আলমডাঙ্গার শ্রীনগর-ঘোষবিলার মাঠ থেকে কৃষকের লাশ উদ্ধার

জামজামি প্রতিনিধি আলমডাঙ্গার মাঠ থেকে এক কৃষকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার সকালে উপজেলার শ্রীনগর-ঘোষবিলার পর্ণাখালী মাঠের একটি কচুক্ষেত থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত কৃষক আশরাফ তালুকদার উপজেলার নারয়ণপুর গ্রামের মৃত নুর ইসলামের ছেলে। তবে কী কারণে তার মৃত্যু হয়েছে তা নিয়ে পুলিশ ধন্ধে পড়েছে।

পুলিশ ও এলাকাসূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর থেকে কৃষক আশরাফ তালুকদার (৪৫) নিখোঁজ ছিলেন। অনেক খোঁজাখুঁজির পর বাড়ি থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরের পর্ণাখালী মাঠে তার লাশের সন্ধান মিললে পুলিশে খবর দেয়া হয়। শুক্রবার সকাল ১০টায় আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে। আশরাফ তালুকদারের স্ত্রী আকলিমা খাতুন বলেছেন, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পরিবারের লোকজনের সাথে তার গ-গোল হয়। এরপর তিনি বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। এ সময় তাকে ফিরিয়ে আনার জন্য প্রথম স্ত্রী আকলিমা চেষ্টা করেন। তাকে ফিরিয়ে চেষ্টা করতে গিয়ে আকলিমার সাথে পার্শ¦বর্তী একটি পান বরজে ধস্তাধস্তি হয়। ধস্তাধস্তিকালে আশরাফ তালুকদার পড়ে যেয়ে বুকের নিচে আঘাত পান। এতে তার বুকের নিচে খানিকটা ক্ষত হয়। আকলিমা স্বামীকে ফেরাতে ব্যর্থ হন। গ্রামসূত্রে জানা গেছে, আশরাফ তালুকদার সম্প্রতি দ্বিতীয় বিয়ে করেন। ওই বউকে ঘরে আনার জন্য চেষ্টা করেন তিনি। এ নিয়ে সংসারে অশান্তি ছিলো তার। তিনি আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন বলেও পরিবারের কারো কারো ধারণা। কিন্তু ঘটনাস্থলে আত্মহত্যার মতো কোনো উপকরণ পায়নি পুলিশ। উপরন্তু আশরাফ তালুকদারের বুকের নিচে ক্ষত চিহ্ন দেখা যায়। এ কারণে সন্দেহের সৃষ্টি হয়। এ ব্যাপারে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল তরিকুল ইসলাম মাথাভাঙ্গাকে বলেন, ধারণা করা হচ্ছে ধস্তাধস্তি করে হাঁপিয়ে যাওয়ার কারণে আশরাফ তালুদার স্ট্রোক করে থাকতে পারেন। তবে যেহেতু রাতের ব্যাপার এর পেছনে অন্য ঘটনাও লুকিয়ে থাকতে পারে। তাই পুলিশ লাশ উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল মর্গে নেয়। সেখানে শুক্রবার দুপুরে আশরাফ তালুকদারের লাশের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। এ ব্যাপারে থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে বলেও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানান। তিনি আরও বলেন, ময়নাতদন্ত রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর বিষয়টি আরও পরিষ্কার হওয়া যাবে।