অবরোধ বেড়েছে আরো ৫৯ ঘণ্টা : তৃতীয় দিনে নাটোর ও চাঁপাইনবাবগঞ্জে নিহত ২ : সারাদেশে আহত ২২৩

চুয়াডাঙ্গার কালেক্টরেট ডরমেটরির অদূরে ককটেল বিস্ফোরণ : আনছারবাড়িয়ার অদূরে নির্জন মাঠে রেললাইন কেটে নাশকতা

 

মাথাভাঙ্গা ডেস্ক: ৭২ ঘণ্টার অবরোধের সাথে আরো ৫৯ ঘণ্টা বাড়িয়ে বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত করা হয়েছে। এদিকে অবরোধের তৃতীয় দিনে গতকাল সোমবার ১৮ দলের নেতাকর্মীদের সাথে পুলিশ ও আওয়ামী লীগের ব্যাপক সংঘর্ষ, অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর ও গুলিবিনিময়ের ঘটনা ঘটেছে। এতে দুজন নিহত ও ২২৩ জন আহত হয়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ৭২ জনকে আটক করে। হতাহতের ঘটনাসহ বিভিন্ন দাবিতে যশোরের মনিরামপুর, চট্টগ্রাম, নওগাঁর বদলগাছী ও সাতক্ষীরায় আজ, কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে অনির্দিষ্টকাল ও নাটোরে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত হরতাল ডেকেছে ১৮ দল। এদের মধ্যে নাটোরে এক ছাত্রদল নেতা ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের কানসাটে এক যুবক নিহত হয়েছে। চুয়াডাঙ্গা কালেক্টরেট ডরমেটরির অদূরে একটি ককটেল নিক্ষেপ করা হয়। গতকাল সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে চাঁদমারি মাঠের দক্ষিণপ্রান্তে ককটেলটি বিস্ফোরিত হয়। এতে কেউ হতাহত হয়নি। এছাড়া রেললাইনে গতকালও আগুন দেয়া হয়। আনছারবাড়িয়া স্টেশনের অদূরে রেললাইন কেটে রাখা হয়। তবে দুর্ঘটনার আগেই তা মেরামত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

DSC01045

জানা গেছে, গত পরশু রোববার রাতে চুয়াডাঙ্গা-ঝিনাইদহ সড়কের নুরনগর মোড়ের অদূরে অটো ভাঙচুরের ঘটনায় চুয়াডাঙ্গা সদর ফাঁড়ি পুলিশের ইনচার্জ আবুল খায়ের গতকাল সকালে টার্মিনাল এলাকা থেকে নুরনগর কলোনির কালু শেখের ছেলে লিটন ওরফে লিটন ড্রাইভারকে (৩০) গ্রেফতার করেন। গতকালই লিটনকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। বিজ্ঞ আদালত জেলহাজতে প্রেরণ করেছেন। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে অবরোধকারীরা ইম্প্যাক্টের সামনে দুটি ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক ভাঙচুর করে। বিকেল ৪টার দিকে  জীবননগর বাসস্ট্যাণ্ডে ১ নং পানি ট্যাঙ্কের অদূরে পাটকাঠি বোঝাই একটি আলমসাধুতে আগুন ধরিয়ে দেয়। চুয়াডাঙ্গা দমকলবাহিনী আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। রাত পৌনে ৮টার দিকে চুয়াডাঙ্গা কোর্টপাড়াস্থ চাঁদমারি মাঠের দক্ষিণ পাশে ম্যাজিস্ট্রেট কোয়ার্টারের পাশের গলিতে একটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। খবর পেয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানার এসআই খালিদ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। রাত ৮টার দিকে মাথাভাঙ্গা ব্রিজের ওপর একটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায় অবরোধকারীরা। এদিকে রাত ৮টার দিকে চুয়াডাঙ্গা রেলবাজার রেলগেট সংলগ্ন রেললাইনের ওপর আগুন দেয় অবরোধকারীরা। স্থানীয়রা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। চুয়াডাঙ্গা জেলা ছাত্রদল একাংশ কেদারগঞ্জ এলাকা থেকে মিছিল বের করে। নেতৃত্বে ছিলেন শাহজাহান খান।

