রিয়ালের বিপক্ষে ‘অগ্নিপরীক্ষায়’ অ্যাটলেটিকোর কোচ সিমিওনে

মাথাভাঙ্গা মনিটর: চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালের ফিরতি লেগে নগর প্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে ‘অগ্নি পরীক্ষায়’ নামতে যাচ্ছেন অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের কোচ দিয়েগো সিমিওনে। ইতোমধ্যে প্রথম লেগে রিয়ালের কাছে ৩-০ গোলে হেরে টুর্নামেন্ট থেকে অনেকটাই ছিটকে পড়েছে তার শিষ্যরা।

আগামীকাল বুধবার নিজেদের মাঠ ভিসেন্তে কালডেরোনে তাই ‘মিশন ইম্পসিবলে’ নামতে হবে এরই মধ্যে মানসিক বিপর্যয়ে থাকা এ আর্জেন্টাইন কোচের। ওই মিশনে জয়ী হতে না পারলে টানা চতুর্থবারের মত চ্যাম্পিয়ন্স লিগে শিরোপার দ্বারপ্রান্তের ব্যর্থতায় পুড়তে হবে তাকে এবং পুরো দলকে।

অ্যটলেটিকোর দায়িত্ব নেয়ার পর সিমিওনে দারুণ ছয়টি বছর কাটিয়েছেন। কিন্তু চ্যাম্পিয়ন্স লীগের এই দুঃস্বপ্নটি তাকে বার বার তাড়িয়ে বেড়াবে। দায়িত্ব গ্রহণের পর ১৮ বছরের ইতিহাসে প্রথম অ্যাটলেটিকোকে লীগ শিরোপা পাইয়ে দিয়েছেন সিমিওনে। অবসান ঘটিয়েছেন রিয়ালের বিপক্ষে দীর্ঘ ১৪ বছর জয় না পাওয়ার ধারাবাহিকতার। সেই সঙ্গে ক্লাবটিকে পৌঁছে দিয়েছেন ইউরোপের শীর্ষ ক্লাবগুলোর কাতারে। এতো কিছুর পরও তার আক্ষেপের বিষয়টি থেকেই যাচ্ছে। টানা তিনটি মরসুমে তিনি ইউরো টুর্নামেন্টের শিরোপা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন একেবারে গোঁড়ায় এসে।

২০১৪ সালে অনুষ্ঠিত ইউরো টুর্নামেন্টের ফাইনালে ইনজুরি টাইমে এসে (৯৩তম মিনিট) সমতায় ফিরেছিলো রিয়াল মাদ্রিদ। ফলে অর্জন করা হয়নি দীর্ঘ ১০ বছর ধরে অপেক্ষায় থাকা ইউরোপীয় কাপের শিরোপা। ২০১৫ সালের কোয়ার্টার ফাইনালে বিলম্বিত গোল হজমের কারণে ছিটকে পড়তে হয়েছিল সিমিওনের শিষ্যদের। সর্বশেষ গত বছর অনুষ্ঠিত ফাইনালে ট্রাইব্রেকারে ৫-৩ গোলে রিয়ালের কাছে হার মানে অ্যাটলেটিকো। নির্ধারিত সময়ের ম্যাচটি ১-১ গোলে ড্র ছিলো।

এবারের আসরেও শেষ চারে জায়গা করে নেয়া অ্যাটলেটিকো পাস কাটাতে পারেনি রিয়াল মাদ্রিদকে। গত সপ্তায় অনুষ্ঠিত সেমিফাইনালের প্রথম লেগে বেশ বড় ব্যবধানেই হার মেনেছে। যে কারণে ফিরতি লেগে সেখান থেকে দলকে উদ্ধার করাটাই দায় হয়ে পড়েছে সিমিওনের জন্য।

এমন পরিস্থিতিতে অ্যাটলেটিকো এখন কিভাবে রিয়ালকে সামাল দেয় সেটিই দেখার বিষয়। যদিও এখনো পর্যন্ত হতাশার বাণী ছাড়া অ্যাটলেটিকোর জন্য কোনো সুখবর দেয়ার মতো ফুটবল পর্যালোচকের হদিস মেলেনি। তারপরও নিজেদের মাঠে গৌরবময় অনিশ্চয়তার ওই ম্যাচে মাঠের লড়াইটিই এখন শেষ ভরসা সিমিওনের শিষ্যদের জন্য। যেখানে অবিশ্বাস্য কিছু একটা করার অপেক্ষায় প্রহর গুনছে অ্যটলেটিকোর কোচ, খেলোয়াড়, কর্মকর্তাসহ ক্লাবের অগণিত সমর্থকরা।