আটক করে তিন দিন ধরে আটকের পর ভ্রাম্যমান আদালতে সোপর্দের অভিযোগ

দর্শনায় গাজাঁসহ বাদশা আটক : ৬ মাসের জেল

 

দামুড়হুদা প্রতিনিধি: গাঁজা বিক্রির অপরাধে দর্শনার বাদশাকে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ফরিদ হোসেন গত বুধবার দুপুরে দর্শনার মোবারকপাড়ার বাদশাকে এ রায় প্রদান করেন। দামুড়হুদা থানার এস আই ওয়ালিয়ার রহমান বাদি হয়ে ঐ দিন দুপুরে গাঁজাসহ বাদশাকে আটক দেখিয়ে ভ্রাম্যমান আদালতে সোপর্দ করেন। এসময় আসামী বাদশা কৌশলে সাংবাদিকদের জানায়, দর্শনার ফাড়ি পুলিশের ইনচার্জ এই আই মিজানুর রহমান ওরফে মিজান আজ থেকে তাকে গত ৩ দিন আগে গ্রেফতার করে দর্শনায় আটকে রাখে। বিষয়টি রহস্যজনক ! প্রয়োজন উন্মোচন – কি কারণে এস আই মিজান তাকে ৩ দিন আটকে রেখে ভ্রাম্যমান আদালতে সোপর্দ করে ? কেনোইবা তাকে ৩ দিনপর আটক দেখানো হলো ?

দর্শনার মোবারক পাড়ার মৃত শাহাদত হোসেনের ছেলে এই বাদশা (৩০)। লুঙ্গির কোচে (৭০) গ্রাম গাঁজা নিয়ে দর্শনার কলেজ মোড়ে দাড়িয়ে বিক্রির জন্য অপেক্ষা করছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে দামুড়হুদার থানার এস আই ওয়ালিয়ার রহমান তাকে গাঁজাসহ হাতেনাতে ৩০ অক্টোবর বুধবার বেলা ১১.৪৫ মিনিটে আটক করে এবং ঐ দিনই দুপুরে ভ্রাম্যমান আদালতে সোপর্দ করে। উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিষ্টেট মো: ফরিদ হোসেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইন ১৯৯০ এর ১৯ (১) এর ৭ (ক) ধারায় বাদশা’কে দোষী স্যাবাস্ত করিয়া ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন। এস আই ওয়ালিয়ার রহমান গত ৩০ অক্টোবর বুধবার বেলা ১১.৪৫ মিনিটে বাদশা গাঁজাসহ হাতেনাতে ধৃত হয় তার সাক্ষি প্রমান দর্শনার দক্ষিন চাঁদপুরের হুজুর আলীর ছেলে মাসুম ও রমজান শাহের ছেলে চান্দু’র নাম রায়ের ফাইলে লিপিবদ্ধ আছে এবং ভ্রাম্যমান আদালত উক্ত আসামীর নামে আনা অভিযোগ প্রমানিত পাওয়ায় তাকে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ডের রায় প্রদান করেন।

কিন্তু বাদশা সাংবাদিকদের কেন বললেন দর্শনার ফাড়ি ইনচার্জ বহুল আলোচিত ও সমালোচিত এস আই মিজান তাকে ৩ দিন পূর্বে আটক করে দর্শনায় আটকে রাখে। সঠিক দিন তারিখ ও সময়ে আটক না দেখিয়ে, কেনো গত ৩০ অক্টোবর বুধবার তাকে আটক দেখানো হলো ! কেনো ৩ দিন পর ভ্রাম্যমান আদালতে এনে বিচার করা হলো ?