আলমডাঙ্গা শহরে দিনদুপুরে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা : ছাত্রদলের বিরুদ্ধে অভিযোগ যুবদল নেতা বল্টু হত্যামামলার আসামি মাসুদ খানকে কুপিয়ে জখম

স্টাফ রিপোর্টার: আলমডাঙ্গার যুবদল নেতা বল্টু হত্যামামলার আসামি যুবলীগ নেতা মাসুদ খানকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। গতকাল সকালে আলমডাঙ্গা শহরে প্রকাশ্যে কুপিয়ে তাকে জখম করা হয়। ধারালো অস্ত্রের উপর্যুপরি কোপে ক্ষতবিক্ষত মাসুদ খানকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মাসুদ খান অভিযোগ করে বলেছেন ছাত্রদলের লোকজন পরিকল্পিতভাবে তার ওপর হামলা চালিয়ে কুপিয়ে জখম করে।

সূত্র জানায়, চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলা শহরের মিয়াপাড়ার আলম খানের ছেলে মেশিনারি ব্যবসায়ী মাসুদ খান (৩২) গতকাল শনিবার সকাল ৯টার দিকে তার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান মাসুদ মেশিনারিতে যাচ্ছিলেন। একতা ক্লিনিকের নিকটবর্তী স্থানে পৌঁছুলে ১০/১২ জন অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আকস্মিক তার ওপর হামলে পড়ে। হামলাকারীরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে উপর্যুপরি কোপায় মাসুদ খানকে। রক্তাক্ত জখম অবস্থায় ফেলে রেখে হামলাকারীরা চলে যায়। পরে মাসুদ খানের টিকটজনরা উদ্ধার করে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে ভর্তি করে। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাকে নেয়া হয় চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে। হাসপাতালসূত্রে জানা যায়, মাসুদ খানের হাত-পা, মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে অসংখ্য কোপের ক্ষত হয়েছে। সেলাই দেয়া হয়েছে অসংখ্য স্থানে। তার অবস্থা গুরুতর।

আহত মাসুদ খান ও তার নিকটজনেরা সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করে বলেছেন, ছাত্রদলের মিন্টু, ডালিম, সাদ্দাম, সেলিম, শওকত, বাপ্পিসহ ছাত্রদলের ১০/১২ জন পূর্বশত্রুতার জের ধরে এ হামলা করে।

২০১২ খ্রিস্টাব্দের ২৭ অক্টোবর আলমডাঙ্গার যুবদল নেতা আব্দুল হাই বল্টুকে আলমডাঙ্গা হাজিমোড়ে কুপিয়ে জখম করা হয়। পরদিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় বল্টু মারা যান। এ বল্টু হত্যামামলার অন্যতম আসামি আলমডাঙ্গা মিয়াপাড়ার বাসিন্দা ২ নং ওয়ার্ড যুবলীগের সেক্রেটারি মাসুদ খান।