আজ ব্লিচিং গিয়ে জীবাণুমুক্ত করা হচ্ছে পৌর পানি সরবরাহের পাইপলাইন

 

চুয়াডাঙ্গায় ডায়রিয়ার প্রকোপ কমলেও স্বস্তিতে নেই স্বাস্থ্য বিভাগ

 

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা পৌর পানি সরবরাহের পাইপলাইন আজ ব্লিচিং দিয়ে জীবাণুমুক্ত করা হচ্ছে। এ জন্য গতকাল পৌর কর্তৃপক্ষ মাইক দিয়ে প্রচার করে আজ সোমবার সকাল ১০টা থেকে পৌর সরবরাহকৃত পানি ব্যবহার না করার জন্য গ্রাহকদের অনুরোধ জানিয়েছেন। তবে আগামীকাল ১২ আগস্ট থেকে পানি ব্যবহার করা যাবে।

চুয়াডাঙ্গায় ডায়রিয়ার প্রকোপ কমে এলেও নিশ্চিন্ত হতে পারছে না চুয়াডাঙ্গা স্বাস্থ্য বিভাগ। ডায়রিয়া দুর্গত এলাকার পানি সংগ্রহ করে স্বাস্থ্য বিভাগের পরীক্ষার রিপোর্ট গতকাল চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন কার্যালয়ে পৌঁছুলেও তা প্রকাশ করা হয়নি। সিভিল সার্জন ডা. আজিজুল ইসলাম বলেছেন, পৌর সরবরাহকৃত পানির উৎসস্থল তথা পাম্প থেকে সংগ্রিহীত পানিতে জীবাণু না পাওয়া গেলেও পৌর সরবরাহকৃত পানির গ্রাহকদের বাড়ি থেকে সংগ্রিহীত পানিতে মাত্রারিক্ত মলের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। এ কারণে আমরা স্বস্তিতে নেই। আপাতত নিশ্চিন্তও হওয়া যাচ্ছে না। আরো কয়েকটি পরীক্ষার রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর আমরা তা প্রকাশের বিষয়টি ভেবে দেখবো।

গতকাল চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ডায়রিয়া আক্রান্ত ৪২ জন রোগী ভর্তি হয়েছে। এর মধ্যে পৌর এলাকার ৩০ জন এবং বিভিন্ন গ্রামের ১২ জন রয়েছে। চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার উদ্যোগে আজ পৌর সরবরাহকৃত পানির পাইপলাইনে ব্লিচিং পাউডারসহ প্রয়োজনীয় রাসায়নিক পদার্থ দিয়ে জীবাণুমুক্ত করা হচ্ছে। এ কারণে সকাল ১০টার পর থেকে গ্রাহকদের পৌর সরবরাহকৃত পানি ব্যবহার না করার জন্য অনুরোধ জানিয়ে বলেছে, তবে আগামীকাল মঙ্গলবার থেকে পূর্বের মতোই ব্যবহার করা যাবে। এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা স্বাস্থ্য বিভাগ অবশ্য কোনো মন্তব্য করেনি। সিভিল সার্জন বলেছেন, ঢাকার দুটি টিম পর্যবেক্ষণে রয়েছে। ঝিনাইদহের দুটিসহ চুয়াডাঙ্গার ৪টি মেডিকেল টিম গঠন করে ডায়রিয়া আক্রান্তদের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার দিকেই এগুচ্ছে। এরপরও পানিতে যে পরিমানের জীবাণুর অস্তিত্ব রয়েছে তা দেখে আমরা নিশ্চিন্ত হতে পারছি না।

চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার সকল নাগরিকের দৃষ্টি আকর্ষণ করে তিন দিন আগে বলা হয়েছে, যারা টয়লেটের পাইপ সরাসরি ড্রেনের সাথে সংযোগ করে তাদেরকে ১৪ আগস্টের মধ্যে নিজ উদ্যোগে সরিয়ে নিতে হবে। অন্যথায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ ঘোষণার পর গতকাল পর্যন্ত পৌর কর্তৃপক্ষের আহ্বানে তেমন কাউকেই সাড়া দিতে দেখা যায়নি। তবে সূত্র বলেছে, পৌর কর্তৃপক্ষ তার লোকবল দিয়ে ইতোমধ্যেই তথ্য সংগ্রহের কাজ শুরু করেছেন।