আগ্নেয়াস্ত্র রাখার অপরাধে দুজনকে ১০ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ডাদেশ

চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ-১ আদালতের আগ্নেয়াস্ত্র মামলার রায়

 

স্টাফ রিপোর্টার: আগ্নেয়াস্ত্র রাখার অপরাধে দুজনকে ১০ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেয়া হয়েছে। দণ্ডিতরা হলো কুষ্টিয়া জেলার খোকসা মোড়াগাছা হাসিমপুর গ্রামের মৃত খাতের আলীর ছেলে লিয়াকত আলী ও কুমারখালী উপজেলার রায়ডাঙ্গা গ্রামের আতর আলী শেখের ছেলে রানা ওরফে মাসুদ রানা। মামলার বাকি চার আসামির বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত না হওয়ায় তাদেরকে খালাস দেয়া হয়েছে। এরা হলেন কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার হুদা করাতকান্দির ডালিম, জাহেদপুরের রবিউল ইসলাম, উত্তর কৈয়ার জাফর ইকবাল ও মেহেরপুর গাংনী উপজেলার মাইলমারির ইসরাফিল। চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-১ এর বিজ্ঞ বিচারক নাজির আহমেদ গতকাল রোববার জনাকীর্ণ আদালতে আসামি মাসুদ রানার উপস্থিতিতে এ রায় দেন। দণ্ডিত অপর আসামি লিয়াকত আলী পলাতক রয়েছে। তার গ্রেফতারের দিন থেকে সাজার মেয়াদ শুরু হবে বলে বিজ্ঞ বিচারক রায়ে উল্লেখ করেছেন।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১০ সালের ৪ এপ্রিল রাতে চুয়াডাঙ্গার তৎকালীন র‌্যাব-৬ এর কমান্ডার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারেন দর্শনা পৌরসভাধীন ফুলতলা নামক স্থানে জালালের চায়ের দোকানে একদল ডাকাত অস্ত্রসহ অবস্থান করছে। এ সময় র‌্যাব কমান্ডারের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে আসামিদের আটক করে। এ সময় তাদের কাছ থেকে দেশি তৈরি একটি শাটারগান ও একটি দেশি তৈরি শুটারগান উদ্ধার করা হয়। র‌্যাব ৬ জনকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেন। চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-১ বিচার শুরু হয়। আদালত ১৩ জনের স্বাক্ষীগ্রহণ করেন। সাক্ষ্য প্রমাণ পরীক্ষা করে ৬ আসামির মধ্যে লিয়াকত আলী ও রানা ওরফে মাসুদ রানাকে ১৮৭৮ সালের ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৫-ক ধারার বিধানমতে অস্ত্র মামলায় সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাদের দুজনকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। দণ্ডিত আসামি মাসুদ রানা ইতঃপূর্বে যতোদিন হাজতবাস করেছে তার দণ্ডিত সাজা হতে বাদ যাবে। অপর সাজাপ্রাপ্ত আসমি লিয়াকত আলী পলাতক থাকায় তাকে গ্রেফতার বা স্বেচ্ছায় আদালতে আত্মসমর্পন করার তারিখ থেকে সাজার মেয়াদ শুরু হবে।