আলমডাঙ্গা থেকে মোটরসাইকেল ছিনতাইয়ের ১০ দিন পর গাংনীতে থেকে উদ্ধার

 

স্টাফ রিপোর্টার: দামুড়হুদা বিষ্ণুপুরের ছানোয়ারের মোটরসাইকেল ছিনতাইয়ের ১০ দিন পর গতকাল পুলিশ গাংনীর চৌগাছা থেকে উদ্ধার করেছে। এ ছিনতাই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ সংঘবদ্ধচক্রের ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে। এ ঘটনায় পুলিশ ৯ জনকে আসামি করে থানায় মামলা করেছে।

পুলিশ ও এজাহারসূত্রে জানা গেছে, দামুঢহুদা উপজেলার বিষ্ণুপুর গ্রামের মৃত মসলেমের  ছেলে শামীম ও আলমডাঙ্গা কোর্টপাড়ার মৃত ইসমাইলের ছেলে শাহাবুদ্দীন এক সময় একই সাথে জেলে ছিলো। পরে উভয়ে জেলমুক্ত হলেও সম্পর্ক ভালো ছিলো। সম্প্রতি শামীম শাহাবুদ্দীনের নিকট টাকা ধার চাইলে শাহাবুদ্দীন তাকে আলমডাঙ্গায় গিয়ে টাকা নিয়ে আসতে বলে। শাহাবুদ্দীনের কথামতো শামীম তার মামা বিষ্ণুপুরের মৃত আবুল হোসেনের ছেলে সানোয়ারকে বলে তাকে সানোয়ারের মোটরসাইকেলে আলমডাঙ্গায় নিয়ে যেতে। গত ২১ ফেব্রুয়ারি শামীম ও সানোয়ার আলমডাঙ্গা শহরের স্টেশনপাড়ার নিকটে গিয়ে শাহাবুদ্দীনকে সংবাদ দেয়। শাহাবুদ্দীন সেখানে উপস্থিত হলে শামীম তাকে ৩৫ হাজার টাকার একটি চেক শাহাবুদ্দীনকে দিয়ে নগদ টাকা ধার চান। শাহাবুদ্দীন নগদ টাকা এনে দেয়ার নাম করে সানোয়ারের নিকট থেকে তার লাল রঙের বাজাজ সিটি১০০ মোটরসাইকেল চেয়ে নিয়ে যায়। পরে আর ফিরে আসেনি শাহাবুদ্দীন। সানোয়ার দাবি করেছে মোটরসাইকেল উদ্ধার প্রচেষ্টার একপর্যায়ে সে জানতে পারে আলমডাঙ্গা শহরের আনিসুজ্জামানের ছেলে মুন্না, হারদীর সাইফুলের ছেলে তামীম (২৫), একই গ্রামের কাফি ও সম্রাটও শাহাবুদ্দীনের সাথে জড়িত। তারা কেশবপুরের মৃত মাহাতাবের ছেলে ইয়াছিনের নিকট বিক্রি করে ২৮ হাজার টাকা নেয়। পরে ইয়াছিন ওই মোটরসাইকেল গাংনীর চৌগাছার সাবেরের নিকট ৪৫ হাজার টাকায় বিক্রি করে। বেশ কয়েক দিন অভিযানের পর গতকাল দুপুরে আলমডাঙ্গা থানার এএসআই মেজবাহ ও এসআই জিয়া মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করেন। এ সময় মুন্না, তামিম, সম্রাট ও ইয়াছিনকে আটক করেছে পুলিশ। এ ব্যাপারে থানায় ৯ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ৯ জনের মধ্যে অন্য আসামিরা হচ্ছে- কুমারীর আবুল কালামের ছেলে সাইকা, হারদীর তপন, গাংনী চৌগাছার সাবের আলী।