আল্ট্রাসনো রিপোর্টে পুরুষের পেটে ৪ মাসের মৃত সন্তান!

 

চুয়াডাঙ্গায় ভুল রিপোর্ট নিয়ে চাঞ্চল্য : ভিড়ের অজুহাত দেখিয়ে চিকিৎসকের ভুল স্বীকার

স্টাফ রিপোর্টার: চিকিৎসা নিতে গিয়ে রোগী সাধারণ কতোভাবেই যে বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছে তার যেন ইয়ত্তা নেই। ডান পায়ে সমস্যা, বাম পায়ে অস্ত্রোপচারের উদাহরণ আছে, এবার পুরুষের পেটে ব্যথার আল্ট্রাসনো করাতে গিয়ে রিপোর্ট পাওয়া গেলো ৪ মাসের সন্তান গর্ভে মারা গেছে। এ উদাহরণ সৃষ্টি হয়েছে গতকাল মঙ্গলবার চুয়াডাঙ্গায়।

গতকাল এ রিপোর্ট দেখিয়ে চিকিৎসা নিতে গেলে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মাসুদ রানার চোখ ওঠে কপালে। সর্বনাশ! এরকম হলো কীভাবে? আল্ট্রাসনোর রিপোর্টদাতা চিকিৎসক ডা. খবির উদ্দীন অবশ্য ভুল স্বীকার করে বলেছেন, একজনেরটা অন্যজনের ক্ষেত্রে হয়ে গেছে। রোগীদের ভিড়ের কারণেই এমন ভুলটি হয়েছে বলে ধারণা করছি। রোগী বদরগঞ্জ বোড়ার রাশেদুল ইসলাম অবশ্য পরে আল্ট্রাসনোর সঠিক রিপোর্ট পেয়েছেন।

ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে রোগী রাশেদুল ইসলাম বলেছেন, পেটে তীব্র যন্ত্রণা। চিকিৎসার জন্য গত সোমবার চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে আসি। হাসপাতালের ২২০ নম্বর কক্ষের ডা. সৈয়দ কবির জনকে দেখাই। তিনি আল্ট্রাসনো করাতে বলেন। হাসপাতাল এলাকারই একটি আল্ট্রাসনো সেন্টার থেকে আল্ট্রাসনো করায়। আল্ট্রাসানো করেন ডা. খবির উদ্দীন। রিপোর্ট দেন। সোমবারে রিপোর্ট দেখিয়ে ব্যবস্থাপত্র নেয়ার মতো সময় না পাওয়ার কারণে মঙ্গলবার আবার আসি। ২২০ নম্বর কক্ষে গিয়ে দেখি তালা মারা। চিকিৎসক নেই। একজনের পরামর্শে ডা. মাসুদ রানার চেম্বারে যাই। তিনি আল্ট্রাসানো রিপোর্ট দেখেই চমকে ওঠেন। বলেন, ছেলে মানুষের পেটে সন্তানই বা এলো কীভাবে, ৪ মাসের সন্তান মরলোই বা কেন? এ কথা বলার পর তিনি বিষয়টি ডা. খবির উদ্দীনকে মোবাইলফোনে জানান। সাথে সাথে তিনি ভুল স্বীকার করে আমাকে রংধনুতে নিয়ে আবার আল্ট্রাসনো করিয়ে রিপোর্ট দেন। আর আগের ভুল রিপোর্টটি শেষ পর্যন্ত ছিঁড়ে ফেলা হয়।

আল্ট্রাসনো রিপোর্টে পুরুষের পেটে ৪ মাসের মৃত সন্তান বলে উল্লেখ করার খবর অবশ্য হাসপাতাল এলাকায় গতকাল মঙ্গলবার গোপন থাকেনি। বিষয়টি জানাজানি হলে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।