ইকরা ও রসুলকে রিমান্ডে নেয়ার আবেদন জানিয়েছে পুলিশ

চুয়ডাঙ্গা গাড়াবাড়িয়ার আশরাফ উদ্দীন খুনের সাথে জড়িতদের ফাঁসির দাবি জানিয়ে পোস্টারিং

ইতি খাতুনসহ তিনজনকে ৮ সপ্তাহের জামিন দিয়ে নি¤œ অদালতে হাজিরের আদেশ দিয়েছে উচ্চ আদালত
স্টাফ রিপোর্টার: গাড়াবাড়িয়ার আশরাফ উদ্দীনকে নৃশংসভাবে খুনসহ বহু মামলার আসামি ইকরামুল হক ইকরা ও তার সহযোগী রসুলকে রিমান্ডে নেয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে পুলিশ। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ওসি (তদন্ত) ইন্সপেক্টর আব্দুল খালেক গতকালই দু’আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৭দিনের রিমান্ডের আবদন আদালতে পেশ করেছেন। তবে কবে নাগদ শোনানী হবে তা অবশ্য নিশ্চিত করে জানাতে পারেননি তিনি।
এদিকে মামলার ৩৮ আসামির মধ্যে ইকরা ও রসুল জেলহাজতে থাকলেও ইকরার স্ত্রী ইতি খাতুন, ছেলে স্বপ্নিল ও আব্দুল বাশারের স্ত্রী জামেলা খাতুন উচ্চ আদালত থেকে ৮ সপ্তাহের জামিন নিয়ে এলাকায় ফিরেছেন। ৮ সপ্তাহের মধ্যে এদেরকে চুয়াডাঙ্গার আমলি আদালতে হাজির হওয়ারও আদেশ দিয়েছেন উচ্চ আদালত। অপরদিকে আশরাফুদ্দিন ওরফে আশরাফ উদ্দীনকে যুবলীগের একনিষ্ঠ কর্মী বলে দাবি করে তাকে নৃশংসভাবে খুন করায় ইকরাসহ তার সহযোগীদের দৃষ্টান্তমূলক ফাঁসির দাবি জানিয়ে পোস্টারিং করা হয়েছে। পোস্টারে যুবদল নেতা বলে দাবিদার ইকরামুল হক ইকরার পিতা মকছেদ ম-ল স্বাধীনতা বিরোধী পিচ কমিটির সদস্য ছিলো বলে পোস্টারে উল্লেখ করা হয়েছে। একইসাথে ভূমিদস্যুদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে এলাকাবাসীকে স্বোচ্ছার হওয়ারও আহ্বান জানানো হয়েছে।
জানা গেছে, চুয়ডাঙ্গা জেলা সদরের শঙ্করচন্দ্র ইউনিয়নের গাড়াবাড়িয়া বাগানপাড়া জমিজমা নিয়ে বিরোধের জের ধরে গত ২৭ জানুয়ারি দিবালোকে বেঁধে একইপাড়ার আশরাফ উদ্দীন ওরফে আশরাফুদ্দিনকে নির্মমভাবে নির্যাতন করে নৃশংসভাবে খুন করা হয়। আশরাফ উদ্দীনের মেয়ে-ছেলেরা কয়েক দফা ঠেকাতে গেলে তাদেরকেও মেরে আহত করে তাড়িয়ে দেয়া হয়। ঘটনার পরদিন নিহত আশরাফ উদ্দীনের ভাই বাদি হয়ে ইকরামুল, তার স্ত্রী ছেলেসহ ৩৮ জনের নাম উল্লেখসহ ১০-১২ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়। মামলায় বেশ কিছু বিএনপি নেতা-কর্মীকেও আসামি করায় এলাকার সচেতনমহল পুলিশকে প্রকৃত দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়ে নির্দোশ কাউকে হয়রানি না করারও আহ্বান জানান। এরই এক পর্যায়ে গত বুধবার মামলার প্রধান আসামি ইকরামুল হক ইকরা ও রসুল আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। আদালত আবেদন না মঞ্জুর করে জেলহাজতে প্রেরণের আদেশ দেন। গতকাল এদের রিমান্ডের আবেদন জানিয়েছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা।