অবশেষে কেরুজ চিনিকলের মাথার বোঝা নামলো : ৪ মরসুমের ৬৬ কোটি টাকার অবিক্রিত চিনি হলো বিক্রি

দর্শনা অফিস: কেরুজসহ দেশের প্রায় সবকটি চিনিকলের লাখ লাখ মেট্রিকটন চিনি ছিলো অবিক্রিত। কেরুজ চিনিকলের ৪ মরসুমের চিনি অবিক্রিত থাকায় মিল কর্তৃপক্ষকে পড়তে হয়েছিলো বিপাকে। চিনিকলের নির্ধারিত গোডাউন ছাড়াও মিলের আবাসিক কোয়ার্টার, অফিসার্স কোয়ার্টার, স্কুলভবনসহ বিভিন্ন স্থানে চিনি রাখতে হয়েছে। সেই সাথে চিনি রাখার জন্য প্রচুর অর্থ ব্যয়ে অতিরিক্ত একটি গোডাউন নির্মাণ করেছে মিল কর্তৃপক্ষ। সেক্ষত্রে অতিরিক্ত অর্থ ব্যয়ের বোঝা বহন করতে কর্তৃপক্ষকে হিমশিম খেতে হয়েছে। চিনি বিক্রির কৌশল হিসেবে প্যাকেটজাতকরণ করা হলেও তেমণ সাড়া পাওয়া যায়নি। চিনিকলের ৪ মরসুমের অবিক্রিত চিনি যেন মাথার বোঝায় পরিণত হয় মিল কর্তৃপক্ষের। অবশেষে দীর্ঘদিনের এ বোঝা নামলো। কেরুজ চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবিএম আরশাদ হোসেনের দূরদর্শিতা ও বিশেষ ব্যবস্থাপনায় চলতি মরসুমে অবিক্রিত ৬৬ কোটির টাকার চিনির মধ্যে প্রায় ৬০ কোটি টাকার চিনি বিক্রি করা হয়েছে। অবশিষ্ট চিনির ক্রেতা থাকলেও মূল্য বৃদ্ধির আশায় মিল কর্তৃপক্ষ তা বিক্রি করবে না বলে জানা গেছে। ২০১০-১১, ২০১১-১২, ২০১২-১৩ ও ২০১৩-১৪ মরসুমে উৎপাদিত ৬৬ কোটি ৬০ লাখ টাকা মূল্যের ১৮ হাজার মেট্রিকটন চিনি অবিক্রিত অবস্থায় গোডাউনে পড়ে ছিলো। এ পর্যন্ত ৫৭ কোটি ৬৮ লাখ ২০ হাজার টাকা মূল্যের ১৫ হাজার ৫শ ৯০ মেট্রিকটন চিনি বিক্রি করা হয়েছে। ফলে মিলের গোডাউনে চিনি রয়েছে মাত্র ৮ কোটি ৯ লাখ টাকা মূল্যের ২ হাজার ৪শ ১০ মেট্রিকটন।
সূত্র বলেছে, অবিক্রিত এ চিনির ক্রেতা থাকলেও মিল কর্তৃপক্ষ তা বিক্রি করবে না। চিনির মূল্য বাড়তে পারে ধারণা করেই এ চিনি রাখা হচ্ছে। এ দিকে চলতি আখ মাড়াই মরসুমের উৎপাদিত চিনি প্যাকেটজাত করা হতে পারে বলে জানিয়েছেন মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবিএম আরশাদ হোসেন।