সুযোগ পেলে এবার আর হাতছাড়া করবো না : মুশফিক

 

স্টাফ রিপোর্টার: চট্টগ্রাম টেস্টে জয়ের সুযোগ হাতের নাগালে পেয়েও, তা হাতছাড়া করে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। আজ শুক্রবার থেকে শুরু হওয়া ঢাকা টেস্টে জয়ের সুযোগ পেলে, এবার আর হাতছাড় করবেন না বলে হুঙ্কার দিলেন বাংলাদেশের অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম।  সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টের আগে আজ সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন মুশফিক, ‘আমাদের মূল লক্ষ্য দল হিসেবে ঢাকা টেস্টেও ভালো খেলা। দল হিসেবে ধারাবাহিকভাবে ভালো খেলতে চাই। তারপরও যদি জয়ের সুযোগ পাই তবে অবশ্যই এবার হাতছাড়া করবো না।’ চট্টগ্রাম টেস্টে জয়ের টার্গেট ২৮৬ রান পেয়েছিলো বাংলাদেশ। সেই লক্ষ্যে ১৪০ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে বেকায়দায় পড়ে যায় টাইগাররা।

কিন্তু ষষ্ঠ উইকেটে অধিনায়ক মুশফিক ও সাত নম্বরে নামা অভিষেক খেলোয়াড় সাব্বির রহমানের ৮৭ রানের জুটিতে জয়ের পথ পেয়ে যায় বাংলাদেশ। কিন্তু চতুর্থ দিনের বিকেলে হঠাৎ-ই ৩ উইকেট ও পঞ্চম দিনের সকালে অদ্ভুত ডিআরএস-এর ফাঁদে পড়ে শেষ ২ উইকেট হারিয়ে ২২ রানে ম্যাচ হারের স্বাদ নেয় বাংলাদেশ। তাই জয়ের সুযোগটা হাতছাড়াই হয় টাইগারদের। তবে ঢাকা টেস্টে জয়ের সুযোগ পেলে এবার আর হাতছাড়া করবেন না বলে হুঙ্কার দিয়ে দিলেন মুশফিকুর। তিনি বলেন, ‘আমাদের মূল লক্ষ্য দল হিসেবে ঢাকা টেস্টেও ভালো খেলা। দল হিসেবে ধারাবাহিকভাবে ভালো খেলতে চাই। এবারও জয়ের সুযোগ সৃষ্টি করার চেষ্টা করবো আমরা। তারপরও যদি জয়ের সুযোগ পাই তবে অবশ্যই এবার হাতছাড়া করবো না।’

চট্টগ্রামের স্মৃতি এখনো মুশফিকের মনে টাটকা । কারণ চট্টগ্রাম টেস্টের পারফরমেন্সে বিশ্ব মঞ্চ থেকে বাহবা কুড়িয়েছে তার দল। তাই চট্টগ্রাম টেস্টের ইতিবাচক দিকগুলো দিয়ে দ্বিতীয় ম্যাচে ভালো খেলার কথাই জানালেন মুশি, ‘চট্টগ্রামে এভাবে হারাটা আক্ষেপের। সেই জেদ সবার মনেই আছে। যদি আমরা আরও একটু ভালো খেলতে পারতাম তবে ম্যাচের ফল অন্যরকম হতে পারতো। কিন্তু আমরা পারিনি। আশা করছি ঢাকা টেস্টে ভালো পারফরমেন্স করতে পারবো।’

ঢাকা টেস্টের উইকেটও স্পিন সহায়ক হচ্ছে। তাই চট্টগ্রামের মত এই উইকেট থেকেও স্পিনাররা সুবিধা নিবে বলে প্রত্যাশা করেন মুশফিকুর। পাশাপাশি ব্যাটসম্যানরা ভালো ইনিংস খেলবে এমন আশা মুশির, ‘মিরপুরের উইকেট ভিন্ন হবে। কারণ এখানকার মাটি ভিন্ন। তবে নিজেদের মাটিতে খেলার সুবিধা যেন আমাদের স্পিনাররা নিতে পারে এমনটাই আশা করছি। পাশাপাশি ব্যাটসম্যানরাও দায়িত্ব নিয়ে খেলতে পারলে ইতিবাচক ফলাফল আসবে।’