কিডনি কেটে নেয়ার পর মারা গেলোশিশু

স্টাফ রিপোর্টার: দুটি কিডনিই কেটে নেয়ার পর সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ার ছয় বছর বয়সী এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।পুলিশ জানায়, এ ঘটনায়জড়িত অভিযোগে কিডনি পাচারকারী সন্দেহে খলিল (২২) নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।মঙ্গলবার সিরাজগঞ্জেরজ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম কোহিনুর আরজুমানের আদালতে খলিল স্বীকারোক্তিমূলকজবাববন্দি দিয়েছেন।

মৃত হারুন (৬) সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার উধুনিয়া ইউনিয়নের তেবাড়িয়া গ্রামের কৃষক আব্দুল হান্নানের ছেলে।উল্লাপাড়া থানার উপপরিদর্শকআব্দুল জলিল জানান, গত২২ এপ্রিল বিকেলে শিশু হারুন নিখোঁজ হয়। ২৬ এপ্রিল সন্ধ্যায়পার্শ্ববর্তী ফইলার বিলেরএকটি ডোবায় কচুরীপানার নিচে তার ‘কিডনিবিহীন’ মৃতদেহ উদ্ধার করাহয়।এ ঘটনায় হারুনের পিতা আব্দুল হান্নান একই গ্রামের তিনজনকে সন্দেহজাজন আসামি করে থানায় মামলা করেন।রোববার (২৭ এপ্রিল) রাতে পালিয়ে যাওয়ার সময়উপজেলার সীমান্তবর্তী কালিয়াকৈর এলাকা থেকে খলিলকে গ্রেফতার করা হয়।মঙ্গলবারআদালতে হাজিরকরলে খলিল স্বীকারোক্তিমূলক জবাববন্দি দেন। এরপর তাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়।খলিল উল্লাপাড়ার উধুনিয়া ইউনিয়নের তরফবাড়িয়া গ্রামের কালু প্রমানিকের ছেলে।এ মামলার অন্য আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টাচলছে বলেও জানান এসআই জলিল।

আদালতে জবানবন্দি প্রদানশেষে খলিল সাংবাদিকদের জানান, ঢাকার সাভারের একটি চক্রের কাছে শিশু হারুনের কিডনিবিক্রির জন্য তরফবাড়িয়াগ্রামের বেলাল হোসেনের ছেলে চাদ আলী (২৫), মন্টু প্রমানিকের ছেলেমতিন (৩০) ও দুলালের ছেলে দেলোয়ার ১০ লাখ টাকায় একটি চুক্তি করে।এরপর তারা হারুনকে অপহরণের পরিকল্পনা করে। এজন্য কয়েকদিন ধরে তারা হারুনকে নানা খাদ্যদ্রব্য কিনে দিয়ে মন ভোলায়।খলিলজানান, গত ২২ এপ্রিল সন্ধ্যায় বাড়ির পাশ থেকে অজ্ঞান করে বস্তায় ভরেহারুনকে নিয়ে যায় চাদ, মন্টু ও দেলোয়ার। এরপর বিষয়টি তারা খলিলকে জানায়।ওইদিনইরাত ২টার দিকে উধুনিয়া ব্রিজের নিচে শিশুটিকে নিয়ে যাওয়ার পর খলিল দেখেনসেখানে আগে থেকেই আরো তিন জন অপেক্ষা করছিলো, যারা ঢাকার সাভার থেকে আসে।এদের মধ্যে একজন ডাক্তার ছিলো বলেও খলিল জানান।খলিলবলেন, সবাই সেখানেপৌঁছানোর পর ব্রিজের নিচে শিশুটির দুটি কিডনি কেটে নিয়ে স্যালাইনেরপ্যাকেটে ভরে সাভার থেকে আসা তিন ব্যক্তি মোটরসাইকেলে দ্রুত স্থান ত্যাগকরে।খলিলকে দু লাখ টাকা দেয়ার কথা থাকলেও শেষেমাত্র ২০ হাজার টাকা দিতে চাইলেও তিনি নেননি বলে জানান। পরে শিশুটির লাশআবার বস্তায় তুলে ফইলার বিলের কচুরীপানারনিচে ফেলে রাখেন।