আন্দোলনে নিহতদের স্মরণে বিএনপির গায়েবানা জানাজা : শুরু হলো ফের ৭২ ঘণ্টার অবরোধ

চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুরে বিএনপি জামায়াত নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোটের নেতাকর্মীদের গায়েবানা জানাজা ঝটিকা মিছিল ও সংক্ষিপ্ত সমাবেশ

স্টাফ রিপোর্টার: দ্বিতীয় দফা দেশব্যাপি ১৩১ ঘণ্টা অবরোধ চলাকালীন নিহতদের স্মরণে গায়েবানা জানাজা কর্মসূচি পালন করেছে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দল। গতকাল বাদ জুম্মা রাজধানী নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনেসহ দেশের অধিকাংশ জেলাতেই এ গায়েবানা জানাজার আয়োজন করা হয়। জানাজায় নিহতদের রুহের মাগফেতার কামনায় বিশেষ দোয়া করা হয়।

৩৬ ঘণ্টা বিরতির পর আজ শনিবার ভোর ৬টা থেকে ফের ৭২ ঘণ্টা সড়ক, নৌ ও রেলপথ অবরোধ কর্মসূচি দিয়েছে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোট। তফশিল প্রত্যাহার ও নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে দ্বিতীয় দফায় টানা ৬ দিনের অবরোধের শেষ দিন বৃহস্পতিবার অজ্ঞাত স্থান থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক ভিডিও বার্তায় বিএনপির যুগ্মমহাসচিব সালাহউদ্দিন আহমেদ নতুন এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন। এরই মধ্যে দু দফা অবরোধে সারাদেশে ব্যাপক সহিংসতায় মৃত্যুর সংখ্যা ৫০-এ গিয়ে দাঁড়ায়। এর মধ্যে প্রথম দফায় ২৬ নভেম্বর ৯ জন, ২৭ নভেম্বর ৯ জন ও ২৮ নভেম্বর ৪ জন এবং দ্বিতীয় দফায় ৩০ নভেম্বর ৪ জন, ১ ডিসেম্বর ৩ জন, ২ ডিসেম্বর ৪ জন, ৩ ডিসেম্বর ৮ জন, ৪ ডিসেম্বর ৭ জন ও ৫ ডিসেম্বর ২ জন মারা যান। আজ থেকে ৭২ ঘণ্টার অবরোধশুরুর আগেই গতকাল রাজধানীতে পুলিশের গাড়িতে আগুন দেয়াসহ বিক্ষিপ্তভাবে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে। অবরোধ কর্মসূচির সমর্থনে জুম্মার নামাজের পরই রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ককটেল হামলা, গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে শিবির। উত্তর বাড্ডায় শিবিরকর্মীরা ঝটিকা মিছিল করে পুলিশের গাড়িসহ দুটি গাড়িতে আগুন দিয়েছে। ওই এলাকায় বেশ কয়েকটি গাড়িও ভাঙচুর করেছে তারা। মিরপুরে গাড়ি ভাঙচুর ও ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে। বাংলা একাডেমীর সামনে পরপর অন্তত ১০টি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটেছে। বিকেলে খামারবাড়ী এলাকায় একটি মাইক্রোবাসে আগুন দেয়া হয়েছে।

চুয়াডাঙ্গা বিএনপির ৪টি অংশ পৃথকস্থানে পৃথকভাবে গায়েবানা জানাজার আয়োজন করে। শনিবার থেকে ৭২ ঘণ্টা অবরোধকর্মসূচি পালনের আহ্বান জানিয়ে মেহেরপুর ও চুয়াডাঙ্গাতেও ঝটিকা মিছিল হয়েছে।

কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির উদ্যোগে দলীয় কার্যালয় থেকে গতকাল শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় দলীয় কার্যালয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের আয়োজন করে। সমাবেশে এসএম শামীম রেজা ডালিমের সভাপতিত্বে মকলেছুজ্জামানের মকলেছের উপস্থাপনায় বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সহসভাপতি এম. জেনারেল ইসলাম, যুগ্মসম্পাদক অ্যাড. ওয়াহেদুজ্জামান বুলা, দপ্তর সম্পাদক অ্যাড. আ.স.ম আব্দুর রউফ, পৌর বিএনপি সভাপতি সহিদুল ইসলাম রতন, সাধারণ সম্পাদক মজিবুল হক মালিক মজু, যুবদলের যুগ্মআহ্বায়ক মোকারম হোসেন, সদস্য আশরাফ বিশ্বাস মিল্টু, আরিফুরজ্জামান পিন্টু, মামুন রেজা সবুজ, তৌফিকুজ্জামান তৌফিক, আক্তারুজ্জামান, ছাত্রদলে সিনিয়র যুগ্মআহ্বায়ক এমএ তালহা, রাজিব খান, স্বেচ্ছাসেবক দলের আশরাফুল হক দিলা, আশরাদুল হক বকুল, আহসান হাবিব মুক্তি, আমিরুল ইসলাম, ওলামা দলের জাহিদ মোল্লা প্রমুখ।

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সংগ্রামী সভাপতি আব্দুল কাদের ভূইয়া জুয়েলকে গ্রেফতারের প্রতিবাদ ও আটককৃত ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রশিদ হাবিবসহ সকল নেতাকর্মীর নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে চুয়াডাঙ্গা জেলা ছাত্রদলের উদ্যোগে বিকেলে দলীয় কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করা হয়। সভাপতিত্ব করেন জেলা ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্মআহ্বায়ক কেন্দ্রীয় সংসদের সদস্য এমএ তালহা। বক্তব্য রাখেন জেলা ছাত্রদলের যুগ্মআহ্বায়ক রাজিব খান। বক্তারা বলেন, বর্তমানে গণবিছিন্ন সরকার চিরস্থায়ীভাবে ক্ষমতায় থাকার জন্য একদলীয় নির্বাচন করার উদ্দেশে একের পর এক বিরোধদলীয় নেতা-কর্মীদের ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার করছে। তারই ধারাবাহিকতায় ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সভাপতি আব্দুল কাদের ভূইয়া জুয়েল ও ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রদলের সিনিয়ির সহসভাপতি শরিফ উদ্দিন জুয়েলকে গ্রেফতার  করেছে পুলিশ। আমরা এ গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। সেইসাথে আটককৃত সকল নেতা-কর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি করছি। বক্তারা আরও বলেন, নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করে সরকারবিরোধী নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলন দমানোর যে অপচেষ্টা চলছে তা কোনোদিনই সফল হবে না। গ্রেফতার নির্যাতন জেল-জুলুম খুন-গুম যতোই বাড়বে নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি আদায়ের আন্দোলন ততোই তীব্র হবে। উপস্থিত ছিলেন জেলা ছাত্রদলের বিভিন্ন ইউনিটের নেতৃবৃন্দ।

এদিকে, ১৮ দলের ডাকে ৬ দিনের শান্তিপূর্ণ অবরোধ কর্মসূচি চলাকালীন সারাদেশে পুলিশের এবং আওয়ামী সন্ত্রাসীদের হামলায় নিহতদের গায়েবানা জানাজা গতকাল বাদ আসর জেলা বিএনপির কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত হয়। উপস্থিত ছিলেন এম. জেনারেল ইসলাম, ওয়াহেদুজ্জামান বুলা, অ্যাড. আ.স.ম আব্দুর রউফ, অ্যাড. শামীম রেজা ডালিম, শহিদুল ইসলাম রতন, মজিবুল হক মালিক মজু, নজরুল ইসলাম চেয়ারম্যান, মোকাররম হোসেন, আশরাফুল বিশ্বাস মিল্টু, মোখলেছুজ্জামান, তৌফিকুজ্জামান, মামুন রেজা সবুজ, আরিফুজ্জামান পিন্টু, আক্তারুজ্জামান, এমএ তালহা, রাজিব খাঁন প্রমুখ। পরিচালনা করেন ওলামাদলের নেতা মো. জাহিদুল ইসলাম।

চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপি একাংশের উদ্যোগে গতকাল গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। ১৮ দলীয় জোটের ১৩১ ঘণ্টা অবরোধের রাজপথে যেসব নেতাকর্মী নিহত হয়েছেন তাদের রূহের মাগফেরাত কামনায় এ জানাজা আয়োজন করা হয়। জানাজায় অংশ নেন জেলা বিএনপিসহ ১৮ দলীয় জোটের নেতারা।

