কেনিয়ায় শপিংমলে হামলায় অভিযুক্ত ব্রিটিশ নারী

 

মাথাভাঙ্গা মনিটর: কেনিয়ার রাজধানী নাইরোবির একটি শপিংমলে সাম্প্রতিক গণহত্যার মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে এক ব্রিটিশ নারীকে অভিযুক্ত করেছে কেনিয়ার পুলিশ। পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, তাদের প্রাথমিক তদন্তে ওই রক্তক্ষয়ী হামলার কেন্দ্রবিন্দুতে চলে এসেছে সামান্থা লেউথওয়েটের নাম। একই দিন ব্রিটিশ পুলিশ স্কটল্যান্ড ইয়ার্ডের একটি গোপন নথীতে দাবি করেছে, সামান্থা তার মোমবাসার বাসভবনকে বোমা তৈরির কারখানায় পরিণত করেছিলেন। এছাড়া নাইরোবির চাঞ্চল্যকর শপিংমলের সামনেই একটি ফ্ল্যাট ভাড়া করেছিলেন তিনি। সামান্থার স্বামী জেরমাইন লিন্ডসে ২০০৫ সালের ৭ জুলাই লন্ডনে চালানো এক আত্মঘাতী হামলায় নিহত হওয়ার পর থেকে সামান্থা শাদা বিধবা হিসেবে পরিচিতি পেয়েছিলেন। তবে প্রথম স্বামী মারা যাওয়ার পর তিন সন্তানের জননী সামান্থা কেনিয়ার নাগরিক আবদি ওয়াহিদের সাথে বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে ব্রিটেন থেকে স্থায়ীভাবে কেনিয়ায় চলে গিয়েছিলেন। ২০১১ সালে কেনিয়ার মোমবাসায় নিজ বাসভবনে বিস্ফোরক দ্রব্য রাখার অপরাধে গ্রেফতার হয়েছিলেন ওয়াহিদ। গত সপ্তায় নাইরোবির অভিজাত এলাকার একটি শপিংমলে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলায় ৬৭ ব্যক্তি প্রাণ হারায়। আন্তর্জাতিক পুলিশ সংস্থা ইন্টারপোল কেনিয়া কর্তৃপক্ষের অনুরোধে ২৯ বছর বয়সী নও মুসলিম সামান্থা লেউথওয়েটকে গ্রেফতারের জন্য আন্তর্জাতিক গ্রেফতারি পরোয়ানা অল পয়েন্টস বুলেটিন (এপিবি) জারি করেছে। সামান্থা সোমালিয়াভিত্তিক সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আশ-শাবাবের সদস্য বলে মনে করা হচ্ছে। নাইরোবির পাশবিক হামলার দায়িত্ব স্বীকার করেছে এ সন্ত্রাসী গোষ্ঠীটি।