আলমডাঙ্গা শালিখার জুবায়ের খুন মামলার ৫ মাসেও গ্রেফতার হয়নি কেউ

 

মামলা তুলে নিতে বাদীপক্ষকে হত্যার হুমকি

আলম আমরাফ: আলমডাঙ্গা শালিখার জুবায়ের হোসেন পল্টু হত্যার ৫ মাস পেরিয়ে গেলেও খুন সাথে জড়িত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। আসামিরা প্রকাশ্য ঘুরে বেড়ালেও পুলিশ তাদেরকে গ্রেফতার করছে না বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এদিকে আসামিরা মামলা তুলে নিতে বাদীপক্ষদের হুমকিসহ দেয়া হচ্ছে। আসামিরা মোবাইলফোনে মামলা তুলে নিতে হবে তা না হলে বোমা মেরে হত্যা বা অপহরণের করার হুমকি দিচ্ছে। এখন চরম নিরাপত্তায় রয়েছে নিহত জুবায়ের হোসেনের স্ত্রী মৌসুমী খাতুন ও তার শ্বশুর শুকুর আলী।

জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা আলমডাঙ্গা উপজেলার শালিকা গ্রামের শুকুর আলী মেকারের ছেলে জুবায়ের হোসেনের পল্টুর লাশ ২০১৩ সালের ৪ নভেম্বর মেহেরপুর গাংনী উপজেলার এলাঙ্গি লাঙ্গেলের সুরা খালের পার্শ্ববর্তী আড়পাড়া গড়ির বিলের মাঝখান থেকে জবাই করে খুন করা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনার পর নিহতের স্ত্রী মৌসুমী খাতুন বাদী হয়ে গাংনী থানায় একটি হত্যামামলা করেন।

জুবায়ের স্ত্রী মৌসুমী খাতুন জানান, ঘটনার ৬ মাস আগে আমি স্বামীর সাথে রাগ করে ঢাকায় যায়। সেখানে একটি গার্মেন্টসে কাজ শুরু করি। এর কিছুদিনের মাথায় আমার স্বামী জুবায়ের হোসেন পল্টুও ঢাকা চলে আসে এবং একটি হোটেলে কাজ শুরু করে। আমরা ফকিরাপুল এলাকায় বসবাস করতে থাকি। জুবারের সম্পর্কের খালাতো ভায়ের সাথে ২০১৩ সালে ৩০ অক্টোবর ঢাকা থেকে গ্রামের বাড়ি উদ্দেশে বের হয়। এরপর ১ নভেম্বর তার নিজ মোবাইলফোন থেকে জানায় একটি বিপদে পড়েছি উদ্ধার হলেই ঢাকায় ফিরে আসবো। আর যদি কিছু হয়ে যায় তাহলে গাংনীর বেড় গ্রামের কালুর ছেলে খোকন, চান্দামারি গ্রমের মহাবুল ইসলামের ছেলে ছোটন, হযরত আলীর ছেলে উজ্জ্বল, ইকুড়ি গ্রামের বাবলু, আলমডাঙ্গা উপজেলার বড়গাংনী গ্রামের আবুছদ্দিনের ছেলে হামিদ দায়ী থাকবে। ওই ব্যক্তিগণ আমাকে ক্ষতি করার চেষ্টা করছে। এ কথা বলার পর মোবাইলের লাইন কেটে যায়। আমি (মৌসুমী) সাথে সাথে আবার জুবায়েরের মোবাইলেফোনে ফোন করার চেষ্টা করি, কিন্তু মোবাইলটি বন্ধ পায়। পরবর্তীতে ৪ নভেম্বর সকাল ১০টার দিকে ঢাকায় থাকা অবস্থায় মোবাইলফোনে জানতে পারি আমার স্বামী জুবায়েরকে জবাই ও দু পায়ের রগ কেটে খুন করা হয়েছে। পরদিন আমার স্বামীকে হত্যার অভিযোগ তুলে ওই ব্যক্তিদের নামে মামলা করি। এখন বেড় গ্রামের রহমানের ছেলে সাইফুল ইসলাম, ইলিয়াসের ছেলে রুবেল, হারেজ মণ্ডলের চেলে রাহেন আলী, খলিলের ছেলে চকলেট, হান্নানের ছেরেল হিল্লাল ও এলাঙ্গী গ্রামের পাতার আলী ছেলে মজনু, বাতানপাড়ার মরজেলা আলীর ছেলে আশাদুল, আড়পাড়ার নজরুল ইসলামসহ তাদের লোকজন মামলা তুলে নিতে বিভিন্ন ধরনের হুমকি-ধামকি দিচ্ছে।