আলমডাঙ্গার রংপুরে চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী রাণীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

 

মোমিনপুর প্রতিনিধি: আলমডাঙ্গার রংপুর গ্রামে লিচুবাগানের একটি রুনেগাছ (রইনা) থেকে চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী রানীর গলায় ফাঁশ লাগানো ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। রাণীর পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে উপদৃষ্টি ভাবের কারণে সে আত্মহত্যা করেছে। অপরদিকে বিশ্বস্ত একাধিক সূত্রে জানায়, কিছু বখাটে ছেলেদের উৎপাতের কারণে রাণী আত্মহত্যা করেছে।

জানাগেছে, চুয়াডাঙ্গা আলমডাঙ্গা উপজেলার খাদিমপুর ইউনিয়নের রংপুর গ্রামের হঠাতপাড়ার রাকিবুল বিশ্বাসের বড় মেয়ে চতুর্থ শ্রেণি পড়ুয়া ছাত্রী রাণী খাতুনের লাশ গতকাল সোমবার বেলা ২টা দিকে গ্রামের শফির লিচুবাগানের ভেতর রুনে গাছের একটি ডালে সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করে। ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে রাণীর সহপাঠীরা জানায়, দুপুরে স্কুলে টিফিনের সময় দুপুরের খাবার খাওয়ার জন্য আমার সবাই বাড়ির উদ্দেশে রওনা হই। আসার পথে সড়কের ধারে একটি বটগাছের নিকট রাণী হঠাত হতবাক হয়ে দাঁড়িয়ে যায়। এরপর রাণী আমাদের বলে বটগাছের নিকট শাদা কাপড় পরিহিত একটি ছেলে দাঁড়িয়ে আছে। এ কথা বলার পর সে আমাদের বলে ছেলেটি আমি দেখামাত্র উধাও হয়েগেছে। সহপাঠীরা আরও জানায়, রাণী বটগাছের নিকট একটি ছেলেকে দেখার কথা বললেও আমারা তা দেখতে পারেনি। এরপর সে যমুনা খাতুন নামের তৃতীয় শ্রেণির এক ছাত্রীর গালে উত্তেজিত হয়ে কোনো কারণ ছাড়াই থাপ্পড় মারে। তার চোখে মুখে অন্য রকম চেহারা দেখার পর আমরা ওখান থেকে বাড়িতে চলে আসি। এরপর আবারও রাণীর খোঁজ নিতে গিয়ে দেখতে পায় সড়কের পাশে শফির লিচু বাগানে ভেতর একটি রুনে গাছের ডালের সাথে গলায় ফাঁস দেয়া অবস্থায় তার লাশ ঝুলছে। রাণীর নিজের ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস দেয়া ঝুলন্ত লাশ দেখে তার বাড়িতে খবর দিলে সবাই ছুটেগিয়ে গাছের ডাল থেকে তার লাশ উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে আসা হয়।

এ ব্যাপারে রাণীর পিতা রাকিবুল বিশ্বাস জানান, রাণীর উপদৃষ্টির ভাবের কারণে সে আত্মহত্যা করেছে। অপরদিকে বিশ্বস্তসূত্রে জানা যায় রাণীর মৃত্যুটি রহস্যজনক। কিছু বখাটে যুবকদের উৎপাতের কারণে সে আত্মহত্যার পথ বেছেনিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গতকাল রাতেই ময়নাতদন্ত ছাড়া লাশ দাফনের প্রস্তুতি চলছিলো।