আলমডাঙ্গার জামজামি ইউনিয়ন আ-লীগের দুটি গ্রুপের কর্তৃত্ব নিয়ে বিরোধ তুঙ্গে সমঝোতার সমন্বয় সভায় বাগবিতণ্ডা হট্টগোল : সংঘর্ষে আহত ৬

জামজামি প্রতিনিধি: আলমডাঙ্গার জামজামি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের দু’টি গ্রুপের মধ্যে বিরোধের নগ্ন বহির্প্রকাশ ঘটেছে। পরশু মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জামজামি বাজারে ইউনিয়ন আ.লীগের ডাকা সমন্বয় সভায় এক নেতাকে কটুক্তির জের ধরে বাগবিতণ্ডা হট্টগোলের পর ধাওয়া পাল্টা ধাওয়াসহ সংঘর্ষে উভয় গ্রুপের অন্ততঃ ৫ জন আহত হয়েছে।

জানা গেছে, আলমডাঙ্গা উপজেলার জামজামি ইউনিয়ন আ.লীগের সাংগঠনিক নিষ্ক্রীয়তার অভিযোগ তুলে জামজামি গ্রামের রেজাউল শাহর ছেলে ওয়ার্ড আ.লীগ সাধারণ সম্পাদক রিপন শাহ ও তার পক্ষের নেতা-কর্মীরা ঘোষবিলা গ্রামের মৃত হাজের মণ্ডলের ছেলে ইউনিয়ন আ.লীগ সাধারণ সম্পাদক রাহাব উদ্দিন ও তার পক্ষের নেতা-কর্মীদের বিরাগভাজন হয়ে ওঠেন। এ ব্যাপারে ইউনিয়ন সাধারণ সম্পাদক রাহাব উদ্দিন জানান, ওয়ার্ড আ.লীগের সামান্য নেতৃত্ব বলে রিপন শাহ তার সন্ত্রাসী সাঙ্গপাঙ্গ দিয়ে তাকে ও এ পক্ষের লোকজনকে জেলা নেতৃবৃন্দের সামনে লাঞ্ছিত করার পাঁয়তারা চালায়। তারপরও নিজপক্ষের ওই লাল বাহিনী লেলিয়ে দিয়ে মোবাইলফোনে জনৈক নেতাকে পুলিশে ধরিয়ে দেয়ার হুমকি দেয়। তারপরও সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম ও সাবেক চেয়ারম্যান বাবলু চৌধুরীর আহ্বানে গত সোমবার দ্বিধা বিভক্ত দু’টি গ্রুপকে সমন্বয় প্রচেষ্টায় সভা ডাকা হয়। এখানে আ.লীগের এ নেতা রিপন শাহ উদ্ধত আচরণের বিচার দাবি করায় শুরু হয় তুমুল বাগবিতণ্ডা হট্টগোল। বিচার সালিস অবমাননায় সাধারণ সম্পাদক পক্ষের নেতা-কর্মীর হাতে প্রহৃত হন আ.লীগ নেতা রিপন শাহ। রিপন শাহ রক্তাক্ত জখম হন। এসময় রিপন শাহ পক্ষের বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীরা লাঠিসোঁটা হাতে ছুটতে থাকে। বাজারের ব্রিজপট্টিতে হানা দিয়ে সাধারণ সম্পাদক রাহাব উদ্দিনের সহোদর বুড়ো, মৃত ইজাল উদ্দিনের ছেলে হাফিজুল, মৃত দোয়াল উদ্দিন বিশ্বাসের ছেলে বাবলু, মৃত মোবারক মণ্ডলের ছেলে নিজাম উদ্দিন ও মজিবর মণ্ডলের ছেলে লাল্টুকে বেধড়ক মারপিটে আহত করে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছে। রাতে আ.লীগের বিবদমান দুটি গ্রুপ কয়েক দফা লাঠি নিয়ে জামজামি বাজারে মহড়া দিলে ব্যবসায়ী মহল ও জনমনে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।