শেষের শুরু হয়ে গেলো টেন্ডুলকারের

মাথাভাঙ্গা মনিটর: দীর্ঘ ২৪ বছর ধরে ক্রিকেট বিশ্ব গুনেছে শচীন টেন্ডুলকারের রান আর শতকের সংখ্যা। লিটল মাস্টারের গড়া রেকর্ডগুলোর হিসাব রাখতে গিয়ে হয়তো হিমশিমই খেতে হয়েছে পরিসংখ্যানবিদদের। ক্রিকেট বিশ্বের সেই গণনা এখনো থামেনি। তবে এবার গোনা হচ্ছে টেন্ডুলকারের শেষ সময়ের ক্ষণগুলো। আগামী মাসে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দুটি টেস্ট খেলেই ব্যাট-বলের লড়াই থেকে চিরতরে বিদায় নেবেন সর্বকালের অন্যতম সেরা এ ব্যাটসম্যান। বর্ণিল ক্যারিয়ারের পুরো সময়ের মতো টেন্ডুলকারের এ শেষ দিনগুলোর দিকেও আগ্রহী দৃষ্টি নিয়ে তাকিয়ে আছে ক্রিকেটপ্রেমীরা।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ক্যারিয়ারের শেষ দুটি টেস্টে মাঠে নামার প্রস্তুতি হিসেবে টেন্ডুলকার এখন মুম্বাইয়ের হয়ে খেলছেন রঞ্জি ট্রফিতে। গতকাল হরিয়ানার বিপক্ষে অবশ্য সফল হতে পারেননি টেন্ডুলকার। সাতটি বল খেলে মাত্র ৫ রান করেই ফিরে গেছেন সাজঘরে। তবে ২৪ বছরের ক্রিকেট ক্যারিয়ারে যা অর্জন করেছেন, সেটা শেষ মুহূর্তের এ ব্যর্থতায় কোনোভাবেই ম্লান হয়ে যাবে না। হরিয়ানার বানসি লাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শচীন-ভক্তদের উপচে পড়া ভিড়টা তেমনটাই সাক্ষ্য দেয়। বিস্ময়কর এ ক্রিকেট ব্যক্তিত্বকে একনজর দেখার জন্য অগণিত মানুষ ভিড় করেছিলো স্টেডিয়ামে। সেখানকার ছোট্ট একটি গ্রামের পরিস্থিতি ছিলো বিয়ের উত্সবের মতো।

রঞ্জি ট্রফির ম্যাচে গতকাল মাঠে নামলেও টেন্ডুলকার হরিয়ানায় পৌঁছেছিলেন গত শনিবার। তারপর অনুশীলন করার সময়ই তাকে একনজর দেখার জন্য মাঠে ভিড় জমিয়েছিলো অনেক মানুষ। মাত্র আট হাজার দর্শক ধারণক্ষমতাসম্পন্ন ছোট্ট স্টেডিয়ামটিতে এত মানুষ কখনোই দেখা যায়নি বলে জানিয়েছেন হরিয়ানা ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের এক কর্মকর্তা, এর আগে কোনো ম্যাচেই এতো দর্শক দেখা যায়নি। মনে হচ্ছে, এখানে সবাই টেন্ডুলকারের ব্যাটিং দেখতে চায়। রঞ্জি ট্রফির আগের ম্যাচগুলোতেও স্টেডিয়ামের বেশির ভাগ অংশ ফাঁকাই থাকতো। কিন্তু এবারের পরিস্থিতিটা একেবারেই ভিন্ন। টিকিট না পেয়ে অনেকেই খুব হতাশ। স্টেডিয়ামে ঢোকার সুযোগ না পেলে প্রতিবাদ-বিক্ষোভও করা হবে বলে হুমকি দিয়েছেন স্থানীয় গ্রামগুলোর বাসিন্দারা। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেন্ডুলকার ক্যারিয়ারের শেষ দুটি টেস্ট খেলবেন কোলকাতা ও নিজ শহর মুম্বাইয়ের মাঠে।