কালীগঞ্জে পোল্ট্রি খামারীকে কুপিয়ে খুন : শৈলকুপায় ধড়-মস্তক বিচ্ছিন্ন লাশ উদ্ধার

 

 

ঝিনাইদহ/কালীগঞ্জ প্রতিনিধি: ঝিনাইদহ কালীগঞ্জের এক পোল্ট্রি খামার মালিককে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে খুন করা হয়েছে। অপরদিকে শৈলকুপায় অজ্ঞাত পরিচয়ের এক ব্যক্তির ধড়-মস্তক বিচ্ছিন্ন লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতবৃহস্পতিবার রাতের কোনো এক সময়ে পৃথক স্থানে দুটি খুনের ঘটনা ঘটে।

কালীগঞ্জ উপজেলার মেগুরখিদ্দা গ্রামে পোল্ট্রিখামার মালিক মহসিন আলীকে (৩৫) কুপিয়ে খুনের নেপথ্যে পূর্ববিরোধ থাকতে পারে বলে পুলিশ প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে। শৈলকুপার শেখপাড়া বাজারে ব্যাগের ভেতর মাথা ও এক কিলোমিটার দূরে ডিএম কলেজের পাশে পড়ে থাকা দেহের পরিচয় মেলেনি।

ঝিনাইদহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাসানুজ্জামান জানান, সকাল ৮টার দিকে জেলার শৈলকুপা উপজেলার শেখপাড়া বাজারের জনৈক আমিরুল ইসলাম ডাক্তারের দোকানের পেছনে পরিত্যক্ত একটি বাজারের ব্যাগের মধ্যে একটি দেহবিহীন মাথা দেখতে পায় এলাকাবাসী। তারা শৈলকুপা থানায় খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মাথাটি উদ্ধার করে। এক কিলোমিটার দূরে ডিএম কলেজের পেছনের একটি মেহগনি বাগান থেকে মস্তকবিহীন দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তার নাম পরিচয় জানা যায়নি। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালমর্গে নেয়া হয়।অন্য কোথাও থেকে ধরে এনে হত্যার পর মাথা ও দেহ পৃথক জায়গায় ফেলে হত্যাকারীরা পালিয়ে গেছে বলে পুলিশ ধারণা করছে।

এলাকাবাসী জানায়, লাশটি কোনো অভিজাত পরিবারের সন্তানের হবে বলে মনে হয়। তার পায়ে দামি জুতা, পরনে জিন্সের প্যান্ট, গলায় সোনার চেন এবং হাতে কয়েকটি সোনার আংটি পাওয়া গেছে।

এদিকে কালীগঞ্জ উপজেলার মেগুরখিদ্দা গ্রামে হুজুর আলীর ছেলে পোল্ট্রিব্যবসায়ী মহসিন আলী ভোরে সেহরি খেয়ে নিজ বাড়ি সংলগ্ন পোল্ট্রি খামারে ঘুমিয়ে ছিলেন। রাতের কোনো এক সময়ে দুর্বৃত্তরা তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করে পালিয়ে যায়। সকাল ৭টার দিকে বাড়ির লোকজন খামার থেকে তার ক্ষত-বিক্ষত লাশ দেখে পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিহত মহসিন আলীর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালমর্গে নেয়।কালীগঞ্জ থানার ওসি বলেছেন, ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করা হয়েছে। তবে কারা কেন খুন করেছে তা তদন্তের আগে বলা যাবে না। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে পূর্ব কোনো বিরোধের জের ধরে খুনের ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। আড়ালে নারীঘটিত ঘটনা আছে কি-না তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।