কারাগারে আসামির হার্ট অ্যাটাকের কথা বলে বিকাশে টাকা নেয়ার পাঁয়তারা

কার্পাসডাঙ্গা প্রতিনিধি: দামুড়হুদা উপজেলার কুড়ুলগাছির ইউনিয়নের ধান্যঘরা গ্রামের মাঝপাড়ার সাহেব আলীর ছেলে শুকুর আলী এক সপ্তাহ আগে বিজিবির হাতে ভারতীয় মালামালসহ আটক হয়ে চুয়াডাঙ্গার কারাগারে আছেন। কারাগারে হার্ট অ্যাটাক হয়েছে অপারেশন করার জন্য ৯০ হাজার টাকা লাগবে বলে শুকুর আলীর পরিবারের কাছে ফোন করে চুয়াডাঙ্গা জেল সুপার পরিচয় দিয়ে  বিকাশের মাধ্যমে টাকা দিতে হবে বলা হয়। আসামির ভাই টাকা বিকাশের মাধ্যমে না দিয়ে সরাসরি জেল সুপারের সাথে দেখা করতে গেলে জানতে পারেন আসামির কিছুই হয়নি।

আসামি শুকুর আলীর পরিবারসূত্রে জানা গেছে, গত সোমবার বিকেল ৫টার দিকে উপজেলার কুড়ুলগাছি ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম পুলিশ আয় চাঁদ আলী চুয়াডাঙ্গা কারাগারের আসামি শুকুর আলীর বাড়িতে গিয়ে তার ভাই আয়ূব আলীকে বলেন তোমার ভাই কারাগারে অসুস্থ তাই তোমার সাথে কথা বলবে তুমি ফোন রিসিভ করে কথা বলো। এরপর প্রথমে ফোন দেয় দামুড়হুদা মডেল থানার দারোগা আলমগীর পরিচয় দিয়ে ০১৭৯১৪৪৭১৯৭ নম্বর থেকে। তিনি বলেন তোমার ভাই কারাগারের ভেতরে হার্ট অ্যাটাক করেছে তার অপেরশের জন্য ৯০ হাজার টাকা লাগবে। সরকার ৩০ হাজার টাকা দিবে আর বাকি ৬০ হাজার টাকা তোমরা দিবে। তোমার কাছে চুয়াডাঙ্গা জেল সুপার এখনি ফোন দিবে। এরপর জেল সুপার পরিচয়ে ০১৭৯১৪৪৬৯৮৪ নম্বর থেকে ফোন আসে। জেল সুপার পরিচয় দিয়ে তিনি বলেন, আপনার ভাইকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল থেকে খুলনা মেডিকেল হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে। তার অপারেশনের টাকাগুলো বিকাশ করে দাও তাড়াতাড়ি। আসামির ভাই আয়ূব আলী টাকা সংগ্রহ করতে থাকে এর মধ্যে হাসপাতালের ডাক্তার পরিচয় দিয়ে ০১৭৯৩৪৮৬৩৩৮ নম্বর থেকে ফোন দিয়ে বলেন, আপনার ভাইয়ের দু ঘণ্টার মধ্যে অপারেশন না করালে তিনি বাঁচবেন না, তাই যে নম্বর দিচ্ছি সেই নম্বরে ৬০ হাজার টাকা বিকাশ করে পাঠান।

এদিকে কারাগারের আসামি শুকুর আলীর ভাই আয়ূব আলী জানান, আমার কাছে কুড়ুলগাছি ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম পুলিশ আয়চাঁদ আলী এসে বলেন তোমার ভাই অসুস্থ তাই তোমার কাছে ফোন আসবে তুমি কথা বলো। প্রথমে দামুড়হুদা থানার দারোগা, জেল সুপার, ডাক্তার পরিচয়  দিয়ে ফোন দিয়ে বলেন, তোমার ভাই কারাগারের মধ্যে হার্ট অ্যাটাক করেছে ৯০ হাজার টাকা লাগবে ৩০ হাজার টাকা সরকার দেবে আর বাকি ৬০ হাজার টাকা তোমাদের দিতে হবে। সর্বশেষ খুলনা হাসপাতালের ডাক্তার পরিচয় দিয় বলে বিকাশ নম্বরটা নাও তাড়াতাড়ি টাকা দাও অপারেশন করা লাগবে না হলে তোমার ভাইকে বাঁচানো যাবে না। আমি টাকা সংগ্রহ করে বিকাশে না দিয়ে সন্ধ্যায় চুয়াডাঙ্গা কারাগারে জেলসুপারের সাথে দেখা করতে গিয়ে জানতে পেলাম আমার ভাইয়ের কিছুই হয়নি তিনি জেলেই আছেন। এদিকে গ্রামপুলিশ আয়চাঁদ আলীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সোমবার বিকেলে আমার কাছে ফোন দিয়ে বলেন তোমাদের ওয়ার্ডে শুকুর আলীর বাড়িতে যাও সে খুব অসুস্থ তার বাড়িতে কথা বলবো তাই তার বাড়িতে সংবাদ দেয়ার জন্য আমি গিয়েছিলাম।