আইনি জটিলতার কারণে চুয়াডাঙ্গা শঙ্করচন্দ্র-বেগমপুর ও তিতুদহের নির্বাচন হচ্ছে না

স্টাফ রিপোর্টার: আইনি জটিলতা, সীমানা বিন্যাস, ভোটার তালিকাসহ একাধিক কারণে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনী তফসিল থেকে ১২টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন। গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের পরিচালক (জনসংযোগ) এসএম আসাদুজ্জামান সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। স্থগিত ইউনিয়নের মধ্যে চুয়াডাঙ্গা জেলা সদরের শঙ্করচন্দ্র, বেগমপুর ও তিতুদহ রয়েছে। আগামী ৩১ মার্চ ৬৮৪টি ইউনিয়ন পরিষদে (ইউপি) দ্বিতীয় দফার ভোটগ্রহণের তফসিল ঘোষণা করেছিলো নির্বাচন কমিশন (ইসি)। কিন্তু আইনি জটিলতার কারণে ১২টি ইউপির নির্বাচন স্থগিত ঘোষণা করলো সংস্থাটি। গতকাল বুধবার ইসির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার সহকারী সচিব আশফাবুর রহমান জানান, মামলাসহ বিভিন্ন আইনি জটিলতার কারণে ১২টি ইউপির নির্বাচন স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে- কোটালীপাড়ার ঘাঘর, রাণীশংকৈলের বাচোর, হোসেনগাঁও, নন্দুয়ার, চুয়াডাঙ্গা সদরের বেগমপুর, শঙ্করচন্দ্র, তিতুদহ, নীলফামারী সদরের খোকশাবাড়ী, টুপামারী, চরফ্যাশনের আমিনাবাদ, নুরাবাদ ও মাগুরা সদরের কুচিয়ামোড়া। ইতোমধ্যে নির্বাচন স্থতিগকরণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট উপজেলা কর্মকর্তাদেরও নির্দেশনা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

ইসির ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, দ্বিতীয় ধাপে ৬৭২টি ইউনিয়নে ভোট হবে। এই ধাপে ২ মার্চ মধ্যে প্রার্থীদের মনোনয়ন দাখিল করতে হবে। প্রার্থীতা বাছাই ৪-৫ মার্চ, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১৩ মার্চ, ভোট গ্রহণ করা হবে ৩১ মার্চ। নির্বাচন কমিশনের (ইসি) জেলা পর্যায় থেকে এই তফসিল ঘোষণা করেছেন।

এবার ছয় ধাপে ইউপি নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এক্ষেত্রে প্রথম দফায় ৭৩৮ ইউপিতে আগামী ২২ মার্চ এবং তৃতীয় দফায় ২৩ এপ্রিল ৭১১টি ভোট হবে। এছাড়া চতুর্থ দফায় ৭ মে ৭২৮টি, পঞ্চম দফায় ২৮ মে ৭১৪টি এবং ষষ্ঠ দফায় ৪ জুন ৬৬০টি ইউপিতে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

প্রসঙ্গত, বর্তমানে দেশে ৪ হাজার ৫৭১টি ইউনিয়ন পরিষদ রয়েছে। মেয়াদোত্তীর্ণ বিবেচনায় ভোটের জন্য উপযুক্ত ইউনিয়ন বাছাই করে ধাপে ধাপে ভোটের তফসিল ঘোষণা করা হবে। স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন, ২০০৯-এর ২৯ (৩) ধারা অনুযায়ী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের তারিখ পাঁচ বছর পূর্ণ হওয়ার আগের ১৮০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করার বিধান রয়েছে। এ হিসাবে গত বছরের অক্টোবর থেকে চলতি বছরের জুনের মধ্যে সবগুলো ইউপির নির্বাচন শেষ করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।