অপরদিকে বিকেলে জেলা বিএনপির কেদারগঞ্জ বাজারস্থ দলীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে বিএনপি একাংশ লাঠি মিছিল বের করে। মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করতে গেলে পুলিশের বাধার সম্মুখিন হলে তাৎক্ষণিকভাবে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সভাপতিত্ব করেন- জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক হাজি আব্দুল মান্নান। উপস্থিত ছিলেন আব্দুল হালিম হিরু, যুগ্মসাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হক পল্টু, দপ্তর সম্পাদক আবু আলা সামসুজ্জামান, পৌর বিএনপির সহসভাপতি সিরাজুল ইসলাম মনি, হাবিবুর রহমান শিখন, একরামুল হক, মিনহাজ উদ্দীন, মিজানুর রহমানম, সাইফুর রশিদ ঝন্টু, হাফিজুর রহমান মুক্ত, আবু, রাজু আহম্মেদ, ফিরোজ, কাজল, সালাম, আনোয়ার হোসেন, মাহাবুল হক, দেলোয়ার হোসেন দিনু, মিলন মেম্বার, মাবুদ সরকার, জাহিদুল প্রমুখ।

চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির নেতা লে. কর্নেল সৈয়দ কামরুজ্জামান সমর্থিত নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজা পরবর্তী আলোচনাসভার আয়োজন করা হয়। আলোচনাসভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা বিএনপির প্রচার সম্পাদক অ্যাড. আব্দুল ওহাব সাবেক পিপি। প্রধান অতিথি ছিলেন সিনিয়র সহসভাপতি এবিএম হাসান হাসু, সাংগঠনিক সম্পাদক সরদার আলী হোসেন, জেলা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আব্দুল জব্বার সোনা, জেলা বিএনপির সহপ্রচার সম্পাদক রেজাউল কমির মুকুট, স্বেচ্ছাসেবক দলের সহসভাপতি মহাসিন আলী বিশ্বাস, মফিজুর রহমান, সৈয়দ শরিফুল আলম বিলাস প্রমুখ। জানাজা পরিচালনা করেন মাও. হারুন অর রশিদ।

জেলা বিএনপির অর্থ বিষয়ক সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলমের উদ্যোগে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে আলোচনাসভা ও গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। কোর্টমোড়স্থ জেলা বিএনপির অস্থায়ী কার্যালয়ে সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা বিএনপির সহসভাপতি আইনুর হোসেন পচা। প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা মৎস্যজীবী দলের আহ্বায়ক আবুক বক্কর সিদ্দিক বকুল। উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সহসভাপতি আরশেদ আলী কালু, মৎস্যজীবীদলের সাধারণ সম্পাদক ওহিদুল ইমলাম ওহিদ, জেলা কৃষকদলের সভাপতি হামিদুল হক নেতাজী প্রমুখ। পরে চুয়াডাঙ্গা আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনের সামনে গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজা পরিচালনা করেন ক্বারী মো. আব্দুল খালেক হাজি।

আলমডাঙ্গা ব্যুরো জানিয়েছে, কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে আলমডাঙ্গা উপজেলা ও পৌর বিএনপির উদ্যোগে গতকাল আলমডাঙ্গার হাজিমোড়স্থ বিএনপি কার্য়ালয়ে বিকেল ৫টার দিকে গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। উপিস্থত ছিলেন উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শেখ সাইফুল ইসলাম, আব্দুল জব্বার, নূর মোহাম্মদ টিপু, চেয়ারম্যান দারুস সালাম, ইসরাফ হোসেন, আজিজুর রহমান পিন্টু, এমদাদুল হক ডাবু, বিল্লাল হোসেন, আনোয়ার হোসেন, শামসুল আরেফীন, সহিদুদ্দোজা মিল্টন, মহিনুল ইসলাম, আলী হোসেন, আলাউদ্দিন খান, ডা. আব্দুল লতিফ, মফিজ উদ্দীন, আনিসুর রহমান, ওল্টু, হাফিজুর রহমান চমক, রোকনুজ্জামান, উপজেলা যুবদলের যুগ্মআহ্বায়ক মিল্টন মল্লিক, মাগরিবুর রহমান, ওহিদুল ইসলাম, গোলাম হোসেন, আব্দুল খালেক, পৌর যুবদলের যুগ্মআহ্বায়ক ফারুক হোসেন, গোলাম বিশ্বাস, মামুন, উজ্জ্বল, অবসরপ্রাপ্ত সেনা সার্জেন্ট বাকী বিল্লাহ, যুবনেতা খাজা করিম, বোরহান উদ্দিন, সোয়েব, আজাদ, ছাত্রদলের তৌফিক খান, ডালিম প্রমুখ। দোয়া পরিচালনা করেন উপজেলা জামায়াতে ইসলামের নায়েবে আমির মুন্সি আসাদুজ্জামান।

