কঠোর নিরাপত্তায় কাল ভোট

স্টাফ রিপোর্টার: বিরোধীদলের বর্জনের মুখে ৫৯ জেলায় কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্যদিয়ে আগামীকাল রোববার দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আয়োজনে সাড়ে চার লাখ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য নিয়োজিত থাকবে। নির্বাচনী সামগ্রী প্রেরণ ও নজরদারীর জন্য পার্বত্য অঞ্চলের ৩ জেলার ৩৩ কেন্দ্রে ব্যবহার করা হবে হেলিকপ্টার। নির্বাচনে কমপক্ষে ২৫টি জেলার ৯০টির মতো আসনকে ঝুঁকিপূর্ণ (গুরুত্বপূর্ণ) হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। এসব আসনে বিরোধী জোটের নির্বাচন প্রতিরোধে গঠিত সংগ্রাম কমিটি, জামায়াত-শিবিরের নাশকতার আশঙ্কা রয়েছে।

এ বিষয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দীন আহমেদ জানিয়েছেন, ভোটাররা সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে যাতে ভোটকেন্দ্রে যেতে পারে, তার জন্য সব আয়োজন সম্পন্ন করা হয়েছে। আশা করছি নির্বিঘ্নে ভোটাররা ভোট কেন্দ্রে এসে পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেবেন।

আগামী ৫ জানুয়ারি ৫৯টি জেলার ১৪৭টি আসনে ভোট গ্রহণ হবে। জয়পুরহাট, রাজবাড়ী, মাদারীপুর, শরীয়তপুর ও চাঁদপুরের সব আসনের প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হওয়ায় এসব জেলার কোনো আসনে ভোট হবে না। মোট ৯ কোটি ১৯ লাখ ৬৫ হাজার ৯৭৭ জন ভোটারের মধ্যে এবার ভোট দেবেন ৪ কোটি ৩৯ লাখ ৩৮ হাজার ৯৩৮ জন। ১৪৭ আসনে মোট ভোটকেন্দ হচ্ছে ১৮ হাজার ২০৮টি। আর ভোটকক্ষ ৯১ হাজার ২১৩টি। এ আসনগুলোতে ১২টি রাজনৈতিক দলের মোট ৩৯০ জন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ভোটযুদ্ধে থাকছেন। নির্বাচনে দায়িত্বে আছেন রিটার্নিং অফিসার ৫৯, সহকারী রিটার্নিং অফিসার ২৮৭ জন, প্রিসাইডিং অফিসার ১৮ হাজার ২০৮, সহকারী প্রিসাইডিং ৯১ হাজার ২১৩, পোলিং অফিসার ১ লাখ ৮২ হাজার ৪২৬, ইলেকটরাল ইনকোয়ারি কমিটি ১০৩ (২ সদস্য), জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ১৪৭ এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ২৯৪ জন।

ভোটগ্রহণের সব প্রস্তুতি ইতোমধ্যে শেষ করেছে কমিশন। প্রায় সাড়ে ৪ কোটি ব্যালট মুদ্রণ করে তা কমিশনের আঞ্চলিক কার্যালয়গুলোতে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। ভোট গ্রহণের দিন সকালে ব্যালট পেপারসহ অন্যান্য সামগ্রী ভোটকেন্দ্রে নেয়া হবে। যে ৫৯ জেলার ১৪৭ আসনে নির্বাচন হচ্ছে তার মধ্যে ২৫টি জেলার ৯০টির মতো আসনকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসাবে আখ্যায়িত করা হয়েছে। নির্বাচনে বিরোধী জোটের নাশকতার পাশাপাশি কিছু আসনে প্রার্থীর লোকজন পেশীশক্তি ব্যবহার করতে পারে। আর বেশিরভাগ আসনেই বিএনপি-জামায়াত মিলিতভাবে নির্বাচন বানচালে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারে।

নাশকতাপ্রবণ জেলাগুলো হলো ঢাকা, মুন্সীগঞ্জ, শেরপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, নেত্রকোনা, সাতক্ষীরা, যশোর, মেহেরপুর, খুলনা, ঝিনাইদহ, রাজশাহী, বগুড়া, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নীলফামারী, দিনাজপুর, ময়মনসিংহ, নরসিংদী, গাইবান্ধা, হবিগঞ্জ, নোয়াখালী, ফেনী, কুমিল্লা, লক্ষ্মীপুর, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার। নির্বাচন উপলক্ষে সারাদেশে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলা হয়েছে।