মাথাভাঙ্গা মনিটর: ২২৩ রানে পিছিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ১৯ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলা পাকিস্তানকে স্বস্তি এনে দিয়েছেন ইউনুস খান ও মিসবাহ-উল-হক। দু অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যানের অপরাজিত অর্ধশতকের সুবাদে দ্বিতীয় টেস্টের তৃতীয় দিন শেষে স্বাগতিক দলের স্কোর ১৩২/৩। শ্রীলঙ্কাকে আবার ব্যাট করাতে আরো ৯১ রান প্রয়োজন পাকিস্তানের। শুক্রবার দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ৪ উইকেটে ৩১৮ রান নিয়ে ব্যাট করতে নামা শ্রীলঙ্কানদের দিনের দ্বিতীয় ওভারেই ধাক্কা দেন রাহাত আলী। অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউসকে কট বিহাইন্ড করে শুরুতেই দলকে সাফল্য এনে দেন এই বাঁহাতি পেসার। ৪২ রান নিয়ে শুরু করা শ্রীলঙ্কা অধিনায়ক তৃতীয় দিনে কোনো রান করতে পারেননি। আগের দিন শেষে ১০৬ রানে অপরাজিত মাহেলা জয়াবর্ধনে অবশ্য তাতে দমে না গিয়ে দলকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন। কিন্তু ব্যক্তিগত ১২৯ রানে দাঁড়িয়ে সাঈদ আজমলকে রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে বোল্ড হয়ে যান তিনি। ২৭৮ বলে ১৫টি চারে গড়ে তোলা দুর্দান্ত ইনিংসটি খেলার পথে অস্ট্রেলিয়ার স্টিভ ওয়াহকে (১০,৯২৭) পেছনে ফেলে টেস্টে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের তালিকায় অষ্টম স্থানে উঠে এসেছেন জয়াবর্ধনে। শ্রীলঙ্কার সবচেয়ে অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যানের এখন ১০,৯৪০ রান। ১৫,৯২১ রান নিয়ে এই তালিকার শীর্ষে আছেন ভারতের ব্যাটিং-কিংবদন্তি শচীন টেন্ডুলকার। শ্রীলঙ্কার প্রথম ইনিংস ৩৮৮ রানে শেষ করে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই বিপদে পড়ে যায় পাকিস্তান। প্রথম ইনিংসে ৩ উইকেট নেয়া পেসার নুয়ান প্রদীপ ফিরিয়ে দেন উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান খুররাম মনজুর ও তিন নম্বরে নামা মোহাম্মদ হাফিজকে। অন্য উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান আহমেদ শেহজাদ বাঁহাতি স্পিনার রঙ্গনা হেরাথের শিকার। তবে গত সপ্তাহে আবুধাবিতে অমীমাংসিত প্রথম টেস্টে শতক করা ইউনুস ও মিসবাহর প্রতিরোধ ভাঙ্গা সম্ভব হয়নি অতিথি বোলারদের পক্ষে। অবিচ্ছিন্ন চতুর্থ উইকেটে ১১৩ রানের জুটি গড়েছেন দুজনে। দিন শেষে ইউনুস ৬২ ও মিসবাহ ৫৩ রানে অপরাজিত।