কুষ্টিয়ায় গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি: কুষ্টিয়ায় শিলা আক্তার (২৬) নামের এক সন্তানের জননী গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল মঙ্গলবার সকালে জেলার মঙ্গলবাড়িয়া এলাকার একটি বাড়ি থেকে কুষ্টিয়া মডেল থানা পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে। শিলা আক্তার মিরপুর উপজেলার মশান গ্রামের আব্দুল মালেকের মেয়ে মঙ্গলবাড়িয়া এলাকার সালাহ উদ্দিন রানার স্ত্রী।
পুলিশ জানায়, স্থানীয়দের কাছে খবর পেয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানা পুলিশ মঙ্গলবাড়িয়া এলাকার একটি বাড়ি থেকে শিলা আক্তার নামে এক গৃহবধূর মৃতদেহ উদ্ধার করে। কুষ্টিয়া মডেল থানার উপ-পরিদর্শক সঞ্চয় জানান, গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল রিপোর্ট করে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালমর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে শিলাকে হত্যা করা হয়েছে। তার গলায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলেও জানান তিনি। তবে ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পর জানা যাবে হত্যা নাকি আত্মহত্যা। এ ব্যাপারে পুলিশের পক্ষ থেকে ইউডি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
শিলার পিতা আব্দুল মালেক জানান, ১১ বছর আগে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের দাবি করে আসছিলো আমার জামাই। আমি খুব কষ্ট করে মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করে অনেক কিছুই দিয়েছি। বেশ কিছুদিন ধরেই আমার মেয়েকে শারীরিক নির্যাতন চালায়। এমনকি আমার সামনেও বেশ কয়েকবার আমার মেয়েকে শারীরিক নির্যাতন চালিয়েছে। এ বিষয় নিয়ে গত সোমবার আমরা নারী মুক্তি অফিসে মৌখিকভাবে অভিযোগ দিয়েছি। এ কারণে সোমবার রাতের কোনো এক সময়ে আমার মেয়ের ওপর নির্যাতন চালিয়ে হত্যা করে ফ্যানের সাথে ঝুলিয়ে রাখে।
এলাকাবাসী জানায়, ঘরের দরজা না আটকিয়ে আত্মহত্যা রহস্যজনক। সালাহ উদ্দিন কুষ্টিয়ার নারী মুক্তি ও শিশু উন্নয়ন সংস্থার একটি প্রকল্পের ফিল্ড কো-অর্ডিনেটর এবং সপ্তসুর শিল্পীগোষ্ঠী নামের এক প্রতিষ্ঠানের গানের শিক্ষক ছিলেন।
একটি বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, সপ্তসুর শিল্পীগোষ্ঠী নামের এক প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক হওয়ার সুবাদে সেখানে একাধিক মেয়ের সাথে সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরই ফলশ্রুতিতে বিষয়টি তার স্ত্রী শিলা আক্তার জেনে গেলে পারিবারিকভাবে বিরোধ সৃষ্টি হয়। এই বিরোধের এক পর্যায়ে সালাহ উদ্দিন রানা তার স্ত্রীর ওপর অমানুষিক নির্যাতন চালাতো।