আলমডাঙ্গার আইলহাস ইউনিয়ন পরিষদে চাল বিতরণে অনিয়ম : ভিজিডি কার্ডধারী দুস্থদের বিক্ষোভ

ঘোলদাড়ি থেকে ফিরে সদরুল নিপুল/অনিক সাইফুল: চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার আইলহাস ইউনিয়ন পরিষদে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর মন্ত্রনালয়ের বরাদ্দকৃত ভিজিডি কার্ডধারী দুস্থদের মাঝে চাল বিতরণে অনিয়ম করায় তারা বিক্ষোভ করেছে। চাল বিতরণের সময় ওজনে কম দেয়ায় দুস্থরা ইউপি চেয়ারম্যান ও সচিবের বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠে বিক্ষোভ করে। উত্তেজিত বিক্ষোভকারীরা অভিযুক্ত ব্যক্তিদের শাস্তির দাবি করেছে।

সরেজমিনে জানা গেছে, ঘোলদাড়ি বাজারস্থ আইলহাস ইউনিয়ন পরিষদে গতকাল মঙ্গলবার সকাল থেকে ভিজিডি কার্ডধারী দুস্থদের মাঝে চাল বিতরণ করা হয়। ইউনিয়নের মোট ৫২ জন কার্ডধারী ব্যক্তিদের প্রতিমাসে চাল অথবা গম বিতরণ করা হয়। কোনো মাসে চাল আবার কোনো মাসে গম বিতরণ করা হয়। মাথাপিছু প্রত্যেক কার্ডধারীকে নিয়ম অনুযায়ী চাল ২৬ কেজি দেয়ার কথা। আইলহাস ইউপি চেয়াম্যান মিনাজ উদ্দিন বিশ্বাসের অনুপস্থিতিতে গতকাল সকালে চাল বিতরণ শুরু করেন তদারকি কর্মকর্তা হিসেবে নিযুক্ত আলমডাঙ্গা বিআরডিবির কর্মকর্তা রকিবুল ইসলাম এবং পরিষদের সচিব আসাদুল ইসলাম। অভিযোগ উঠেছে প্রতিটি ব্যক্তির ২৬ কেজি না দিয়ে ২৪ কেজি চাল দেয়া হয়েছে। ওজনে কম দেয়াই কার্ডধারী দুস্থরা গতকাল দুপুরে পষিদের সামনে ফুঁসে ওঠে। ওজনে কারচুপি করায় দুস্থ নারী-পুরুষরা বিক্ষোভ করে। আইলহাস ইউনিয়নের ৯টি ওয়ার্ডের মোট ৫২ জন কার্ডধারী ব্যক্তিদের মাঝে গতকাল ৪৬ জনকে চাল দেয়া হয়। বাকি ৬ জন ব্যক্তি না আসাই তাদেরকে পরের দিন চাল দেয়া হবে বলে ইউপি পরিষদসূত্রে জান যায়। ভিজিডি কার্ডধারী কুঠিপাইক পাড়া গ্রামের আইনাল হকের স্ত্রী রুশিয়া খাতুন, একই গ্রামের পুবার্ভ দাসের স্ত্রী কনিকা বালা, টাকপাড়া গ্রামের মৃত হায়েত আলীর স্ত্রী সাজেদা খাতুন, সমির আলীর স্ত্রী হাজেরা খাতুন, পাইকপাড়া গ্রামের মিনিপার বিশ্বাসের স্ত্রী খোদেজা খাতুন, মধুপুর গ্রামের নাজমিন নাহারসহ অনেকে গতকাল দুপুরে অভিযোগ করে জানান, ২৬ কেজির জায়গায় আমাদের প্রত্যেককে ২৪ কেজি করে চাল দিয়েছে। অভিযোগকারীরা বলেন, আমরা অসহায় গরিব মানুষ। আমাদের চাল কেন আত্মসাৎ করবে?আমরা এর বিচার চাই।

আইলহাস ইউপি চেয়ারম্যান মিনাজ উদ্দিন বিশ্বাস জানান, সচিবের ওপর দায়িত্ব দিয়ে চাল বিতরণের সময় আমি জরুরি কাজে আলমডাঙ্গায় অবস্থান করছিলাম। তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ মিথ্যা বানোয়াট ও ষড়যন্ত্রমূলক। অপরদিকে পরিষদের সচিব আসাদুল ইসলাম জানান, এমাসে বরাদ্দ এসেছে ৫২ জন ব্যক্তির জন্য মোট ১ হাজার ৩৯৬ কেজি চাল। তিনি বলেন, চালের দাম বেড়ে যাওয়াই একটু কম দেয়া হয়েছে। তাছাড়া ফুড অফিস থেকে চাল দেয়ার সময় কিছুটা অনিয়ম করে। যার কারণে ওজনে একটু কম দেয়া হয়েছে। চাল আত্মসাতের বিষয়টি মিথ্যা। ভুক্তভোগী ভিজিডি কার্ডধারী দুস্থরা এবং এলাকাবাসী তদন্ত সাপেক্ষে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করেছে।