সুয়ারেজের পাশে ম্যারাডোনা

 

মাথাভঙ্গা মনিটর: নিষিদ্ধ মাদক-সেবনের দায়ে ১৯৯৪ বিশ্বকাপ থেকে বহিষ্কৃত হয়েছিলেন ডিয়েগোম্যারাডোনা। সেবার গ্রিস আর নাইজেরিয়ার বিপক্ষে প্রথম দু ম্যাচে দারুণখেলেছিলেন আর্জেন্টাইন অধিনায়ক। আর্জেন্টিনার স্বপ্ন যখন তার কাঁধে সওয়ার, ঠিক তখনই ডোপ-পরীক্ষায় ধরা পড়ে নিষিদ্ধ হলেন তিনি। নিষেধাজ্ঞার যন্ত্রণাটাতাই তার চেয়ে আর ভালো কে বোঝে?লুইস সুয়ারেজের প্রতি তাই অগাধ সমবেদনাতার। ইতালির ডিফেন্ডার জর্জো কিয়েলিনির কাঁধে কামড় দেয়ার অপরাধেসুয়ারেজের ওপর আরোপ করা নিষেধাজ্ঞাকে ‘ষড়যন্ত্র’ হিসেবেই দেখছেনম্যারাডোনা।গত মঙ্গলবারের কামড়-কাণ্ডে গতকাল সুয়ারেজকে নয় ম্যাচেরজন্য নিষিদ্ধ করে ফিফা। সেই সাথে আছে যেকোনো ধরনের ফুটবল থেকে চার মাসেরনিষেধাজ্ঞা। এ সময়ে উরুগুয়ের কোনো ম্যাচে স্টেডিয়ামেও থাকতে পারবেন নাতিনি। একই সাথে তাকে জরিমানা করা হয়েছে এক লাখ সুইস ফ্রাঙ্ক। ফিফারইতিহাসে বিশ্বকাপের সময় কোনো খেলোয়াড়কে দেয়া সর্বোচ্চ শাস্তি এটি।প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়কে কামড় দিয়ে দু দফা নিষিদ্ধ হওয়া সুয়ারেজ এবার যে বড়শাস্তি পাবেন, এটা অনুমিতই ছিলো। তবে শাস্তিটা মানতে পারছেন না ম্যারাডোনা।‘লুইস,আমরা তোমার সাথে আছি’ এমন লেখাসংবলিত টি-শার্ট গায়ে দিয়ে একটিটেলিভিশন অনুষ্ঠানে হাজির হয়েছিলেন ম্যারাডোনা। ওই অনুষ্ঠানেই সুয়ারেজেরনিষেধাজ্ঞা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন আর্জেন্টিনার ১৯৮৬ বিশ্বকাপের নায়ক, ‘এটাবাজে একটা সিদ্ধান্ত। আমি ঠিক বুঝতে পারছি না। সুয়ারেজ কার ক্ষতি করেছে?কেন ওরা (ফিফা) তাকে হ্যান্ডকাফ পরিয়ে গুয়ান্তানামো বে কারাগারে পাঠাল না?ম্যারাডোনারভাষ্য, ‘বিশ্বকাপে খেলার জন্য একজন খেলোয়াড় বছরজুড়ে প্রস্তুতি নেয়। লুইস২৯টি গোল করেছে। আর ওরা তাকে এভাবে বিশ্বকাপ থেকে বের করে দিলো! এটাঅবিশ্বাস্য। ২০০৬ বিশ্বকাপে জিনেদিন জিদান কী করেছিলো,মনে আছে?অথচ সেইজিদানকেই গোল্ডেন বল দিয়েছিলো ফিফা।’ একই অনুষ্ঠানে উরুগুয়েডিফেন্ডার ডিয়েগো লুগানো দাবি করেন,শাস্তিটা বেশি হয়ে গেছে। সুয়ারেজেরসাথে‘ভয়ঙ্কর অপরাধী’র মতো আচরণ করা হয়েছে বলেও অভিযোগ তার, ‘ওরাসুয়ারেজের সাথে ভয়ঙ্কর অপরাধীর মতো আচরণ করেছে। সে কিছুই করেনি। সে খুবভালো একজন ছেলে। ওর ওপর দেয়া নিষেধাজ্ঞাটা বাড়াবাড়ি হয়েছে। এমন একটা সময়সুয়ারেজকে নিষিদ্ধ করা হলো,যখন সে ক্যারিয়ারের সেরা সময়ে আছে।