আন্দুলবাড়িয়া নুড়িতলা রেলগেটে ট্রেনের ধাক্কায় পাউয়ার ট্রিলার চূর্ণবিচূর্ণ: প্রাণে রক্ষা

 

নারায় ভৌমিক: দ্রুতগামী আন্তঃনগর ট্রেনের ধাক্কায় কৃষিপণ্য বহনকারী পাউয়ার ট্রিলার চূর্ণবিচূর্ণ হয়েছে। অল্পের জন্য চালক ও হেলপার প্রাণে রক্ষা পান। গত শনিবার বিকেলে আন্দুলবাড়িয়া-চাঁনপুর সড়কে নুড়িতলা রেলগেটে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার তিতুদহ ইউনিয়নের চাঁনপুর গ্রামের আবুল হাশেমের ছেলে পাউয়ার ট্রিলার চালক জনি (২৩)। গত পরশু শনিবার বিকেল ৪টার দিকে পাউয়ার ট্রিলার নিয়ে বাড়ি থেকে বের হন। সাথে ছিলেন গ্রামের জহির উদ্দিনের ছেলে হেলপার সবুজ (২২)। তারা চাঁনপুর-আন্দুলবাড়িয়া সড়ক পথ দিয়ে আন্দুলবাড়িয়া বাজারে কৃষিপণ্য নিতে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে নুড়িতলা রেলগেটে পৌঁছুলে রেললাইনের মাঝে পাউয়ার ট্রিলারের ইঞ্জিন বিকল হয়ে যায়। মুহূর্তের মধ্যে ডাউন খুলনাগামী আন্তঃনগর কপোতাক্ষ ট্রেনের ধাক্কায় আটকে পড়া পাউয়ার ট্রিলার চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে যায়। এ সময় পাউয়ার ট্রিলার চালক ও হেলপার লাফ দিয়ে প্রাণে রক্ষা পান। দুর্ঘটনার পর স্থানীয়রা পাউয়ার ট্রিলারের ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার করে।

বাংলাদেশ রেলওয়ে তথ্য সূত্রে জানা গেছে, সারাদেশে লেবেলক্রসিং গেটের সংখ্যা ২ হাজার ৫৪১টি। তার মধ্যে অনুমোদিত গেট ১ হাজার ১২১টি। স্থায়ী গেটম্যান রয়েছে ১৫১ জনও অস্থায়ী গেটম্যান ৬৮৮ জন। এর মধ্যে খুলনা থেকে ঈশ্বরদী রেলপথে ৮২টি রেলক্রসিং অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। গত ৪ বছরে এসব অরক্ষিত রেলগেটে ভয়াবহ দুর্ঘটনাসহ প্রায় ২শ প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। প্রসঙ্গত, গত ৬ মাসের ব্যবধানে ট্রেনের ধাক্কায় নুড়িতলা রেলগেটে এ নিয়ে ২টি পাউয়ার ট্রিলার দুর্ঘটনার কবলে পড়ে চূর্ণবিচূণ হয়।