আলমডাঙ্গার মুন্সিগঞ্জে স্কুলছাত্রীকে উত্ত্যক্ত : দু পক্ষের ভাংচুর উত্তেজনা

মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি: আলমডাঙ্গার জেহালা ও গড়গড়ি গ্রামের মানুষের মধ্যে উত্তেজনা ও মারামারির ঘটনা ঘটেছে। গড়গড়ি গ্রামবাসীদের অভিযোগ স্কুলছাত্রীকে ইভটিজিং করার ঘটনার প্রতিবাদ করায় দুজনকে মারধর করা হয়েছে। জেহালা গ্রামবাসীদের অভিযোগ ক্রিকেট খেলাকে কেন্দ্র করে ছোটদের গণ্ডগোলের সূত্র ধরে গড়গড়ি গ্রামের লোকজন লাঠিসোঁটা নিয়ে দোকান ভাঙচুর, লুটপাটসহ বাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটিয়েছে। এই ঘটনায় মুন্সিগঞ্জ ফাঁড়ি পুলিশের উপস্থিতিতে দুটি পক্ষ শান্ত হলেও দুই গ্রামে উত্তেজনা বিরাজ করছে। যেকোন সময় বড় ধরনের সংঘর্ষের আশঙ্কা করছে এলাকাবাসী।

জানা গেছে, গতকাল সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে মুন্সিগঞ্জের জেহালা ও গড়গড়ি গ্রামবাসীদের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। মুন্সিগঞ্জ ফাঁড়ি পুলিশ উভয় পক্ষকে শান্ত করলেও চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে দুই গ্রামের মধ্যে। এ ব্যাপারে গড়গড়ি গ্রামবাসী অভিযোগ করে জানায়, জেহালা গ্রামের নায়েবের ছেলে রুবেল ও সাব্বির, নাসিরের ছেলে ডেভিড, আলীর ছেলে রানা প্রতিদিনই গড়গড়ি গ্রামের স্কুল-কলেজ পড়ুয়া ছাত্রছাত্রীদের মোবাইলে ছবি তুলে উত্ত্যক্ত করে আসছিলো। এই ঘটনায় গত বুধবার এদের অভিভাবকদের নিকট অভিযোগ করলে গ্রামের লোকজনের কাছে ক্ষমা চেয়ে পার পায় তারা। গড়গড়ি গ্রামের সন্টুর ছেলে টনি ও ইয়াদের ছেলে প্রতিবাদ করে। গতকাল সন্ধ্যায় মুন্সিগঞ্জ বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে ইভটিজাররা তাদের মারধর করে। ঘটনাটি গড়গড়ি গ্রামবাসীদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়লে সবাই একত্রিত হয়ে জেহালা মোড়ে আসে। বাঁধে দু পক্ষের মধ্যে মারামারি ও উত্তেজনার ঘটনা।
অপরদিকে জেহালা গ্রামবাসী জানায়, গড়গড়ি গ্রামের টনি ও শামিমের সাথে ক্রিকেট খেলা নিয়ে মনোমালিন্য চলছিলো। গতকাল সন্ধ্যায় জেহালা মোড়ে তারা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় স্থানীয় লোকজন তাদের মধ্যে আপোস করে দেয়। এরই জের ধরে গড়গড়ি গ্রামবাসীরা সংঘবদ্ধ হয়ে মারধর করে দোকান ও বাড়িঘরে ভাঙচুরসহ লুটপাট কর। এ ব্যাপারে জেহালা গ্রামের নায়েব আলী অভিযোগ করে জানান, গড়গড়ি গ্রামের জমির, দেলোয়ার, মিনা, রিয়াজ, বিপুল, টনি, শামিম, মনিরুল, ফিরজ, মিঠু সহ প্রায় ৫০ জন লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা চালিয়ে দোকানে থাকা ৬২ হাজার টাকা লুট ও দোকানের মালামাল ভাঙচুর করে। এছাড়া তারা আয়ুব আলীর বাড়ি ভাঙচুর ও তাইজেল ও রুবেলকে পিটিয়ে আহত করেছে। গড়গড়ি গ্রামবাসীরা আরও জানায়, গ্রামের স্কুল কলেজ পড়ুয়া ছাত্রীদের ইভটিজিং কারীদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি না হলে গ্রামের ছাত্রছাত্রীদের স্কুল যাওয়া বন্ধ করা হবে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত দু গ্রামবাসীদের মধ্যে উত্তেজনা চলছিলো। বড় ধরনের সংঘর্ষের আশঙ্কা করছে এলাকার সাধারণ মানুষ।