বিএনপির কেন্দ্রীয় স্বনির্ভরবিষয়ক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুর মুক্তির দাবিতে নাটোরে দুলু মুক্তি পরিষদের ডাকা সকাল-সন্ধ্যা হরতালে দফায় দফায় সংঘর্ষে ও মুহুর্মুহু গুলিবর্ষণের ঘটনায় সাইফুজ্জামান সুজন নামে এক ছাত্রদল নেতা নিহত হয়েছে। জেলা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক এ হাই তালুকদার ডালিম, যুবদলকর্মী আরিফ, ছাত্রদলকর্মী রনি এবং দু যুবলীগকর্মীসহ ১০ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছে। ঘটনার প্রতিবাদে ও দায়ী যুবলীগ নেতাদের গ্রেফতারের দাবিতে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত নাটোর জেলায় সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ডেকেছে দুলু মুক্তি পরিষদ। চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও শিবগঞ্জ  জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমাদানকে কেন্দ করে সোমবার দুপুরে বিরোধীদলের নেতাকর্মীরা আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী কানসাট আন্দোলনের নেতা গোলাম রাব্বানীর বাড়িতে আগুন দেয়। এ সময় দু দলের সংঘর্ষে রুবেল নামে একজন নিহত হয়েছে। নিহত রুবেল হচ্ছে কানসাট পুখুরিয়া গ্রামের খলিলুর রহমানের ছেলে। নিহত রুবেল বিএনপির কর্মী বলে দাবি করেছেন জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক হুইপ অধ্যাপক শাহজাহান মিয়া।

১৮ দলীয় জোটের ঘোষিত টানা ৬ দিনের অবরোধের সমর্থনে চুয়াডাঙ্গা জেলা ছাত্রদল একাংশ বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে। কেদারগঞ্জস্থ দলীয় কার্যালয় থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি বের হয়ে কোর্টমোড়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে। সমাবেশে ছাত্রদল নেতা সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা ছাত্রদলের যুগ্মআহ্বায়ক শাহজাহান খান। বিশেষ অতিথি ছিলেন সদর উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি মাসুদুল হক মাসুদ। সরকারি কলেজ ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ওয়ালিদ হাসানের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন জুড়োন, রানা আহম্মেদ, মনজু আহাম্মেদ, বিদ্যুত, আশা প্রমুখ।

অপরদিকে চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির অর্থ বিষয়ক সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলমের সমর্থকরা বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে। ১ নং পানির ট্যাঙ্কের সামনে থেকে বেলা সাড়ে ১২টার দিকে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়ে দলীয় কার্যালয়ে সংক্ষিপ্ত সামাবেশ করে। সভাপতিত্ব করেন জেলা বিএনপির সহসভাপতি আইনুর হোসেন পচা। উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সহসভাপতি আরশেদ আলী কালু, মৎস্যজীবী দলের আহ্বায়ক আবু বক্কর সিদ্দিক বকুল, মৎস্যজীবী দলের সাধারণ সম্পাদক ওহিদুল হক ওহিদ, কৃষকদলের সভাপতি হামিদুল হক নেতাজী, পৌর বিএনপির যুগ্মসম্পাদক আজাদুল ইসলাম আজাদ প্রমুখ।

সরোজগঞ্জ প্রতিনিধি জানিয়েছেন, চুয়াডঙ্গা ডিঙ্গেদহ ১৮ দলের  উদ্যোগে অবরোধের ৩য় দিন গতকাল সোমবার ডিঙ্গেদহবাজারে বিক্ষোভ মিছিলি বের করা হয়। মিছিলটি ডিঙ্গেদহ বাজারের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে চৌরাস্তামোড়ে রাস্তা বন্ধ করে সমাবেশ করে। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন চুয়াডাঙ্গা সদর থানা জামায়াতের আমির আব্দুর রউফ মিয়া, থানা বিএনপি একাংশের সহসভাপতি সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক, পদ্মবিলা ইউনিয়ন বিএনপি একাংশের সভাপতি ইউপি চেয়ারম্যান আবু তাহের মণ্ডল, শঙ্করচন্দ্র ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি নুরনবী সামদানি, সাধারণ সম্পাদক রুমজান আলী, সহসভাপতি রাইহান উদ্দিন যুগ্মসম্পাদক আব্দুল মান্নান, আব্দুর রাজ্জাক, জেলা ওলামাদলের আহ্বায়ক আনোয়ার হোসেন, সদর থানা যুবদল একাংশের আহ্বায়ক মহাবুল হক, যুগ্মআহ্বায়ক আমিরুল ইসলাম লাল, পদ্মবিলা ইউনিয়ন জামায়াতের আমির ছানোয়ার হোসেন, শঙ্করচন্দ্র ইউনিয়ন আমির ওসমান গনি, তিতুদহ ইউনিয়ন আমির রেজাউল করিম, বেগমপুর ইউনিয়ন আমির হুমাউন কবির, কুতুবপুর ইউনিয়ন আমির আব্দুর জব্বার, সদর থানা ছাত্রশিবির (পশ্চিম) সভাপতি কবির হোসেন, সরোজগঞ্জ আঞ্চলিক শাখা জামায়াতের সভাপতি মাজাহারুল ইসলাম, পদ্মবিলা বিএনপি একাংশের সাধারণ সম্পাদক মাহামুদুর রহমান কাজল, যুগ্মসম্পাদক গোলাম সারোয়ার হিমু, যুবদলের সভাপতি মানিক জোয়ার্দ্দার, যুবদলনেতা আরিফ, খোরশেদ প্রমুক। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন ওবাইদুর রহমান ওবাইদা। এ সময় চুয়াডাঙ্গা-ঝিনাইদহ সড়কের ডিঙ্গেদহ চৌরাস্তামোড়ে  ১ ঘণ্টা রাস্তার ওপর বসে পড়ে অবরোধ করে রাখে ১৮ দলের নেতা-কর্মীরা।

