‘২০৯ রান’ হেরে গেল ‘৪৩ রানে’র কাছে!

 

মাথাভাঙ্গা মনিটর: লক্ষ্মণ সানদাকানকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে আউট হয়ে গেলেন ম্যালকম ওয়ালার। ষষ্ঠ উইকেট হারিয়ে বসলো জিম্বাবুয়ে কিন্তু তাতেও ডাগ আউটে বসা মুখগুলো থেকে হাসি মুছলো না। ১১ বলে মাত্র ৪ রান দরকার, এমন অবস্থায় হাসি আটকানো কঠিনই বটে। ওয়ালার যে এর আগেই মূল কাজটা সেরে দিয়েছেন। ওয়ালার ও আরভিনের ৪৩ রানের দুর্দান্ত এক জুটিতে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে দিয়েছে জিম্বাবুয়ে। বৃষ্টি আইনে ৪ উইকেটের এ জয়ে সিরিজে ২-২ সমতা এনে ফেলেছে সফরকারীরা। ওয়ালার যখন নেমেছেন উইকেটে, জয়ের জন্য ৪৭ রান দরকার ছিলো জিম্বাবুয়ের। ৩৪ বলে এ রান তোলাকেও কঠিন মনে হচ্ছিলো হঠাৎ। টানা দুই উইকেট হারিয়ে কিছুটা বিপাকে জিম্বাবুয়ে। উইকেটে ক্রেইগ আরভিন একাই লড়ছিলেন। ওয়ালার (১৩ বলে ২০) নামতেই দান পাল্টে গেল। ২৩ বলে ৪৩ রানের জুটিতে ম্যাচের রং পাল্টে গেল, ১০ বল বাকি রেখে জিতে গেল জিম্বাবুয়ে। জয় এনে দেওয়া চার এল আরভিনের ব্যাটেই (৬৯*)। অথচ দিনের শুরুটা ছিলো একদমই উল্টো—নিরোশান ডিকভেলা ও ধানুষ্কা গুনাতিলকা যখন বিশ্বরেকর্ড গড়লেন। আগের ম্যাচেই উদ্বোধনী জুটিতে ২২৯ রান তুলেছিলেন এ দুজন। গতকালও সে ধারায় রান তুললেন। ৩৫.২ ওভারে ২০৯ রান তোলার পর আউট হলেন গুনাতিলকা (৮৭)। ওয়ানডেতে এই প্রথম কোনো জুটি পর পর দুই ম্যাচে ডাবল সেঞ্চুরির জুটি গড়লো। ১১৬ রান করে ডিকভেলা আউট হয়েছেন এর ১৪ বল পরেই। দুর্দান্ত শুরুটা তাই কাজে লাগাতে পারেনি শ্রীলঙ্কা। ৫০ ওভারে ঠিক ৩০০ করেছে স্বাগতিক দল। এ সিরিজে দুই দলই দেখিয়েছে, ৩০০ রান তাড়া করা কতোটা সহজ এখন। জিম্বাবুয়ে শুরু থেকেই রান তাড়ার পথে ছুটেছে দুরন্ত গতিতে। ৯.৪ ওভারের উদ্বোধনী জুটি এনে দিয়েছে ৬৭ রান। মাসাকাদজা (২৮), সলোমন মায়ার (৪৩), তারিসাল মুসাকান্দা (৩০) ও আরভিনের ব্যাটে ২১ ওভারে তিন উইকেট হারিয়ে ১৩৯ রান তুলে ফেলে জিম্বাবুয়ে। বৃষ্টি নামায় পরে নতুন লক্ষ্য পায় জিম্বাবুয়ে, ৩১ ওভারে জিততে হলে করতে হবে ২১৯ রান। সহজ হিসেবে ৬০ বলে ৮০ রান। কিন্তু দ্রুত দুই উইকেট হারিয়ে সেটাই কঠিন বানিয়ে দিচ্ছিলো জিম্বাবুয়ে। ওয়ালার ও আরভিনই সেটা সহজ করে দিলেন। এ হারে ওয়ানডে র‌্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের চেয়ে আরও পিছিয়ে গেল শ্রীলঙ্কা। সাতে থাকা বাংলাদেশের (৯৪) চেয়ে ৪ পয়েন্ট পিছিয়ে গেছে লঙ্কানরা। ১২তে থাকা জিম্বাবুয়েও একই ব্যবধানে পিছিয়ে আছে ১১-তে থাকা আফগানিস্তানের চেয়ে।