মাঠে দেখা হলো না সাকিব-মুস্তাফিজের

মাথাভাঙ্গা মনিটর: দুজনের এ খেলাটিকে ঘিরে আগ্রহ ছিলো বাংলাদেশেও। কারণ কোলকাতা নাইট রাইডার্স ও সানরাইজার্স হায়দরাবাদের খেলাটিতে বাংলাদেশের এই দুই ক্রিকেটারের মুখোমুখি হওয়ার সম্ভাবনা থাকলেও শেষ পর্যন্ত তা হয়নি।

স্বভাবতই সমর্থকদের হতাশই হতে হলো। সাকিব আল হাসান কিংবা মুস্তাফিজুর রহমান কেউই একাদশে সুযোগ পেলেন না। মুস্তাফিজের ভাষ্যমতে তাই মাঠে দেখা না হলেও খেলা শেষে একেবারে দেশি ঘরানায় এক সাথে রাতের ডিনার সেরেছেন দুই ক্রিকেটার।

মুস্তাফিজ এবারের ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) এ পর্যন্ত একটা ম্যাচ খেলেছেন। যদিও ওই খেলাটিতে, ১৬ বলে ৩৪ রান হজম করেছেন তিনি। তার পরিবর্তে একাদশে এসেছেন মোজেস হেনরিক্স। আর সাকিব চলতি মরসুমে কেকেআরের হয়ে এখনো কোনো খেলাতে অংশগ্রহণের সুযোগই পাননি। গতকালকের খেলাতেও তাকে একাদশে রাখা হয়নি।

কোলকাতার ইডেন গার্ডেনে খেলাটি শুরুর আগেই অবশ্য মুস্তাফিজ বলে রেখেছিলেন সুযোগ পেলে আগের ভুলগুলো শুধরে নেবেন তিনি। হিন্দুস্তান টাইমসকে বলেছিলেন, ‘প্রথম ম্যাচে নিজের দক্ষতা অনুযায়ী বোলিং করতে পারিনি। ভুল শুধরে ইডেনে নাইটদের বিরুদ্ধে মাঠে নামবো। আশা করছি, ইডেনে অন্য মুস্তাফিজকে দেখবেন।’ কিন্তু সেই সুযোগই মিললো না!

এবারের আইপিএলে খেলতে নেমেই মুদ্রার অন্যপিঠ দেখে ফেলেছেন পেসারটি। গত আসরেও তিনি নির্বাচিত হয়েছিলেন টুর্নামেন্টের সেরা উদীয়মান ক্রিকেটার। সানরাইজার্স হায়দরাবাদের শিরোপা জয়েও ছিলো তার বড় ভূমিকা। কিন্তু এবারের শুরুটা হয়েছে একেবারেই সাদামাটা।

সে প্রসঙ্গে মুস্তাফিজ বলেন, ‘এটা সম্পূর্ণই পিচের ওপর নির্ভর করে, উইকেট খটখটে হলে আমি সুবিধা পাবো, এটা যেহেতু দিনের খেলা সেহেতু আমি উইকেট থেকে সাহায্য পাবো যেটা মুম্বাইয়ের উইকেটে পাইনি। আমি সবসময়ই আমার সেরাটা দেয়ার চেষ্টা করি, আমাদের বোলিং লাইনআপ বেশ ভালো এবং আমার জন্য কোলকাতার টার্নিং উইকেট বেশ সহায়ক হবে। বোলাররা সুবিধা পাবে।’

জাতীয় দলের সতীর্থ সাকিবের দলের বিপক্ষে খেলা বলে কোলকাতায় এসেই তার সাথে দেখা করেছেন মুস্তাফিজ। খেলা শেষে উভয়ের একত্রে ডিনারও সারার কথা জানিয়েছেন তিনি। বলা যায়, সেটাই এই দুই ক্রিকেটারের নববর্ষ উদ্যাপন।

কাটার মাস্টার বলেন, ‘আমি বৃহস্পতিবার এসেই তার সাথে দেখা করেছি। ভারতে আসার পর থেকে আমি এখনো ভাত আর মাছ খেতে পারিনি, তাই রাতে সাকিব ভাইয়ের সাথে ডিনার করার পরিকল্পনা আছে।’ পহেলা বৈশাখে নিজের দেশের বাড়ির অভাব অনুভব করছেন কি? এমন প্রশ্নের জবাবে মুস্তাফিজ জানান, বরাবরই ক্রিকেটের মধ্যে ব্যস্ত থাকায় খুব একটা উদযাপন করার সুযোগ হয় না। বললেন, ‘ম্যাচ এবং অনুশীলনের কারণে বিগত ৪-৫ বছর পয়লা বোশেখ উদযাপন করতে পারিনি, তাই আমার মনে হয় না আমি বাড়িকে মিস করবো খুব একটা।’