আন্দুলবাড়িয়া প্রতিনিধি জানয়েছেন, বাংলাদেশ রেলওয়ের আনছারবাড়িয়া-সাফদারপুর রেলপথের কর্চ্চাডাঙ্গা লাইনপাড়ার নির্জন বিলের মাঠে অর্ধেক রেললাইন কেটে ফেলা হয়েছে। গত রোববার রাতে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা নাশকতা সৃষ্টির উদ্দেশে রেললাইন জোড়ার দুটি নাটবল্টু খুলে প্রায় ৩ ফুট রেললাইন কাটার চেষ্টা চালায়। সকালে নিয়মিত রেললাইন চেকিংব্যাচের নজরে পড়লে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে লাল ব্যানার ও স্কট দিয়ে কাটা অংশের নিচে রেলস্লিপার দিয়ে খালাসিরা রেললাইনের মেরামত কাজ শুরু করেন। বিকেল ৪টা পর্যন্ত ঝুঁকি নিয়ে ধীর গতিতে ট্রেন চলাচল করলেও মেরামতের পর ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়। রেললাইনটি সর্ম্পূন কাটা হলে ব্যাপক প্রাণহানির আশঙ্কা প্রকাশ করলেন ঘটনাস্থলে উপস্থিত জনতা।

জীবননগর উপজেলার আন্দুলবাড়িয়া ইউনিয়নের কর্চ্চাডাঙ্গা লাইনপাড়া থেকে প্রায় ৫শ গজ অদূরে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা গেছে, বাংলাদেশ রেলওয়ের ১১০ মাইল পিলারের সামনে দুর্বৃত্তরা নাশকতা সৃষ্টির উদ্দেশে এ কর্মকাণ্ড করে। মোবারকগঞ্জ ঊর্ধ্বতন উপসহকারী প্রকৌশলী দেলোয়ার হোসেন জানান, রাত্রিকালীন পাহারাদার সোহরাব, খাইরুল, আব্দুল হাকিম ও জুবায়ের সকাল ৭টা পর্যন্ত রেলপথটি চেকিং করেন। বেলা সাড়ে ৮টার দিকে ২য় ব্যাচের সুকেশ চেকিং করাকালে রেললাইন কাটা নজরে পড়লে আমাকে খবর দেয়। তবে উপস্থিত জনতা দাবি করেছেন, সকাল এ ঘটনা ঘটেনি। রাতের কোনো এক সময় এ ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। তদন্তপূর্বক ঘটনার সাথে জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসী।

