শেষ সময়ে বদলি খেলোয়াড়ের গোলে জিতলোবেলজিয়াম

 

মাথাভাঙ্গা মনিটর: তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ খেলায় শেষপর্যন্ত ১-০ গোলে রাশিয়াকে হরালোবেলজিয়াম। এ জয়ের মধ্য দিয়ে এবারের বিশ্বকাপের ডার্ক হর্সবেলজিয়াম পরপরদু খেলায় জিতে ৬ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় রাউন্ড নিশ্চত করলো। খেলার ঠিক শেষমহূর্তে ৮৮ মিনিটে ডিভোক ওরিগি গোল করে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেয় দলকে।ইডেন হ্যাজার্ডের নান্দনিক পাসে দুর্দান্ত গোলটি করেন ওরিগি। এটি তারপ্রথম আন্তর্জাতিক গোল। রাশিয়া হেরে গিয়ে দু খেলায় তাদের পয়েন্ট ১। এরপররাশিয়া খেলবে আলজেরিয়ার সাথে। দলটির হারের ফলে দ্বিতীয় রাউন্ডে ওঠা অনেকটাকঠিন হয়ে গেল।
রাশিয়ার বিপক্ষে ১-০ গোলের এ জয়ে ‘এইচ’ গ্রুপের প্রথম দল হিসেবেশেষ ষোল নিশ্চিত হয়েছে দলটির।রিও দে জেনেইরোর মারাকানায় ৮৮তমমিনিটে জয়সূচক গোলটি করেন দিভোক ওরিগি। গতকাল রোববার রিও দে জেনেইরোতে খুব বেশিসুযোগ তৈরি করতে পারেনি কোনো দলই। রক্ষণভাগের দৃঢ়তায় দু গোলরক্ষককেও তেমন কোনোপরীক্ষা দিতে হয়নি।এ জয়ে দু ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষেই থাকলো বেলজিয়াম। সমানখেলায় রাশিয়ার পয়েন্ট ১।আলজেরিয়ার বিপক্ষে ২-১ ব্যবধানে জেতা ম্যাচেও শেষসময়ে দু বদলি খেলোয়াড়ের লক্ষ্যভেদে জিতেছিলো মার্ক উইলমটসের দলটি।মারকানায়১২তম মিনিটে প্রথম সুযোগটি পেয়েছিলো রাশিয়া। ডি বক্সের ঠিক বাইরে থেকে ভিক্তরফাইজুলিনের শট ঠেকিয়ে দলকে রক্ষা করেন বেলজিয়ামের গোলরক্ষক থিবোকোর্তোয়া।২০তম মিনিটে প্রথম সত্যিকারের সুযোগটি পেয়েছিলো বেলজিয়াম। ড্রিসমের্টেনস তীব্র গতিতে ডি বক্সের ঠিক কাছাকাছি এসে জোরালো শট নিয়েছিলেন। কিন্তুলক্ষ্যে রাখতে না পারায় সুযোগটি নষ্ট হয়।দু মিনিট পর আবার সুযোগ আসেমের্টেনসের সামনে। কিন্তু নাপোলি উইঙ্গার আবারো লক্ষ্যে রাখতে ব্যর্থহন।৪৪তম মিনিটে ম্যাচের দারুণ একটা সুযোগ পেয়েছিলেন আলেক্সান্দার কোকোরিন।বাঁদিক থেকে দেনিস গ্লুসাকভের ক্রসে এ স্ট্রাইকারের হেড লক্ষ্যেথাকেনি।রক্ষণ ভাঙতে না পারায় দ্বিতীয়ার্ধে দূর পাল্লার শটে গোলমুখ খোলারচেষ্টা করেছিলো রাশিয়া। সেই চেষ্টাগুলো সামলাতে মোটেও বেগ পেতে হয়নিকোর্তোয়াকে।৮৪তম মিনিটে এগিয়ে যাওয়ার দারুণ সুযোগ পেয়েছিলো বেলজিয়াম। কেভিনমিরালেসের ফ্রিকক বারে লেগে ফিরলে বেঁচে যায় রাশিয়া।৮৭তম মিনিটে আর পারেনিরাশিয়া।এডিন হ্যাজার্ডের পাস থেকে জোরালো শটে ইগর আকিনফিভকে পরাস্ত করেন ওরিগি।লিলের এ খেলোয়াড়ের এটাই প্রথম আন্তর্জাতিক গোল।প্রতি আক্রমণ থেকে পাওয়ার তারএ গোলেই ২০০২ সালের পর প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের চূড়ান্ত পর্বে খেলতে এসে দ্বিতীয়রাউন্ডে পৌঁছাল বেলজিয়াম।