অবরোধে অতিরিক্ত পরিবহন খরচের খড়গ ভোক্তার ঘাড়ে

স্টাফ রিপোর্টার: টানা হরতাল অবরোধে দেশের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যের দূরবস্থা যেমন চরমে উঠেছে, তেমনি দেশীয় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দামও বাড়ছে প্রতিদিন। ভোক্তাদের কষ্টার্জিত আয়ের অধিকাংশই চলে যাচ্ছে নিত্যব্যবহার্য পণ্য কিনতে। অনেকে এ সময়ে তাদের সঞ্চয় ভেঙে খাচ্ছেন। কিছু চালক ঝুকি নিয়ে ট্রাক চালালেও ভোক্তাদেরই গুনতে হচ্ছে অতিরিক্ত অর্থ।

গত ডিসেম্বর মাসে ভোগ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি দু অঙ্কের কাছাকাছি পৌঁছে ৯ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। উদ্বেগের বিষয় হচ্ছে, খাদ্য খাতে মূল্যস্ফীতির হার ক্রমাগত ঊর্ধ্বমুখি। নভেম্বর মাসে এ খাতে মূল্যস্ফীতি ছিলো সাড়ে ৮ শতাংশের কিছুটা বেশি। দাম বাড়ার তালিকায় শুধু চাল নয়, রয়েছে ডাল, মাছ, মাংস, ফল, মসলা, ভোজ্যতেল, দুধ ও অন্যান্য খাদ্যসামগ্রী। তামাকজাত দ্রব্যাদির মূল্যও বেড়ে চলেছে।

অর্থনীতিবিদ ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ মনে করেন, পরিবহন ব্যবস্থা নির্বিঘ্ন না হলে পণ্যের দাম কমবে না। তবে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার সুযোগ নিয়ে অনেক ব্যবসায়ী পণ্যের মজুদ থাকার পরও অতিরিক্ত পরিবহন খরচের অজুহাত দেখিয়ে দাম বাড়িয়ে দেন। খলীকুজ্জমান আহমদ বলেন, দেশের অভ্যন্তরে নিত্যপণ্যের যথেষ্ট মজুদ রয়েছে। সরকারকে নির্বিঘ্ন পরিবহন ব্যবস্থার দিকে জোর দিতে হবে।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর হিসাব অনুযায়ী, ডিসেম্বরে দেশের সার্বিক মূল্যস্ফীতি বেড়ে ৭ দশমিক ৩৫ শতাংশ হয়েছে। সব মিলিয়ে গত এক বছরে গড় মূল্যস্ফীতি হার দাঁড়িয়েছে ৭ দশমিক ৫৩ শতাংশ, যা আগের বছর ৬ দশমিক ২২ শতাংশ ছিলো। অথচ চলতি ২০১৩-১৪ অর্থবছরের বাজেটে গড় মূল্যস্ফীতি ৭ দশমিক ৫ শতাংশের মধ্যে রাখার পরিকল্পনা ছিলো।
ছবি-১। হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা বোমায় আহত পালু।

মেহেরপুর পিরোজপুরে বোমা বানাতে গিয়ে যুবক আহত!

মেহেরপুর অফিস: মেহেরপুর সদর উপজেলার পিরোজপুর গ্রামে বোমা বানাতে গিয়ে পালু (২৭) নামের এক যুবক মারাত্মক আহত হয়েছে। তাকে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার রাতে ওই ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা জানায়, পিরোজপুর গ্রামের শহর আলীর ছেলে পালু মঙ্গলবার রাতে বাড়ির পাশের একটি বাঁশবাগানে বোমা বানানোর সময় তা বিস্ফোরিত হয়। এতে তার ডান হাত ঝলসে যায়। তাকে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন পালু জানিয়েছেন, সে একজন চা ব্যবসায়ী। ওই রাতে সে মেহেরপুর-মহাজনপুর সড়কের নূরপুর মোড়ের চা’র দোকান থেকে বাড়ি ফেরার সময় সন্ত্রাসীরা তাকে লক্ষ্য করে একটি বোমা নিক্ষেপ করে। ওই সময় সে হাত দিয়ে ঠেকাতে গেলে তার ডান হাত ঝলসে যায়। এদিকে র‌্যাব-৬ গাংনী ক্যাম্প কমান্ডার ক্যাপ্টেন আশরাফ জানান, তার দিকে র‌্যাবের নজরদারি রয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে।