আলমডাঙ্গায় বিকল্পধারার জনসভায় সাবেক প্রেসিডেন্ট বদরুদ্দোজা ও বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী

১০ টাকা কেজি চাল প্রধানমন্ত্রীর ধোকা

 

আলমডাঙ্গা ব্যরো: বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলার মানুষকে ঘরে ঘরে চাকরি দেবে, ১০ টাকা কেজি দরে চাল খাওয়াবে, দেশ থেকে সন্ত্রাস দূর হবে, দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ হবে, কোনো টেন্ডারবাজি হবে না। যে দেশের নব্বই ভাগ জনগণ নির্দলীয় বা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি করছে। আপনি কেন ক্ষমতা আকড়ে ধরে রাখতে চান। বাংলার মানুষ আর বোকা নয়; নির্দলীয় সরকারের অধীনেই ভোট দিতে হবে। তা না হলে বাংলার মানুষ যেভাবে পাকিস্তানিদের হটিয়ে দিয়েছে আপনাকেও ওই ভাবে হটাবে। সেদিন আর বেশি দূরে নয়। মাত্র আর ২১ দিন। তারপর আপনি কোথায় যাবেন? সাবেক প্রেসিডেন্ট বিকল্পধারার সভাপতি অধ্যাপক বদরুদ্দোজা চৌধুরী প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে এ কথাগুলো বলেন।

অপরদিকে বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বলেন, এ দেশে একটি ছাগলের অধীনে নির্বাচন সম্ভব কিন্তু হাসিনার অধীনে কোনো নির্বাচন সম্ভব নয়। তা হলে বাংলার মানুষ হাসিনাকে উচিত শিক্ষা দেবে। তিনি আরও বলেন, রক্ত ঝরা ছাড়া কোনো ভালো কাজ সম্ভব নয়। আমাদের কেউ মারতে চাইলে আমরা হাত গুটিয়ে বসে থাকবো না। আমরাও সমুচিত জবাব দেবো। তাদের হাতে চুমা দেবো না। পাকিস্তানকে আমরা যুদ্ধ করে হটিয়েছি। এ হাসিনা সরকারকেও আমরা হটাবো। প্রধানমন্ত্রী নিজে সরবে না যতোক্ষণ তাকে বাংলার মানুষ সরিয়ে না দেবে। তিনি আরও বলেন, তলা ফুটো নৌকায় আর কেউ ভোট দেবে না। দারোগা পুলিশ এখন আপনার হাতের মুঠোয় বলে আপনি টিকে আছেন। আপনি কি কিয়ামত পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকবেন? এখানে বাইরের দেশ ভোট দিতে আসবে না; বাংলার মানুষ ভোট দেবে। তখনই বুঝবেন আপনার দশা। তিনি আরও বলেন, চুয়াডাঙ্গা ও মুজিবনগরে কোনো উন্নয়ন হয়নি। উন্নয়ন হয়েছে গোপালগঞ্জের। আমরা কোনো দেশের গোলাম হতে চাই না। জনগণের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনারা এ সরকারকে হটাতে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলবেন যাতে এরা পালাতে না পারে।

গতকাল বৃহস্পতিবার বিকল্পধারা বাংলাদেশ আলমডাঙ্গার উদ্যোগে বড় ফুটবলমাঠে অনুষ্ঠিত জনসভায় সভাপতিত্ব করেন বিকল্পধারা বাংলাদেশের সহসভাপতি পিএসসি নেভী (অবঃ) কমান্ডার আলহাজ শহীদুর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন সেনা কর্মকর্তা রমজান আলী, কেন্দ্রীয় যুবধারার সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান, শাহ আলম, দেলোয়ার হোসেন, বিকল্পধারার দপ্তর সম্পাদক ওয়াসিবুল ইসলাম, সাবেক রাষ্ট্রপতির প্রেসসচিব জাহাঙ্গীর আলম, ঢাকা দক্ষিণ সিটির সভাপতি কায়ুম হোসেন, সেনাকর্মকর্তা মীর মতিয়ার রহমান, সিরাজুল ইসলাম, হাফিজ উদ্দিন, কেরামত আলী, ফিরোজ, আহসান, আব্দুল গফুর, আব্দুল আজিজ প্রমুখ।