আর্জেন্টিনায় ক্ষোভের আগুন

মাথাভাঙ্গা মনিটর: ম্যাচের আগেই হাজার হাজার আর্জেন্টাইন জড়ো হয়েছিলেন বুয়েনস এইরেসেরঐতিহাসিক চত্বর ওবেলিস্কে। অতিরিক্ত সময়ে সব স্বপ্ন-খুন হলো জার্মানিরমারিও গোটশের গোলে! দলের এ পরাজয় মেনে নিতে পারেননি আর্জেন্টিনার অনেকসমর্থক।শুরু হয় সংঘর্ষ, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের ঘটনা। সংঘর্ষে আহতহয়েছে ১৫ পুলিশ। এ ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছে অন্তত ৪০ জন। সংঘর্ষের মূল হোতা হিসেবে দায়ী করা হচ্ছেআর্জেন্টিনার কট্টর সমর্থকগোষ্ঠী ‘বারা ব্রাভাস’কে। ম্যাচের পর মানুষেরভিড়ের মধ্যে দাঙ্গা পুলিশের উদ্দেশে ইট-পাথর নিক্ষেপ করতে থাকেন বারাব্রাভাসের সদস্যরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ রাবার বুলেট,কাঁদানেগ্যাস ও জলকামান ব্যবহার করে। সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে অনেক পরিবার,নারী,শিশুআতঙ্কিত হয়ে ছোটাছুটি শুরু করেন। কেউ কেউ দৌড়ে রেস্তোরাঁ,হোটেল লবিতেআশ্রয় নেন।এ সময় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। টিভিরভিডিওচিত্রে দেখা যায়, ব্যাপক লুটপাটও হয়েছে এ সময়। সংঘর্ষে আহত হয়েছেনপুলিশের ১৫ সদস্য। এ ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছেন অন্তত ৪০ জন।পরাজয়েরপর আর্জেন্টিনা সমর্থক,বিশেষ করে তরুণ সমর্থকেরা ভেঙে পড়েছেন বেশি। প্রায়সবার চোখে জল টলমল। ২৭ বছর বয়সী নির্মাণকর্মী লিয়োন্দ্রো পারেদেস বললেন, এখন পর্যন্ত বলা যায়, এটি অসাধারণ এক বিশ্বকাপ ছিলো। ফাইনালে জার্মানিরবিপক্ষে দাপটের সাথে খেলেছি। চাট্টিখানি ব্যাপার নয়। দলের জন্য আমরাগর্বিত। হয়তো প্রতিশোধ নিতে পারিনি। তবে মাঠে ১১ যোদ্ধা লড়েছে।২০ বছরবয়সী মার্টিন রামিরেজ বললেন, ভেবেছিলাম জীবনে প্রথমবারের মতো আমাদেরবিশ্বচ্যাম্পিয়ন হিসেবে দেখবো। কিন্তু হলো না।

বুয়েনস এইরেসেজার্মানি অভিবাসীরা এক জায়গায় জড়ো হয়েছিলেন ফাইনাল দেখতে। জয়ের পর‘জার্মানি,জার্মানি’ বলে জয়ধ্বনি দিচ্ছিলেন সবাই। সেখানে উপস্থিত ছিলেনআর্জেন্টিনায় নিযুক্ত জার্মানরাষ্ট্রদূতও। কিছুক্ষণের মধ্যে জার্মান-আর্জেন্টাইন সমর্থকের মধ্যে সংঘর্ষ সৃষ্টির উপক্রম হয়। পুলিশ দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।