শূন্য রানে অলআউট পুরো দল!

মাথাভাঙ্গা মনিটর: ক্রিকেট দল, নাকি হাঁসের খামার! এক-দুজন ব্যাটসম্যান নয়। তিন-চারজনও নয়। একে একে দলের সবাই আউট হলেন শূন্য রানে। এক ইনিংসে ৬ জনের ‘ডাক’, হাঁসের খামার নয়তো কী! একের পর এক ব্যাটসম্যান আসছেন আর ফিরে যাচ্ছেন। শেষ পর্যন্ত ২০ বলের মধ্যে দল যখন অলআউট হলো, স্কোরবোর্ডে তখনো কোনো রান নেই। ইংল্যান্ডের কাউন্টির একটি সিক্স-এ-সাইড ইনডোর ম্যাচে হয়েছে এ অবিশ্বাস্য ঘটনা। ক্যান্টারবুরির ক্রাইস্ট চার্চ ইউনিভার্সিটির সাথে খেলছিলো ব্যাপটিস্ট ক্রিকেট ক্লাব। ব্যাপটিস্টের একজন ব্যাটসম্যানও রানের খাতা খুলতে পারেননি, সেটা তো তাদের ব্যর্থতা। কী করছিলেন ‘মিস্টার এক্সট্রা’? অতিরিক্ত কোনো রানও যে আসেনি! ক্রাইস্ট চার্চের মাইক রোজের ঘোর যেন এখনো কাটেনি, ‘আমার এখনো ব্যাপারটা বিশ্বাস হচ্ছে না। ওদের শুধু একটা রান দরকার ছিলো, একটা মাত্র রান। খেলাটা হচ্ছে ইনডোরে, বল কোনো একটা দেয়ালে লাগাতেই তো রান পাওয়া যায়।’ জয়ী দলের হয়ে ৩টি করে উইকেট পেয়েছেন ফ্রেজার ম্যাকউইনি ও ফিলিপ সিমেন্স। এর মাঝে ম্যাকউইনি তো হ্যাটট্রিকই করেছেন দুই ওভার মিলিয়ে। ক্রিকেটে শূন্য রানে অলআউট হওয়ার ঘটনা এটাই প্রথম নয়। ১৯১৩ সালে সমারসেটের ক্লাব ল্যাঙপোর্ট অলআউট হয়েছিলো শূন্য রানে। ১৯৬৪ সালে কেন্টের ভিলেজ লিগের একটা এই ‘কীর্তিটাই’ আবার করে দেখিয়েছিল মার্টিন ওয়াল্টার্স। আর দু বছর আগে চেশায়ারের দ্বিতীয় লিগের একটা ম্যাচে উইরাল সিসি অলআউট হয়ে গিয়েছিল তিন রানে।
তবে এসবের কোনোটিই প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে নয়। সেটি খুঁজতে গেলে প্রায় দু শ বছর আগে ফিরে যেতে হবে। ১৮১০ সালে অলইংল্যান্ড ক্লাবের সাথে ‘দ্য বি’ অলআউট হয়ে গিয়েছিল ৬ রানে। আর টেস্ট ক্রিকেটে সবচেয়ে কম রানে অলআউট হওয়ার লজ্জা এখনো নিউজিল্যান্ডের। ১৯৫৫ সালে ২৬ রানে অলআউটের ওই রেকর্ড এখনো স্বমহিমায় টিকে আছে।