ইবিতে অর্থের বিনিময়ে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ভর্তির পাঁয়তারা

 

ইবি প্রতিনিধি: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশেষ কোটায় ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সন্তান ভর্তি হতে যাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এতে ক্ষমতাসীন ছাত্রসংগঠনের নেতার মাধ্যমে প্রায় লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে বলে জানা যায়। গতকাল রোববার বিশেষ কোটার ফলাফল প্রকাশ করলে এ তথ্যটি সবার নজরে আসে। এ নিয়ে ইতোমধ্যে প্রশাসনের মধ্যে গুঞ্জন শুরু হয়েছে।

জানা যায়, গতকাল রোববার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষার বিশেষ কোটার ফলাফল প্রকাশ করেছে কর্তৃপক্ষ। মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কোটার ফলাফলে সাঈদুর রহমান নামে এক শিক্ষার্থী প্রথম স্থান অধিকার করে। অথচ খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ওই ছাত্র মুক্তিযোদ্ধা সন্তান নয়। বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, ওই ছাত্র মুক্তিযোদ্ধার যে সনদপত্র জমা দিয়েছে তাতে দেখা যায় তার পিতার নাম মশিয়ার রহমান মোল্লা। অথচ তার এসএসসি, এইচএসসিসহ সব ধরনের সনদপত্র ও কাগজপত্রে তার পিতার নাম মশিউর রহমান লেখা আছে।

অন্যদিকে ওই রোল নম্বরে যে ছাত্র আইন ও শরীয়াহ অনুষদভূক্ত এইচ ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষা দিয়েছিলো এবং বর্তমানে যে ছাত্র ভর্তি হতে যাচ্ছে দুজনই এক নয়। ভর্তি পরীক্ষার প্রবেশপত্রের ছবির সাথে বর্তমানে যে ভর্তি হতে যাচ্ছে তার কোনো মিল নেই। অন্য ছাত্রকে দিয়ে ভর্তি পরীক্ষা দিয়ে এবং কিছুটা মিল থাকা মুক্তিযোদ্ধা সনদপত্র সংগ্রহ করে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় ভর্তি হতে যাচ্ছে বলে একটি মহল নিশ্চিত করেছে। ভর্তি পরীক্ষার প্রবেশপত্র, এইচএসসি-এসএসসির সনদপত্রসহ সব ধরনের কাগজপত্র মিলিয়ে দেখলে আসল সত্য জানা যাবে বলে জানিয়েছে একটি বিশ্বস্ত সূত্র।

এ ব্যাপারে বিশেষ কোটায় ভর্তি কমিটির সমন্বয়ক প্রফেসর ড. মনিরুজ্জামানের সাথে যোগাযোগে করতে চাইলে বার বার ফোন করেও তার মোবাইলফোন বন্ধ পাওয়া যায়। এ বিষয়ে ভিসি প্রফেসর ড. আবদুর হাকিম সরকার বলেন, বিষয়টি আমার জানা ছিলো না। এরূপ কোনো ঘটনা ঘটে থাকলে সে ব্যাপারে অবশ্যই খতিয়ে দেখা হবে এবং ব্যবস্থা নেয়া হবে।