মেসির জোড়া গোলে মিলানকে হারালো বার্সা

মাথাভাঙ্গা মনিটর: জোড়া গোল করে গোলখরা কাটালেন টানা চারবারের বিশ্বসেরা ফুটবলার লিওনেল মেসি। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ম্যাচে এসি মিলানের বিপক্ষে ৩-১ গোলের জয়ে নকআউট পর্বে উঠেছে বার্সেলোনাও। গত বুধবার রাতে নিজেদের মাঠ ক্যাম্প নউতে প্রথমার্ধে প্রায় এক তরফা খেলেছে বার্সেলোনা। মিলান গোলমুখে একের পর এক আক্রমণ চালালেও গোল পাচ্ছিলেন না মেসি, নেইমার ও সানচেস। উয়েফা চ্যাস্পিয়ন্স লিগে পেনাল্টি থেকে এসি মিলানের জালে লিওনেল মেসির গোল।

বিশেষ করে দ্রুতগতির নেইমারকে থামাতে বার বার ফাউলের আশ্রয় নিতে হচ্ছিলো মিলান ডিফেন্ডার ইনাৎসিও আবাতেকে। ম্যাচের ৩০ মিনিটে নেইমারকে পেনাল্টি এলাকায় ফেলে দিয়ে হলুদ কার্ড দেখেন তিনি; আর এ জন্য দেয়া পেনাল্টি থেকে গোল করে খরা কাটান লিওনেল মেসি। এর আগে লা লিগার টানা চারটি ম্যাচে ৯০ মিনিট করে খেলেও গোল পাননি চারবারের বিশ্বসেরা ফুটবলার। দশ মিনিট বাদেই মিলান ডিভেন্ডারদের ভুলে ব্যবধান দ্বিগুন করে ফেলে বার্সেলোনা। চাভি হার্নান্দেসের একটি ক্রসে মাথা লাগিয়ে গোল করেন ফাঁকায় দাড়ানো স্যার্হিও বুসকেতস। প্রথমার্ধের শেষ মিনিটে জেরার্ড পিকের আত্মঘাতী গোলে ব্যবধান কমে। গোলের কৃতিত্বটা অবশ্য ব্রাজিল মিডফিল্ডার কাকার। বাঁদিক থেকে দৌড়ে গিয়ে গোললাইন থেকে তার নিচু ক্রস পিকের পায়ে দিক পাল্টে জালে ঢুকে যায়। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে কোচ মাস্সিমিলিয়ানো আল্লেগ্রি রবিনিয়োর বদলে মারিও বালোতেল্লিকে মাঠে নামালে মিলানের আক্রমণ কিছুটা গতি পায়। ম্যাচের ৬৩ মিনিটে বালোতেল্লির ক্রস থেকে গোল করতে ব্যর্থ হন কাকা। ৭৫ মিনিটে নেইমার ও মেসির বল দেয়া নেয়া থেকে বল পেয়ে আলেক্সিস সানচেসের শট ফিরিয়ে দেন গোলরক্ষক আবিয়াতি। দ্বিতীয় গোল করার পর মেসিকে অভিনন্দন জানাচ্ছেন সেস ফ্যাব্রেগাস। কিন্তু ৮২ মিনিটে মেসির গোলে জয় নিশ্চিত হয়ে যায় লা লিগা চ্যাম্পিয়নদের। ইনিয়েস্তার বদলি হিসেবে নামা ফ্যাব্রেগাসের সাথে বল দেয়া নেয়া করে খুব কাছ থেকে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন মেসি। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ৮২টি ম্যাচে এটি মেসির ৬৫তম গোল। ‘এইচ’ গ্রুপের অন্য ম্যাচে আয়াক্স নিজেদের মাঠে একমাত্র গোলে হারিয়েছে স্কটল্যান্ডের সেল্টিককে। চার ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপের শীর্ষ স্থানে থাকা বার্সেলোনার নকআউট পর্বে উঠা নিশ্চিত হয়ে গেলো। সমান ম্যাচে ৫ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছে মিলান।