শেষ দেখছে না অস্ট্রেলিয়া

 

মাথাভাঙ্গা মনিটর: ‘আমাদের এবার ইংল্যান্ডকে হারাতেই হবে’ ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে সাফ বলে দিলেন স্টিভেন স্মিথ। এর সাথে ঝরে পড়লো রাজ্যের হতাশা আর ক্ষোভ। হতাশা, কারণ চলমান আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে অস্ট্রেলিয়ার টানা দ্বিতীয় ম্যাচ ভেসে গেল বৃষ্টিতে। ক্ষোভ কারণ, দ্বিতীয় ম্যাচে জয়ের অবস্থানে ছিল অস্ট্রেলিয়া, কিন্তু প্রতিটিতেই এক পয়েন্ট করে পেয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হচ্ছে। শেষ ম্যাচে এবার শুধু স্বাগতিক ইংল্যান্ডকে হারালেই চলবে না, সেমিফাইনালে যেতে ভাগ্যও সহায় হতে হবে স্টিভেন স্মিথের দলের। যদিও, স্মিথ সমীকরণটাকে সহজই মানছেন। বললেন, ‘বৃষ্টির কারণে ম্যাচে ফলাফল না আসায় অবশ্যই আমরা হতাশ। কিন্তু, আবহাওয়ায় তো আর আমাদের হাত নেই। সমীকরণটা এখন আমাদের জন্য সহজ। আগামী ম্যাচে হারাতে হবে ইংল্যান্ডকে।’

ম্যাচটা অস্ট্রেলিয়ার জন্য স্বপ্নের মতোই ছিলো। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে আগের ম্যাচেই ৩০৫ রান করা বাংলাদেশকে সোমবার অস্ট্রেলিয়ানরা মাত্র ৪৪.৩ ওভারে ১৮২ রানের মধ্যেই আটকে ফেলেছিলো। এরপর ব্যাটিংয়ের শুরুটাও ছিল জুতসই। তবে, ১৬ ওভারে এক উইকেটে ৮৩ রান করার পরই নামে বৃষ্টি। আর সেই বৃষ্টির তোপ এতোটাই ছিলো যে, আর বল মাঠে গড়ানোরই সুযোগ আসেনি। বাধ্য হয়ে ম্যাচ পরিত্যক্ত ঘোষণা করে দেন ম্যাচ রেফারি ক্রিস ব্রড। আর মাত্র চার ওভার খেলা হলেই ডাকওয়ার্থ-লুইস মেথডে ফলাফল নির্ধারণের সুযোগ ছিলো।

স্মিথ বৃষ্টির সাথে সাথে গ্রাউন্ডসম্যানদের কাজেও গাফিলতি দেখছেন। তিনি বলেন, ‘এটা খুবই হতাশাজনক। এতো বড় একটা টুর্নামেন্ট। চাইলে গ্রাউন্ডসম্যানদের আরেকটু ক্ষিপ্রতা দেখানোর সুযোগ ছিলো। হয়তো, তারা নিজেদের সর্বোচ্চ চেষ্টাটাই করেছেন। আম্পায়াররা জানিয়েছিলেন সাড়ে আটটায় (স্থানীয় সময়) খেলা শুরু হবে। কিন্তু, আদৌ সেটা হয়নি।’ এমনকি বৃষ্টি নামার সময়ও ব্যাটিং চালিয়ে যেতে আপত্তি ছিলো না স্মিথের। বললেন, ‘অবশ্যই আমি ওই সময় মাঠ থেকে বের হতে চাইনি। বৃষ্টির মধ্যেও আমাদের ব্যাটিং চালিয়ে যেতে সমস্যা হচ্ছিলো না। কিন্তু, সিদ্ধান্ত যা নেয়ার আম্পায়াররাই নিয়ে ফেলেছিলেন। এরপর তারা ড্রিংকস কল করেন। সেটাও কাজে লাগেনি। ওই সময়টাতে খেলা চালিয়ে যাওয়া যেতো হয়তো। এরপর ড্রিংকস শেষ হলে বৃষ্টি আরও বেড়ে যায়। তখন আক্ষরিক অর্থেই মাঠের বাইরে চলে যাওয়া ছাড়া কোনো উপায় ছিলো না।’

যাই হোক, অস্ট্রেলিয়ানদের নজর এবার ইংল্যান্ডের দিকে। আগামী শনিবার বার্মিংহ্যামের এজবাস্টনে মুখোমুখি হবে শক্তিশালী এই দুই দল। সেই ম্যাচটা নিঃসন্দেহে অস্ট্রেলিয়ানদের জন্য মহাগুরুত্বপূর্ণ এক ম্যাচ।