কালীগঞ্জে বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখান করায় দশম শ্রেণির ছাত্রীকে অপহরণ

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: ঝিনাইদহ কালীগঞ্জ উপজেলার খামারমুন্দিয়া গ্রাম থেকে তানিয়া হ্যাপী নামে (১৬) এক স্কুলছাত্রীকে অপহরণ করা হয়েছে। স্থানীয় দুলালমুন্দিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী তানিয়া খামারমুন্দিয়া গ্রামের আক্তারুজ্জামানের মেয়ে। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যার দিকে প্রাইভেট পড়ে বাড়ি ফেরার পথে ইমন শিকদার নামে এক যুবক দলবল নিয়ে তানিয়াকে অপহরণ করে বলে পরিবারটির অভিযোগ। ইমন শিকদার ঝিনাইদহ সদর উপজেলার ঘোড়শাল ইউনিয়নের চান্দো গ্রামের মনিরুল ইসলাম শিকদারের ছেলে। তানিয়ার মা রোজিনা খাতুন অভিযোগ করেন, অপহরণকারী ইমনের খালু আজিজুল ও চাচি আরজিনা খাতুন প্রায় তার মেয়ের বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে বাড়িতে আসতো। কিন্তু মেয়ের বয়স না হওয়ার কারণে এই প্রস্তাবে তারা রাজি ছিলো না। এতে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। গত মঙ্গলবার তানিয়া হ্যাপী গ্রামের হাসানুজ্জামান নামে এক শিক্ষকের কাছ থেকে প্রাইভেট পড়ে বিকেলে বাড়ি ফিরছিলো। এ সময় রাস্তায় পাশে ওৎ পেতে থাকা ইমন দলবল নিয়ে তানিয়া হ্যাপীকে অপহরণ করে চান্দো গ্রামে নিয়ে যায়। জন্মনিবন্ধন অনুসারে তানিয়া হ্যাপীর বয়স ১৬ বছর ২৯ দিন। মা রোজিনা খাতুন মেয়েকে ফেরত চান। তানিয়ার খালু ইলেক্ট্রিক মিস্ত্রি ফজলুর রহমান জানান, শুনছি তানিয়ার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক বাল্যবিয়ে করেছে ইমন শিকদার। আমরা মেয়েকে উদ্ধারের চেষ্টা করছি। তিনি আরও জানান, আমরা কালীগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ করেছি। পুলিশ দ্রুত সময়ের মধ্যে অপহৃত মেয়েকে উদ্ধারের আশ্বাস দিয়েছেন। রায়গ্রাম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলী হোসেন অপু জানান, প্রথমে মেয়ের অভিভাবকরা আমাকে বলেছিলো। কিন্তু পরে তারা নীরবতা পালন করে। সম্পর্ক করে বিয়ে হওয়ার কারণে আর উদ্যোগ নেয়া সম্ভব হয়নি বলেও চেয়ারম্যান জানান। এ বিষয়ে কালীগঞ্জ থানার ওসি মিজানুর রহমান খাঁন খবরের সত্যতা স্বীকার করে জানান, মেয়ের স্বজনরা আসছিলো। আমরা স্কুলছাত্রীকে উদ্ধারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছি। আজকালের মধ্যেই স্কুলছাত্রী হ্যাপীকে উদ্ধার করে তার বাবা-মায়ের কাছে ফিরিয়ে দেয়া হবে।