আন্দুলবাড়িয়ায় ব্যাংক ম্যানেজারের কাছে চাঁদা দাবি

 

জীবননগরের বিভিন্ন এলাকায় চলছে মোবাইলফোনে নরব চাঁদাবাজি

 

স্টাফ রিপোটার: জীবননগর উপজেলারআন্দুলবাড়িয়ায় অগ্রণী ব্যাংক শাখা ব্যবস্থাপক বিপুল কুমার বিশ্বাসের নিকট চাঁদা দাবি করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার বেলা ২টার দিকে নিজেকে পূর্ব বাংলা কমিউনিস্ট পাটির বিভাগীয় নেতা বিপ্লব মহিউদ্দিন পরিচয় দিয়ে ০১৯৫৫-৯৫৭৩২৯ নম্বর মোবাইলফোনের মাধ্যমে ২০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করা হয়। এক ঘণ্টার মধ্যে নগদ ২০ হাজার টাকা বিকাশের মাধ্যমে পৌঁছে দেয়ার কথা বলে কথিত বিপ্লব মহিউদ্দিন। কাউকে জানালে খুন, গুম, অপহরণসহ জানে মেরে ফেলার হুমকি দেয়া হয়। একথাগুলো শোনার পর অজানা ভয় আতঙ্কেব্যাংক ম্যানেজার মোবাইলফোন বন্ধ করে রাখায় চাঁদাবাজ বিপ্লব মহিউদ্দিন বিকাশ নম্বরটি দেয়ার আর সুযোগ পায়নি। মোবাইলফোন চাঁদাবাজচক্রের চাঁদা দাবি ও হুমকির ঘটনায় ব্যাংক কর্মকর্তা-কর্মচারী ও ব্যাংকপাড়ায় গ্রাহকরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। শাখা ব্যবস্থাপক বিপুল কুমার বিশ্বাস জানান, তাৎক্ষণিক মোবাইলফোনে জীবননগর থানার ওসি ও ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে।

সূত্র জানায়, জীবননগর উপজেলার রায়পুর, বারুইপাড়া, বাড়ান্দি, বালিহুদা, কেষ্টপুর, মারুফদহ, আন্দুলবাড়িয়া ইউনিয়নের নিধিকুণ্ডু, শাহাপুর, ঘুঘরাগাছি, কর্চ্চাডাঙ্গা, বাজদিয়া, বিদ্যাধরপুর,অনন্তপুর, আন্দুলবাড়িয়াসহ নিভৃতপল্লি এলাকায় চলছে মোবাইলফোনে নীরব চাঁদাবাজি। এসব এলাকায় চাঁদাবাজ চক্রের উৎপাত ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। বেপরোয়া চাঁদাবাজচক্র ০১৮৫৯-১৬১৯৫৬, ০১৭৯১-১৮৪৫৩১ ও ০১৯৫৫-৯৫৭৩২৯ নম্বরের মোবাইল সিম ব্যবহার করে নিজেকে জনযুদ্ধ, পূর্ববাংলা কমিউনিস্ট পার্টি কখনো সর্বহারা পার্টির বিভাগীয় নেতা, রানা মাসুদ, বিপ্লব মহিউদ্দিন পরিচয় দিয়ে এলাকায় গণহারে চাঁদাবাজি চালিয়ে যাচ্ছে। চাঁদাবাজ চক্রের টার্গেটে রয়েছে-ব্যবসায়ী, চাকরিজীবী, ডাক্তার, জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক ব্যক্তি, বিত্তশালী কৃষকসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ। এরা টার্গেট নিয়ে ওই মোবাইলফোন নম্বরের মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যক্তিকে হুমকি দিয়ে ভীতি সৃষ্টি ও আতঙ্কিত করে প্রতিদিন মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে বলে বিভিন্ন তথ্য অনুসন্ধান সূত্রে জানা গেছে। অনেকে ঝামেলা এড়াতে নিজে ও পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তার কথা ভেবে দরকষাকষি করে চাঁদার টাকা চাঁদাবাজচক্রের হাতে তুলে দিচ্ছে। ধার্য্যকৃত চাঁদার টাকা কেউ দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে তাকে খুন,গুম,মেরে হাত-পা ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয়া ও পরিবারের সদস্যদের অপহরণ করার নানা হুমকি দিয়ে ভীতি সৃষ্টি ও আতঙ্কিত করে তুলছে।