এমপি মনোনীত সদস্যের অনমনীয়তার কারণে আটকে গেছে চুয়াডাঙ্গায় মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কার্যক্রম

 

স্টাফ রিপোর্টার: বাদ পড়ে থাকা মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকাভুক্তির জন্য সরকারি উদ্যোগে গঠিত মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কমিটির কার্যক্রম আটকে গেছে এমপি মনোনীত সদস্যের অনমনীয়তার কারণে। অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে মুক্তিযোদ্ধা যাচাইবাছাই কার্যক্রম।

বিশ্বস্তসূত্রে জানা গেছে, মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় নাম না ওঠা প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকাভুক্ত করার লক্ষ্যে সরকারি উদ্যোগে সারাদেশব্যাপি বাদ পড়া মুক্তিযোদ্ধাদের নিকট থেকে ২০১২ সালের আগস্ট মাস পর্যন্ত আবেদনপত্র সংগ্রহ করা হয়। বাদপড়া মুক্তিযোদ্ধাদের যাচাই বাছাইকল্পে গঠন করা হয় মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কমিটি। স্ব স্ব উপজেলা ও জেলার নির্বাচিত মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডারগণসহ ইউনিয়ন ও পৌরসভার দুজন প্রতিনিধি এবং সংসদ সদস্যদের মনোনীত প্রতিনিধি যুদ্ধকালীন কমান্ডার উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও জেলা প্রশাসকের সমন্বয়ে গঠিত হয় মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কমিটি। চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার যাচাই-বাছাই কমিটিতে মনোনীত সদস্য হিসেবে গোলাম সোয়াইব মিলি এবং মুক্তিযোদ্ধা যুদ্ধকালীন কমান্ডার আ.শু বাঙালীকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

দৈনিক মাথাভাঙ্গায় বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এবং ব্যক্তিগত চিঠি দিয়ে বাদপড়া আবেদনকারীদের সাক্ষাৎকার গ্রহণ শেষে সঠিক তালিকা প্রণয়নকালে যাচাই-বাছাই কমিটির এমপি মনোনীত প্রতিনিধি আ.শু বাঙালীর অনমনীয়তার কারণে যাচাই বাছাই কার্যক্রমে জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে।

খবরে জানা গেছে, যাচাই-বাছাই কমিটির ইউনিয়ন প্রতিনিধিদের দ্বারা বাদ দেয়া অমুক্তিযোদ্ধাদের নাম অন্তর্ভুক্তিসহ অনেক মুক্তিযুদ্ধবিরোধী ব্যক্তির নাম এবং আদৌ মুক্তিযুদ্ধের সময় কোনো ভূমিকা রাখেননি এমন সব ব্যক্তির কেউ অন্তর্ভুক্তি করে প্রণীত তালিকায় এমপি মনোনীত সদস্য আ.শু বাঙালী স্বাক্ষর করতে অপরাগতা প্রকাশ করায় কমিটির সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যরাও তালিকায় স্বাক্ষর না করার সিদ্ধান্ত নেন। ফলে আটকে গেছে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কার্যক্রম।

অপর এক সংবাদে জানা গেছে, সদর উপজেলা কমান্ডার তার সমর্থিত দু একজন বাছাই কমিটির সদস্য স্বাক্ষর সংগ্রহের জন্য সদস্যদের বাড়ি বাড়ি ধরনা দিয়ে বিফল হয়ে তাদেরকে হুমকি ধামকি দিয়ে স্বাক্ষর আদায়ের চেষ্টা চালাচ্ছেন।

এদিকে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কার্যক্রমে আর্থিক লেনদেনের খবর এখন লোকমুখে বহুল প্রচারিত। আর্থিক লেনদেনের কারণে এমন অনেকেই আবেদনের সুযোগ পেয়েছে। ৭১ সালে যাদের অনেকের বয়স ১৪ বছর বছরেরও কম ছিলো। যাচাই বাছাই কার্যক্রমের সৃষ্ট জটিলতা নিরসনে সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন বিশিষ্টজনেরা। এ ব্যাপারে যাচাই বাছাই কমিটির এমপি মনোনীত সদস্য আ.শু বাঙালীর কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ‘বিষয়টি আপাতত স্থগিত আছে। মাননীয় এমপি মহোদয়ের সাথে আলোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’