আলমডাঙ্গা ব্যুরো জানিয়েছে, গতকাল আলমডাঙ্গা উপজেলা ও পৌর বিএনপি আলমডাঙ্গার কালিদাসপুর-কুষ্টিয়া সড়ক অবরোধ করে। অবরোধে ১৮ দলীয় নেতাকর্মীরা যোগ দেন। পরে লালব্রিজের পাশে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সভাপতিত্ব করেন পৌর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ইসরাফ হোসেন। প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি সহিদুল কাউনাইন টিলু। প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, বর্তমান স্বৈরাচারী সরকারের অধীনে কোনো নিবার্চন সম্ভব নয়। বাকশালী কায়দায় এ সরকার এককভাবে প্রহশনের নিবার্চন করতে চায়। আপনারা কেউ এ নিবার্চনে ভোট দিতে যাবেন না। যেকোনো প্রকারে এ নিবার্চন বন্ধ করা হবে। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শেখ সাইফুল ইসলাম, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আজিজুর রহমান পিন্টু, আলমডাঙ্গা জামায়াতের আমির নুর মোহাম্মদ টিপু, উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক এমদাদুল হক ডাবু, উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, চেয়ারম্যান হাসানুজ্জামান হাসান, দারুস সালাম, বোরহান উদ্দিন, মহিনুল ইসলাম, শরিফুল ইসলাম প্রমুখ।

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি জানিয়েছেন, ঝিনাইদহে অবরোধের তৃতীয় দিনে সোমবার সকালে ঝিনাইদহ কুষ্টিয়া-মহাসড়কের স্টিফিননগরে জেলা যুবদলের নেতা-কর্মীরা টায়ার জ্বালিয়ে রাস্তায় বিক্ষোভ করেন। পরে অবরোধকারীরা শহরের তাছলিমা ক্লিনিকের সড়কের সামনে অবস্থান নিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কুষপুত্তলিকা দাহ করে। এরপর সকাল ৮টার দিকে জেলা শহরের ভাসানী সড়কে জাতীয়তাবাদী মহিলা দল মিছিল করে। এ সময় তারা সড়কের ওপর বসে পড়ে অবস্থান নেয় এবং সরকারবিরোধী স্লোগান দিতে থাকে। দূরপাল্লার সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিলো। এখন পর্যন্ত কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।

আমঝুপি প্রতিনিধি জানিয়েছেন, মেহেরপুর আমঝুপির রাজনগরে ১৮ দলের রাস্তা অবরোধকালে বিজিবি মোতায়েন করা হয়। জানা গেছে, ১৮ দলীয় জোটের ডাকা ৭২ ঘণ্টার অবরোধের তৃতীয় দিনে গতকাল সোমবার আমঝুপি-বারাদী সড়কে অবরোধকারীরা রাস্তায় আগুন ধরিয়ে এবং গাছের গুঁড়ি ফেলে রাস্তা অবরোধ করে রাখে। ভোর ৬টা থেকে দফায় দফায় জামায়াত-শিবির ও বিএনপি নেতা-কর্মীরা বিক্ষোভ করে। এআরবি কলেজ মোড় থেকে বারাদী পর্যন্ত সড়কে মহিলা জামায়াতের একটি দল রাস্তার ওপরে বসে সরকারবিরোধী স্লোগান দেয়। সকাল ৯টার দিকে রাজনগরে বিজিবি এলে অবরোধকারীদের সাথে ধাওয়া পাল্টাধাওয়া হয়। এ সময় এলাকার সাধারণ মানুষের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ায় ওই সড়ক দিয়ে সবধরনের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলে আবার হালকা যান চলাচল করে।

মেহেরপুর অফিস জানিয়েছে, মেহেরপুরের ৩টি স্থানে সড়ক অবরোধ করেছে ১৮ দলীয় জোটের নেতাকর্মীরা। গতকাল সোমবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে মেহেরপুর-চুয়াডাঙ্গা সড়কের রাজনগরে গাছের গুঁড়ি ফেলে বিক্ষোভ করেন জামায়াত-শিবির নেতাকর্মীরা। এ সময় জামায়াতের নারী সমর্থকরা পৃথক মিছিল করে সড়কে অবস্থান নেয়। সকাল সাড়ে ৮টার দিকে পুলিশ ও বিজিবি সদস্যরা অবরোধ তুলে দেন। বিজিবি ঘটনাস্থল ত্যাগ করলে সাড়ে ৯টার দিকে সড়কে গাছ কেটে ফেলে আবারো অবরোধ করে নেতাকর্মীরা। পরে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বিজিবি ও পুলিশ গাছের গুঁড়ি সরিয়ে দেয়। সকাল সাড়ে ৭টার দিকে মেহেরপুর-মুজিবনগর সড়কের বন্দর ও মেহেরপুর-কাথুলী সড়কের কায়েম কাটার মোড়ে গাছের গুঁড়ি ফেলে অবরোধ করেন ১৮ দলীয় জোটের নেতাকর্মীরা। তারা কায়েমকাটার মোড়ে ৭/৮টি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়।