটচাঁদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বিপ্লব কুমার সাহা জানান, ভোরে ওই গ্রামের আমিনুল ইসলামের বাড়িতে গরু চুরি করতে যায় ফারুক হোসেন। বাড়ির লোকজন টের পেয়ে চিৎকার দিলে প্রতিবেশীরা এসে ফারুককে ধরে গণপিটুনি দেয়। তাকে আহত অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হলে সকালে তিনি মারা যান। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালেরমর্গে পাঠানো হচ্ছে। এ ঘটনায় এখনো থানায় কোনো মামলা হয়নি বলে জানান ওসি।