জামজামি প্রতিনিধি জানয়েছেন, আলমডাঙ্গার জামজামি ইউনিয়ন বিএনপির উদ্যোগে গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। জামজামির পাঁচলিয়া জামাল উদ্দিন মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে গতকাল বাদ জুম্মা এ জানাজা শেষে জামজামি ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. আব্দুল লতিফ তোতার সভাপতিত্বে স্থানীয় বিএনপি নেতার সুস্থতা কামনায় বিশেষ দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। প্রধান অতিথি ছিলেন আলমডাঙ্গা উপজেলা বিএনপির সহসাধারণ সম্পাদক ডা. আলাউদ্দিন। বিশেষ অতিথি ছিলেন ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. লিয়াকত আলী। বক্তব্য রাখেন বিএনপি নেতা পান্না চৌধুরী, কৃষকদল নেতা ডা. শাহাজান আলী, ডা. মানোয়ার হোসেন, ইউনিয়ন যুবদল সভাপতি ওয়াহেদুজ্জামান, সহসাধারণ সম্পাদক এসএম নাজমূল করিম মিল্টন, রবজেল হোসেন, মো. জামাল হোসেন, মো. আরজান আলী, মো. খলিল উদ্দিন, ডা. মজ্জেম হোসেন, স্বপন আলী, রওশন আলী, সাইফুল হোসেন, মহাসিন আলী প্রমুখ।

জীবননগর ব্যুরো জানিয়েছে, জীবননগরে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোটের টানা ১৩১ ঘণ্টার অবরোধে নিহত নেতাকর্মীদের মাগফেরাত কমানায় গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে গতকাল শুক্রবার বাদ জুম্মা বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী জীবননগর উপজেলা শাখা এ কর্মসূচি পালন করে। জানাজায় ইমামতি করেন মাও. অমির হোসেন। এতে অংশ নেন উপজেলা আমির অধ্যাপক মো. খলিলুর রহমান, মাও. আমির হোসেন, ইসমাইল হোসেন, গোলাম রসুল, জিয়াউল হক, আব্দুস সালাম, বদর উদ্দিন, আব্দুল খালেক, ইজাজুল হক ও সিরাজুল ইসলামসহ নেতাকর্মীরা।

এর আগে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তারা দেশব্যাপি ১৮ দলীয় জোট নেতাকর্মীদের হত্যা, হামলা, মামলা ও নির্যাতনের তীব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানান। একই সাথে এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান তারা।

মেহেরপুর অফিস জানিয়েছে, গতকাল শুক্রবার মেহেরপুর পৌর টাউন হল প্রাঙ্গণে গায়েবানা জানাজা ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। জানাজাপূর্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন মেহেরপুর-১ আসনের সাবেক এমপি বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মাসুদ অরুন। বক্তব্য রাখেন জেলা জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত আমির আলহাজ সিদ্দিকুর রহমান, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আমিরুল ইসলাম, জেলা জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি ফারক হুসাইন, পৌর বিএনপির সভাপতি জাহাঙ্গীর বিশ্বাস, বিএনপি নেতা ইলিয়াস হাসেন, জেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক আব্দুর রহিম ও জেলা ছাত্রশিবিরের সভাপতি সাইফুল ইসলাম। উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সহসভাপতি আব্দুর রহমান, জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মারুফ আহম্মেদ বিজন, সদর থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রটারি জেনারেল তারেক মো. সাইফুর রহমান, ছাত্রদল নেতা সোহেল হোসেন প্রমুখ। পরিচালনা করেন সদর উপজেলা জামায়াতের আমির কাজী রুহুল আমিন।