জানাজা শেষে দাফন সম্পন্ন : হুইপ ছেলুন জোয়ার্দ্দার এমপির শোক প্রকাশ
মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি: আলমডাঙ্গার জেহালা ইউনিয়নের খুদিয়াখালী গ্রামের কৃতী সন্তান ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক বিশিষ্ট কণ্ঠশিল্পী মজিবার রহমান লাড্ডু হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে চলে গেলেন না ফেরার দেশে (ইন্নালিল্লাহে……রাজেউন)। গত বুধবার বিকেল ৪টার দিকে তিনি বুকের ব্যথা অনুভব করেন। তাকে দ্রুত চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গতকাল ভোর ৫টার দিকে তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু বরণ করেন। গতকাল বেলা ২টার দিকে গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে মরহুমের জানাজা শেষে দাফন কাজ সম্পন্ন করা হয়। এলাকাজুড়ে নেমে এসেছে সোকের ছায়া। মজিবার রহমান লাড্ডু ছিলেন দৈনিক মাথাভাঙ্গার মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি অনিক সাইফুলের চাচা।
জানা গেছে, আলমডাঙ্গার খুদিয়াখালী গ্রামের মরহুম শুকুর আলী মণ্ডলের ছোট ছেলে মজিবার রহমান লাড্ডু (৪৭) গত বুধবার আলমডাঙ্গার পশুহাটে গরু কিনতে যান। এ সময় তিনি আকস্মিক বুকে ব্যথা অনুভব করেন। স্থানীয়দের সহযোগিতায় তাকে দ্রুত চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রাত ১০টার দিকে তিনি সুস্থ আছেন বলে পরিবারের লোকজনদের জানান। ভোর ৫টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। মোবাইলফোনের মাধ্যমে খরবটি পরিবারসহ এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। ভোর ৬টার দিকে লাশ নেয়া হয় মরহুমের নিজ গ্রাম খুদিয়াখালী। চুয়াডাঙ্গা জেলাসহ পাশ্ববর্তী জেলার বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ জড়ো হয় মরহুমের শেষ বিদায় জানাতে। হাজারো জনতার ঢল নামে। গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ২টার দিকে খুদিয়াখালী গ্রামের ঈদগাহ ময়দানে মরহুমের জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাবেক পৌর মেয়র রিয়াজুল ইসলাম জোয়াদ্দার টোটন। তিনি বলে জননেতা হুইপ সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন এমপির কাছের মানুষ ছিলেন মজিবার রহমান লাড্ডু, তিনি যদি কোনো মানুষের মনে কষ্ট বা দুঃখ দিয়ে থাকেন নিজ গুণে তাকে ক্ষমা করে দেবেন। তিনি দলমত নির্বিশেষে চমৎকার একটি মানুষ ছিলেন। তিনি নেতা নন, তিনি ছিলেন জনমানুষের প্রকৃত বন্ধু ও সুমিষ্ট কণ্ঠশিল্পী। তিনি এলাকার এমন কোনো মানুষ নেই যে তার উপকার করেননি। তিনি জনতার কল্লাণে কাজ করে গেছেন। তার অবদান ভোলর নয়। এছাড়া এই প্রতিবেদকের কাছে মোবাইলফোনে হুইপ সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন এমপি শোকাহত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করে মজিবার রহমান লাড্ডুর বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন। তার অকাল মৃত্যুতে শোকাহত পরিবারে প্রতি সান্ত্বনা দেন।
এছাড়া মরহুমের জানাজায় উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুদ উজ্জামান লিটু বিশ্বাস। জেলা যুবলীগ নেতা হাপু, খাদিমপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল হালিম মণ্ডল, মোমিনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যন গোলাম ফারুক জোয়ার্দ্দার। জেহালা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমিনুল হক রোকন, জেলা পরিষদের নবনির্বাচিত সদস্য খলিলুর রহমান, জেহালা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক হেলাল উদ্দিন, হাসানুজ্জামান হান্নান, মতিয়ার রহমানসহ চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর, কুষ্টিয়া, ঝিনাইদাহ এলাকার বাউল সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দ।
মজিবার রহমান লাড্ডু ছিলেন ৩ ভাইয়ের মধ্যে ছোট। তিনি মৃত্যুকালে স্ত্রী, ২ মেয়ে ও এক ছেলেসহ অসংখ্য ভক্ত অনুরাগী রেখে গেছেন।
সাংবাদিক অনিক সাইফুল তার ছোট চাচা। মজিবর রহমান লাড্ডুর জন্য সর্বস্তরের মানুষের কাছে দোয়া কামনা করেছেন।