কবিরাজের অপচিকিৎসায় যন্ত্রণায় কাতর ৪ বছরের শিশু

হঠাত ব্যথায় দিশা হারিয়ে চিকিৎসকের বদলে কবিরাজের নিকট নিয়ে বিপত্তি

 

স্টাফ রিপোর্টার: ইব্রাহিমের বয়স ৪ বছর। ৪ দিন আগে তার ডান পায়ের হাঁটুতে হঠাত ব্যথা। সেই ব্যথা তাড়াতে কবিরাজের নিকট নিয়ে ঝাঁড়ফুঁক আর মালিশ করে বেড়েছে জটিলতা। ইতোমধ্যেই হাঁটুতে ইনফেকশন দেখা দিয়েছে। গতকাল শুক্রবার তাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে অর্থপেডিক সার্জনকে দেখানো হলে এক্স-রেসহ প্রয়োজনীয় পরীক্ষায় ইনফেকশন ধরা পড়ে।

শিশু ইব্রাহিম চুয়াডাঙ্গা আলমডাঙ্গার চিৎলা ইউনিয়নের রুইথনপুর গ্রামের টুটুল মল্লিকের ছেলে। গতকাল ইব্রাহিমকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেয়া হয়। অতোটুকু শিশুর হাঁটুতে অতো যন্ত্রণা কেন? বিস্তারিত জানাতে গিয়ে তার সাথে থাকা বড়রা বলেন, ৪ দিন আগে হঠাত করেই শিশু ইব্রাহিম তার হাঁটুতে ব্যথার কথা বলে। ভালাইপুরের বক্কর নামের একজন ওদের আত্মীয়। তিনি কবিরাজি করেন। তার নিকট নেয়া হলে তিনি ঝাঁড়ফুঁকসহ মালিশের ব্যবস্থা করেন। তাতে যন্ত্রণা দূর হওয়া দূরাস্ত, তীব্র থেকে তীব্রতর হতে থাকে। ফুলতে শুরু করে। ফলে শেষ পর্যন্ত নেয়া হয়েছে হাসপাতালে।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের অর্থপেডিক সার্জন ডা. আবু বক্কর সিদ্দিক শিশু রোগীকে কাছে পেয়ে প্রয়োজনীয় পরীক্ষার পরামর্শ দেন। পরীক্ষা করে জানা যায়, তার হাঁটুতে ইতোমধ্যেই ইনফেকশন হয়ে গেছে। চিকিৎসক বলেছেন, ওই ব্যথা বাতাসে নয়, বাতাসে কোনো ব্যথা হয় না। কবিরাজি চিকিৎসায় উপশমের বদলে রোগ জটিল রূপ নেয়। শিশু ইব্রাহিমের ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে। অনেক সময় দূরন্তপনার কারণে কখন আঘাত লেগেছে শিশু তা মনে করতে না পেরে এমনিতেই প্রচণ্ড ব্যথা হয়েছে বলে জানিয়ে পা নড়াতে পারে না। শুধু যে আঘাতজনিত কারণেই এরকম ব্যথা হয় তাও নয়, মানসিক কারণেও হতে পারে। যাই হোক, বিলম্বে হলেও যেহেতু ইব্রাহিমকে হাসপাতালে নেয়া হয়েছে, সেহেতু দ্রুত উপসমের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। তবে কিছুটা সময় লাগবে।