অমর একুশে বইমেলা

স্টাফ রিপোর্টার: আজ শুরু হচ্ছে মাসব্যাপি অমর একুশে বইমেলা। বাঙালির সৃজনশীলতা চর্চা আর প্রাণের এ মেলা বিকেলে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ উপলক্ষে বাংলা একাডেমী প্রাঙ্গণে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এবারের মেলায় সাড়ে ৩ সহস্রাধিক নতুন বই প্রকাশিত হচ্ছে। বিভিন্ন প্রকাশনা সংস্থার স্বত্বাধিকারীর সাথে আলাপে জানা গেছে, অন্যান্য বছরের মতো এবারও প্রকাশিতব্য বইয়ের বেশির ভাগই কবিতা আর উপন্যাস। এছাড়া মুক্তিযুদ্ধ, ভাষা আন্দোলন, গবেষণা, শিশুসাহিত্য, ছড়া, বিশ্বসাহিত্যের আলোচিত বিভিন্ন গ্রন্থের অনুবাদসহ নানা ধরনের গ্রন্থ রয়েছে। বাংলা একাডেমী এবার ৬৫টি নতুন বই আনছে।

এদিকে মেলা আজ শুরু হলেও এখন পর্যন্ত প্রস্তুত নয় মেলাঙ্গন। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ৫০ ভাগ স্টলেরও সাজসজ্জার কাজ শেষ হয়নি। তবে বইমেলাকে সামনে রেখে কয়েক মাস ধরে প্রস্তুতি চলছে প্রকাশকদের। বিশেষ করে মেলার সময় যতোই ঘনিয়ে আসে, তাদের ব্যস্ততা ততো বাড়তে থাকে। এর মধ্যে গত কয়েকদিন এক প্রকার নির্ঘুম রাত কাটে অনেক প্রকাশকের। তবে সবচেয়ে বেশি চাপে রয়েছে বাংলা একাডেমী কর্তৃপক্ষ। নতুন ঠিকানায় এবারের মূল মেলার আয়োজন করতে হয়েছে তাদের অল্প সময়ের নোটিশে। যে কারণে বিগত এক সপ্তা এক প্রকার নাওয়া-খাওয়া-ঘুম বাদ দিয়ে প্রস্তুতি কাজ চালিয়ে যেতে হচ্ছে তাদের।

বাংলা একাডেমীর পরিচালক মেলা কমিটির সদস্য সচিব শাহিদা খাতুন বলেন, কয়েকদিন ধরে তাদের বলতে গেলে ২৪ ঘণ্টাই কাজ করতে হচ্ছে। এ কারণে ১০-১২ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী অসুস্থ হয়ে পড়েন। বেশ কয়েকজন শ্রমিকও অসুস্থ হয়ে পড়ে বলে জানান তিনি। বলেন, দেরি করে বরাদ্দের কারণে সব স্টল সজ্জার কাজ শেষ করতে পারেনি। আর মহাপরিচালক ড. শামসুজ্জামান খান বলেন, মেলায় বিভিন্ন ত্রুটি রয়েছে। যতোটা নিখুঁত করার কথা, ততোটা হবে না। তবে এবারের ভুলগুলো থেকে আগামীতে ভালো মেলা করা যাবে।

এবারের মেলায় দেশের নামিদামি প্রতিষ্ঠানসহ ছোট-বড় ২৩১টি প্রকাশনা সংস্থা অংশ নিচ্ছে কেবল সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে। তবে স্টলের জন্য আবেদন করেছিলো ৩২০টি প্রতিষ্ঠান। সংশ্লিষ্টরা জানান, যারা স্টল পাননি, মেলায় তাদেরও বই প্রদর্শন ও বিক্রির ব্যবস্থা করছেন অনেকে। এ কারণে ওই সব প্রতিষ্ঠানও তাদের নতুন বই ছেপে পরিবেশক নিয়োগ করছেন। এর বাইরে বাংলা একাডেমী প্রাঙ্গণে বসছে আরও ৬৮টি প্রতিষ্ঠানের স্টল।