ব্রাজিলের ফাউল নিয়ে ভয় জার্মানির

মাথাভাঙ্গা মনিটর: ব্রাজিলের ঐতিহ্যবাহী শিল্পীত ফুটবলের ছিটেফোঁটাওনাকি নেই লুইস ফেলিপে স্কলারির এ দলটিতে। দাবিটা সেমিফাইনালে স্বাগতিকদেরপ্রতিপক্ষ জার্মান দলের কোচ ইওয়াখিম লুভের। বরং এবারের বিশ্বকাপে ব্রাজিলদলের ফাউলের নমুনা দেখে একটি ভয় ঢুকে গেছে তার মধ্যে।বেলো হরিজন্তেতে আজ মঙ্গলবার বাংলাদেশ সময় রাত ২টায় প্রথম সেমিফাইনালেস্বাগতিক ব্রাজিলের মুখোমুখি হবে জার্মানি। এর আগে লুভ তার দুশ্চিন্তার কথাজানাতে গিয়ে কোয়ার্টার-ফাইনালে ব্রাজিল-কলম্বিয়া ম্যাচটি সামনে নিয়ে আসেন।আমিব্রাজিল-কলম্বিয়া ম্যাচটি দেখেছি এবং এ ম্যাচে দু দলই অগুনতি ফাউলকরেছে। খেলা নষ্ট করতে এমনকি খেলোয়াড়ের পিঠে লাফ দিয়ে উঠেও ফাউল করাহয়েছে।ম্যাচটি দেখে লোর মনে হয়েছে, বল দখলের লড়াইয়ের চেয়ে খেলোয়াড়রা খেলা নষ্ট করার দিকেই বেশি মনোযোগী ছিলো শুক্রবারের সেই কোয়ার্টার-ফাইনালে ব্রাজিল ৩১টি ফাউল করেছ। তবে স্পেনেররেফারি কার্লোস ভেলাস্কো দ্বিতীয়ার্ধের আগে কোনো হলুদ কার্ড দেখাননি।ম্যাচের ৪১তম ফাউলটিতে এসে তিনি পকেট থেকে প্রথম কার্ড বের করেন।এখনপর্যন্ত টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ গোলদাতা কলম্বিয়ার ফরোয়ার্ড হামেসরদ্রিগেস ব্রাজিলের মিডফিল্ডারদের মূল লক্ষ্য ছিলেন। ওই ম্যাচেই স্বাগতিকব্রাজিল চোটের কাছে বিশ্বকাপে নেইমারকে হারিয়েছে। খেলা শেষের ২ মিনিট আগেকলম্বিয়ার ডিফেন্ডার কামিলো সুনিগা হাঁটু দিয়ে নেইমারকে আঘাত করেন।ব্রাজিলবিশ্বকাপে খেলা ৫ ম্যাচে জার্মানির খেলোয়াড়রা ৫৭টি ফাউল করেছে এবং এপর্যন্ত চারটি হলুদ কার্ড দেখেছে। সমান ম্যাচে ব্রাজিল ফাউল করেছে ৯৬টি এবংহলুদ কার্ড দেখেছে ১০টি।জার্মানির এক টেলিভিশনকে লুভ পুরো বিষয়টি নিয়ে দুশ্চিন্তার কথা জানান।ব্রাজিলেরঐতিহ্যবাহী শিল্পীত ফুটবল বলতে আমরা যা জানি,এর সামান্যই বাকি আছে। আমিনিশ্চিত এখনো ব্রাজিলে কৌশলী খেলোয়াড় আছে। তবে তারা এ বিশ্বকাপে অন্য যেকোনো দলের চেয়ে বেশি বল প্রয়োগ করে খেলেছে এবং এভাবেই তারা প্রতিপক্ষেরআক্রমণ ভাঙতে চেষ্টা করছে।তবে আজ মঙ্গলবারের সেমিফাইনালে রেফারি দৃঢ় থাকবেন বলেই বিশ্বাস লুভের।শেষে সবকিছু রেফারির সঠিক শাস্তি দেয়ার ওপরই নির্ভর করছে।
ব্রাজিল-জার্মানিসেমিফাইনাল পরিচালনার দায়িত্ব পেয়েছেন মেক্সিকোর মার্কো রদ্রিগেস। ইতালিআর উরুগুয়ের শেষ গ্রুপ ম্যাচটিও তিনিই পরিচালনা করেছিলেন।